A
১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দ
B
১৯২০ খ্রিষ্টাব্দ
C
১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দ
D
১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দ
উত্তরের বিবরণ
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
-
সাহিত্যিক স্থান: বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের প্রথম কাব্য
-
রচয়িতা: বড়ু চণ্ডীদাস
-
প্রকাশ ও আবিষ্কার:
-
১৯০৯ (১৩১৬ বঙ্গাব্দ): বসন্তরঞ্জন রায় পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার কাকিল্যা গ্রামে শ্রী দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির গোয়ালঘর থেকে পুথি আবিষ্কার করেন
-
১৯১৬ (১৩২৩ বঙ্গাব্দ): বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে বসন্তরঞ্জন রায়ের সম্পাদনায় শ্রীকৃষ্ণকীর্তন নামে প্রকাশিত
-
-
সংরক্ষণ ও গুরুত্ব: বাংলা ভাষায় বড়ু চণ্ডীদাসের প্রথম এককগ্রন্থ
শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের খণ্ডসমূহ (মোট ১৩টি)
-
জন্মখণ্ড
-
তাম্বুল খণ্ড
-
দানখণ্ড
-
নৌকাখণ্ড
-
ভারখণ্ড
-
ছত্রখণ্ড
-
বৃন্দাবন খণ্ড
-
কালিয়দমন খণ্ড
-
যমুনা খণ্ড
-
হার খণ্ড
-
বাণ খণ্ড
-
বংশী খণ্ড
-
বিরহ খণ্ড
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা

0
Updated: 16 hours ago
গঠনরীতিতে 'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্য মূলত-
Created: 1 week ago
A
পদাবলি
B
ধামালি
C
গ্রেমগীতি
D
নাট্যগীতি
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন: গঠন ও বৈশিষ্ট্য
গঠন ও রূপ
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন মূলত মধ্যযুগীয় বাংলার একটি যাত্রাপালা রূপের কাব্য। এটি নাট্যগীতিকাব্যের স্বরূপে রচিত, অর্থাৎ গীত ও সংলাপের সমন্বয়ে নাট্যরসসমৃদ্ধ। কাব্যে গল্প বলার পাশাপাশি সংলাপের মাধ্যমে চরিত্রগুলোর অনুভূতি প্রকাশ করা হয়েছে। কবি কখনও নিজেই কাহিনির মধ্যে প্রবেশ করে বর্ণনা যোগ করেছেন, আবার কখনও সংস্কৃত শ্লোক ব্যবহার করে গল্পের সংযোগ স্থাপন করেছেন। এতে নাটকীয়তা বজায় রেখেই কাব্যিক সৌন্দর্য পাওয়া যায়।
ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও আবিষ্কার
-
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের প্রথম কাব্য হিসেবে পরিচিত।
-
১৯০৯ সালে বসন্তরঞ্জন রায় পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার কাকিল্যা গ্রামের দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে এর পুথি আবিষ্কার করেন।
-
প্রথম পৃষ্ঠায় কোনো নাম না থাকায় বসন্তরঞ্জন রায় পুথিটিকে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন নামে ডাকেন। কখনও এটিকে শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ নামেও উল্লেখ করা হয়।
-
১৯১৬ সালে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ পুথিটিকে বসন্তরঞ্জন রায়ের সম্পাদনায় প্রকাশ করে।
-
পুথির প্রথম দুটি এবং শেষ পৃষ্ঠা না পাওয়ায় কাব্যের সম্পূর্ণ নাম ও কবির পরিচয় নিশ্চিত নয়। তবে কবির ভণিতায় ‘চণ্ডীদাস’ এবং প্রায় সকল স্থানে ‘বড়ু চণ্ডীদাস’ পাওয়া যায়, তাই কবি হিসেবে বড়ু চণ্ডীদাসকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
বিষয়বস্তু ও কাঠামো
-
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন গীতি-আলেখ্য রূপের কাব্য।
-
প্রধান বিষয়: রাধা-শ্রীকৃষ্ণের প্রণয়লীলা।
-
বিন্যস্ত: মোট ১৩ খণ্ডে ৪১৮টি পদ।
-
মূল চরিত্র: কৃষ্ণ, রাধা, বড়ায়ি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 1 week ago
'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' -এর রচয়িতা কে?
Created: 1 month ago
A
জ্ঞানদাস
B
দীন চণ্ডীদাস
C
বড়ু চণ্ডীদাস
D
দীনহীন চণ্ডীদাস
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের প্রথম কাব্য হিসেবে স্বীকৃত। এই কাব্যটি লিখেছেন বড়ু চণ্ডীদাস। এটি বাংলা ভাষায় কোনো লেখকের লেখা প্রথম একক কাব্যগ্রন্থ, অর্থাৎ পুরো বইটি শুধু এক লেখকের লেখা।
এই কাব্যের পুথিটি প্রথম খুঁজে পাওয়া যায় ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে (১৩১৬ বঙ্গাব্দে)। পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার কাকিল্যা গ্রামে দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির একটি গোয়ালঘরে পুথিটি আবিষ্কার করেন বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ। দেবেন্দ্রনাথ ছিলেন মল্লরাজগুরু শ্রীনিবাস আচার্যের দৌহিত্র বংশের মানুষ।
এরপর ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে (১৩২৩ বঙ্গাব্দে) বসন্তরঞ্জন রায়ের সম্পাদনায় এই কাব্যটি ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ নামে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে বই আকারে প্রকাশিত হয়।
এই কাব্যে মোট ১৩টি খণ্ড রয়েছে। খণ্ডগুলো হলো:
-
জন্ম খণ্ড
-
তাম্বুল খণ্ড
-
দান খণ্ড
-
নৌকা খণ্ড
-
ভার খণ্ড
-
ছত্র খণ্ড
-
বৃন্দাবন খণ্ড
-
কালিয়দমন খণ্ড
-
যমুনা খণ্ড
-
হার খণ্ড
-
বাণ খণ্ড
-
বংশী খণ্ড
-
বিরহ খণ্ড
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 1 month ago
কত সালে 'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্যটি আবিষ্কৃত হয়?
Created: 3 weeks ago
A
১৯০৯ সালে
B
১৯০৭ সালে
C
১৯১১ সালে
D
১৯১৭ সালে
‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্য
মধ্যযুগে রচিত বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যগ্রন্থ হলো ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’। এটি একটি গীতি-আলেখ্য, যার বিষয়বস্তু রাধাকৃষ্ণের প্রণয়লীলা। মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে চর্যাপদ-এর পরেই এর স্থান।
১৩১৬ বঙ্গাব্দে (খ্রি. ১৯০৯) বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ বাঁকুড়া জেলার বনবিষ্ণুপুরের কাঁকিল্যা গ্রামের বাসিন্দা দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের নিকট থেকে এর পুঁথি আবিষ্কার করেন।
এই কাব্যের রচয়িতা বড়ু চণ্ডীদাস। তাঁর প্রধান পরিচয়ই হলো ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যের স্রষ্টা হওয়া। বসন্তরঞ্জন বিদ্বদ্বল্লভের মতে, বড়ু চণ্ডীদাসের জন্ম ১৩৩৯ খ্রিষ্টাব্দে এবং মৃত্যু ১৩৯৯ খ্রিষ্টাব্দে।

0
Updated: 3 weeks ago