প্রাচীন চন্দ্রদ্বীপের মূল ভূখণ্ড ও প্রাণকেন্দ্র ছিল কোনটি?
A
সিলেট
B
বরিশাল
C
কুমিল্লা
D
নোয়াখালী
উত্তরের বিবরণ
চন্দ্রদ্বীপ:
- প্রাচীন যুগে বাংলা কোন একক রাজ্য ছিল না।
- বাংলার বিভিন্ন অংশ তখন অনেকগুলো ছোট ছোট অঞ্চলে বিভক্ত ছিল।
- যেমন: পুণ্ড্র, বরেন্দ্র, বঙ্গ, সমতট, চন্দ্রদ্বীপ, হরিকেল, রাঢ় ইত্যাদি।
- বর্তমান বরিশাল জেলা ছিল চন্দ্রদ্বীপের মূল ভূখণ্ড ও প্রাণকেন্দ্র।
- মধ্যযুগে চন্দ্রদ্বীপ বেশ সমৃদ্ধ ছিল।
- এ প্রাচীন জনপদটি বালেশ্বর ও মেঘনার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত ছিল।
উল্লেখ্য:
- সিলেটের প্রাচীন নাম হরিকেল।
- কুমিল্লা ও নোয়াখালী সমতট জনপদের অন্তর্ভুক্ত ছিল।
তথ্যসূত্র - বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি।
0
Updated: 1 month ago
মুক্তিযুদ্ধের সময় ১ম, ৩য় ও ৮ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট নিয়ে কোন বাহিনী গঠিত হয়েছিল?
Created: 1 month ago
A
জেড ফোর্স
B
কে ফোর্স
C
এস ফোর্স
D
যৌথ কমান্ড
মুক্তিযুদ্ধে নিয়মিত ব্রিগেড ফোর্সসমূহ
মুক্তিযুদ্ধের সময় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বিভিন্ন ব্যাটালিয়ন নিয়ে তিনটি নিয়মিত ব্রিগেড ফোর্স গঠন করা হয়: জেড ফোর্স, কে ফোর্স, এস ফোর্স।
১. জেড ফোর্স (Z Force)
-
নেতৃত্ব: মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান
-
গঠনকাল: জুলাই ১৯৭১
-
উপাদান: ১ম, ৩য় ও ৮ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট
-
বিশেষত্ব: নিয়মিত বাহিনীর প্রথম ব্রিগেড; মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধে সক্রিয়
২. এস ফোর্স (S Force)
-
নেতৃত্ব: কে.এম. সফিউল্লাহ
-
গঠনকাল: অক্টোবর ১৯৭১
-
উপাদান: ২য় ও ১১তম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট
-
বিশেষত্ব: দ্বিতীয় নিয়মিত ব্রিগেড; কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ অভিযানে অংশগ্রহণ
৩. কে ফোর্স (K Force)
-
নেতৃত্ব: কর্ণেল খালেদ মোশারফ
-
গঠনকাল: অক্টোবর ১৯৭১
-
উপাদান: ৪র্থ, ৯ম ও ১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট
-
বিশেষত্ব: মুক্তিযুদ্ধের তৃতীয় নিয়মিত ব্রিগেড; সেক্টরভিত্তিক কার্যক্রমে সক্রিয়
উপসংহার:
মুক্তিযুদ্ধকালে এই তিনটি নিয়মিত ব্রিগেড—জেড, কে ও এস ফোর্স—ই মুক্তিকামী বাহিনীর নিয়মিত অংশ হিসেবে পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ সশস্ত্র অভিযান পরিচালনা করেছিল।
0
Updated: 1 month ago
সংবিধানের কোন সংশোধনীর মাধ্যমে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়?
Created: 1 month ago
A
পঞ্চম সংশোধনী
B
অষ্টম সংশোধনী
C
সপ্তম সংশোধনী
D
ষষ্ঠ সংশোধনী
অষ্টম সংশোধনী – ১৯৮৮
-
পাসের তারিখ: ৭ জুন ১৯৮৮
-
উদ্দেশ্য: সংবিধানের কিছু অনুচ্ছেদ সংশোধন করা
মূল পরিবর্তনসমূহ:
-
ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ঘোষণা: সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২-এ পরিবর্তন আনা হয়।
-
বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ: ঢাকার বাইরে হাইকোর্ট বিভাগের ছয়টি স্থায়ী বেঞ্চ স্থাপন করা হয়।
-
রাষ্ট্রপতির অনুমতি ব্যতীত বিদেশী খেতাব গ্রহণ নিষিদ্ধ: সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩০ সংশোধন করা হয়।
-
অন্যান্য সংশোধন: অনুচ্ছেদ ৩, ৫ ও ১০০-এ সংশোধনী আনা হয়।
-
পরবর্তী সময়ে সুপ্রিম কোর্ট অনুচ্ছেদ ১০০-এর সংশোধনকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে, কারণ এটি সংবিধানের মৌলিক কাঠামো পরিবর্তন করেছিল।
-
0
Updated: 1 month ago
আলীগড় আন্দোলনের মূল প্রবক্তা কে ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
শাহ ওয়ালিউল্লাহ
B
মাওলানা শিবলী
C
স্যার সৈয়দ আহমদ খান
D
খাজা সলিমুল্লাহ
আলীগড় আন্দোলন মূলত মুসলমান সমাজের শিক্ষাগত ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য শুরু হয়েছিল। এটি ১৯শ শতকের দ্বিতীয় অর্ধভাগে মুসলিম সমাজকে নতুন দিশা দেখানোর প্রয়াস হিসেবে পরিচিত।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
আলীগড় আন্দোলনের প্রবক্তা ছিলেন স্যার সৈয়দ আহমদ খান।
-
১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের পর ভারতীয় মুসলমানরা রাজনৈতিক ও সামাজিক সংকটে পড়ে।
-
এই প্রেক্ষাপটে সৈয়দ আহমদ খান মুসলমানদের উন্নয়নের জন্য পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসার এবং ইংরেজদের সাথে সহযোগিতা গ্রহণের পথ বেছে নেন।
-
তিনি মুসলমানদের ইংরেজি শিক্ষা গ্রহণে উৎসাহিত করেন এবং ধর্মীয় গোঁড়ামি দূর করার চেষ্টা করেন।
-
আলীগড় মুসলিম কলেজ (বর্তমানে আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়) প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আলীগড় আন্দোলনের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়।
-
তার লেখালেখি, বক্তৃতা এবং শিক্ষামূলক প্রচেষ্টা মুসলমান সমাজে নতুন যুগের সূচনা করে।
-
আন্দোলনটি মুসলমান সমাজে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয় এবং তাদের আত্মবিশ্বাস পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে।
0
Updated: 1 month ago