খাসিয়া জনগোষ্ঠীর গ্রামকে কী বলা হয়?
A
পুঞ্জি
B
মহল্লা
C
পাড়া
D
টোল
উত্তরের বিবরণ
খাসিয়া
-
খাসিয়া বাংলাদেশে বসবাসরত একটি মাতৃতান্ত্রিক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী।
-
তারা মঙ্গোলীয় বংশোদ্ভূত।
-
এদের আদি নিবাস বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, বিশেষ করে সুনামগঞ্জ জেলা।
-
বর্তমানে তারা সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, ছাতক ও সদর থানায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বসবাস করছে।
-
খাসিয়া জনগোষ্ঠীর প্রধান উৎসব হলো খাসি সেং কুটস্নেম, যার মাধ্যমে তারা পুরোনো বছরকে বিদায় দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানায়।
-
খাসিয়ারা তাদের গ্রামকে ‘পুঞ্জি’ বলে ডাকে।
-
প্রতিটি পুঞ্জির প্রধানকে বলা হয় ‘সিয়েম’।
-
বর্তমানে প্রায় ৮০%-৯০% খাসিয়া খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী।
-
প্রায় প্রতিটি পুঞ্জিতেই একটি করে গির্জা রয়েছে।
📌 তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া ও জাতীয় তথ্য বাতায়ন
0
Updated: 1 month ago
সাঁওতালদের জাতীয় উৎসব নিচের কোনটি?
Created: 2 months ago
A
বাইসু
B
সোহরাই
C
বিজু
D
কোনটিই নয়
সাঁওতাল
-
জনসংখ্যা ও অবস্থান: সাঁওতাল হলো বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ আদিবাসী জনগোষ্ঠী। প্রধানভাবে রাজশাহী, দিনাজপুর, রংপুর ও বগুড়া জেলায় বসবাস করে।
-
মূল নিবাস: রাঢ়বঙ্গ, বিহার ও উড়িষ্যার অরণ্য অঞ্চল।
-
উৎপত্তি ও ভাষা: অস্ট্রিক ভাষাভাষী আদি-অস্ট্রেলীয় (প্রোটো-অস্ট্রালয়েড) জনগোষ্ঠীর বংশধর।
-
সংস্কৃতি:
-
ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম আদি বাসিন্দা।
-
কৃষি উৎপাদন এবং কৃষিসংস্কৃতির জনক ও ধারক হিসেবে স্বীকৃত।
-
-
ধর্ম ও উপাসনা:
-
প্রধান উপাস্য: সূর্য, পর্বত দেবতা (মারাং বুরু) → গ্রামদেবতার মর্যাদা।
-
ধর্ম আছে, কিন্তু আনুশাসনিক ধর্মগ্রন্থ নেই।
-
-
উৎসব ও বছরের শুরু:
-
বছর শুরু হয় ফাল্গুন মাসে।
-
প্রায় প্রতিমাসে বা ঋতুতে পরব বা উৎসব পালিত হয়।
-
সোহরাই উৎসব: জাতীয় উৎসবের মতো, পৌষ সংক্রান্তির দিন জাঁকজমকের সঙ্গে উদযাপিত।
-
-
সমাজ ব্যবস্থা: পুরুষের আধিপত্য অপেক্ষাকৃত বেশি।
-
ভাষা ও লিপি: সাঁওতালদের ভাষা আছে, কিন্তু লেখ্য বর্ণমালা নেই।
📌 তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago
নিচের কোন জেলায় কন্দ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে?
Created: 2 months ago
A
মৌলভীবাজার
B
বান্দরবান
C
কক্সবাজার
D
রাঙ্গামাটি
কন্দ
-
কন্দ বাংলাদেশের অন্যতম ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী।
-
তাদের আদিনিবাস ভারতের উড়িষ্যা রাজ্য।
-
উনিশ শতকের মাঝামাঝিতে তারা চা ও রেল শ্রমিক হিসেবে বাংলাদেশে আসে এবং রেললাইন নির্মাণের কাজে যোগ দেয়। রেললাইন নির্মাণ শেষে একাংশ স্থায়ীভাবে থেকে যায় এবং চা-বাগানের শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করে।
-
বর্তমানে তারা মূলত মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার হরিণছড়া, উদনাছড়া, পুটিয়া, লাখাউড়া এবং কমলগঞ্জ উপজেলার কুরমাছড়া চা-বাগানে বসবাস করছে।
-
অন্যান্য জনগোষ্ঠী তাদের স্থানীয়ভাবে ‘কুই’ নামে ডাকে; আবার কোথাও কোথাও তারা ‘উড়িয়া’ নামেও পরিচিত।
-
তাদের সঙ্গে মধ্যভারতের ভীল, কোল, মুন্ডা প্রভৃতি ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর সাদৃশ্য রয়েছে।
-
কন্দ জনগোষ্ঠী পাঁচটি দলে বিভক্ত, আর প্রতিটি দল ভিন্ন ভিন্ন গোত্র বা বংশে ভাগ করা।
-
তাদের সমাজ পুরুষ-প্রধান; পরিবারের পুত্রসন্তানেরাই পারিবারিক সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হয়।
-
কন্দরা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মতো বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা করে।
-
নিজেদের ভাষায় দেবতাদের বিশেষ নাম রয়েছে, যেমন: ময়মুরুবিব, ত্রিনাথ প্রভৃতি; এগুলো তাদের পারিবারিক দেবতা।
📌 তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago
পাংখোয়া জনগোষ্ঠী কোন ধর্মে বিশ্বাসী?
Created: 2 months ago
A
বৌদ্ধ
B
খ্রিস্টান
C
হিন্দু
D
মুসলিম
পাংখোয়া
-
পাংখোয়া হলো বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত অন্যতম আদিবাসী জনগোষ্ঠী।
-
এদের বসতি বিস্তৃত রাঙামাটি জেলার সাজেক উপত্যকা থেকে বান্দরবানের রুমা পর্যন্ত এবং ভারতের মিজোরাম রাজ্যের সংলগ্ন সীমান্ত এলাকায়।
-
পাংখোয়া জনগোষ্ঠীর ধর্মবিশ্বাস বৌদ্ধধর্ম, তবে প্রকৃতি উপাসনাও সমাজে প্রচলিত।
-
তাদের সৃষ্টিকর্তার নাম: ‘পত্যেন’
-
প্রধান উপাস্য দেবতার নাম: ‘খোজিং’
-
খোজিং পূজা শ্রাবণ মাসে অনুষ্ঠিত হয় এবং এটি পাংখোয়া সমাজের সর্ববৃহৎ উৎসব।
-
পাংখোয়া সমাজ পিতৃতান্ত্রিক, পিতার মৃত্যুর পর পুত্রসন্তানরা পারিবারিক সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হয়।
-
জনগোষ্ঠীটি দুইটি গোত্রে বিভক্ত: পাংখোয়া ও ভানজাঙ।
-
ধর্মীয় বিশ্বাস, সামাজিক আচার-অনুষ্ঠান ও পূজাপার্বণ নিয়ে এদের নিজস্ব সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে।
-
পাংখোয়া জনগোষ্ঠীতে মৃতদেহ কবর দেওয়ার রীতি প্রচলিত।
📌 তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago