‘তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য’ - এর উপজীব্য কী?
A
অর্জুনের তপস্যা
B
সীতা-রামের মিলন
C
সুন্দ-উপসুন্দের দ্বন্দ্ব
D
কৃষ্ণ-রাধার প্রেমকাহিনি
উত্তরের বিবরণ
তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য
-
রচয়িতা: মাইকেল মধুসূদন দত্ত
-
সংখ্যা ও রচনার ধরন: চার সর্গে রচিত কাব্য
-
রচনার সময়: ১৮৬০ খ্রিষ্টাব্দ, ফেব্রুয়ারি
-
প্রকাশ: ১৮৬০ খ্রিষ্টাব্দ, মে মাসে গ্রন্থাকারে
-
উপজীব্য: মহাভারতের সুন্দ ও উপসুন্দ কাহিনী; সৌন্দর্য প্রতিমা তিলোত্তমাকে নিয়ে সুন্দ-উপসুন্দের দ্বন্দ্ব
-
সাহিত্যিক গুরুত্ব: বাংলা ভাষায় অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ কাব্যগ্রন্থ (কিন্তু পদ্মাবতী নাটকের দ্বিতীয় অঙ্কে অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রথম প্রয়োগ হয়েছিল)
মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ
-
তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য
-
ব্রজাঙ্গনা কাব্য
-
মেঘনাদবধ কাব্য
-
বীরাঙ্গনা কাব্য
-
চতুর্দশপদী কবিতাবলী
উৎস:
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
-
বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 1 month ago
আলাওল রচিত 'পদ্মাবতী' একটি-
Created: 1 month ago
A
মৌলিক কাব্য
B
অনুবাদ কাব্য
C
উপন্যাস
D
মহাকাব্য
‘পদ্মাবতী’ কাব্য:
-
পদ্মাবতী কবি আলাওলের প্রথম ও শ্রেষ্ঠ কাব্য।
-
এটি মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের একটি জনপ্রিয় প্রণয়কাব্য।
-
কাব্যটি প্রখ্যাত হিন্দি কবি মালিক মুহাম্মদ জায়সির ‘পদুমাবৎ’ কাব্যের অনুবাদ।
-
রচনা সাল ও প্রেক্ষাপট: ১৬৫১ সালে আরাকান রাজ সাদ থদোমিন্তার রাজত্বকালে, মন্ত্রী মাগন ঠাকুরের আদেশে রচিত।
-
কাব্যের কাঠামো: দুইটি পর্ব:
১. সিংহলের রাজকন্যা পদ্মাবতীকে লাভ করার জন্য চিতোররাজ রত্নসেনের সফল অভিযান
২. পদ্মাবতীকে লাভের জন্য দিল্লির সুলতান আলাউদ্দিন খিলজির ব্যর্থ সামরিক অভিযান
আলাওল:
-
মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি।
-
পদ্মাবতী তাঁর প্রথম ও শ্রেষ্ঠ কাব্য।
আলাওলের অন্যান্য বিখ্যাত গ্রন্থ:
-
পদ্মাবতী
-
তোহফা
-
সপ্তপয়কার
-
সিকান্দারনামা
-
সয়ফুল্মুলুক বদিউজ্জামাল
-
সতীময়না
-
রগতালনামা ইত্যাদি
0
Updated: 1 month ago
কোনটি মাইকেল মধুসূদন দত্তের পত্রকাব্য?
Created: 2 months ago
A
ব্রজাঙ্গনা
B
বিলাতের পত্র
C
বীরাঙ্গনা
D
হিমালয়
বীরাঙ্গনা কাব্য (১৮৬২)
-
এটি মাইকেল মধুসূদন দত্তের লেখা একটি পত্রকাব্য (চিঠির আকারে লেখা কবিতা)।
-
বাংলা সাহিত্যে পত্রকাব্যের এটি ছিল প্রথম উদাহরণ।
-
রোমান কবি ওভিদের ‘Heroides’ কাব্য অনুসরণে এটি লেখা হয়।
-
এই কাব্যে মোট ১১টি পত্র (চিঠি) আছে।
-
যেমন:
-
দুষ্মন্তের প্রতি শকুন্তলার চিঠি,
-
দশরথের প্রতি কৈকেয়ীর চিঠি,
-
সোমের প্রতি তারা,
-
নীলধ্বজের প্রতি জনার চিঠি — এসব বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
-
-
পৌরাণিক নারীদের নতুনভাবে জীবন্ত করে তুলেছেন কবি। তারা এখানে নিজের ভালোবাসা, ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করতে দ্বিধা করে না।
-
এই সাহসী রচনার জন্য তখন মধুসূদন অনেক সমালোচিত হয়েছিলেন।
মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৮২৪–১৮৭৩)
-
জন্ম: ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি, যশোর জেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে (কপোতাক্ষ নদীর তীরে)।
-
পরিবার: জমিদার পরিবারে জন্ম।
-
পিতা: রাজনারায়ণ দত্ত (কলকাতার নামকরা উকিল)।
-
মাতা: জাহ্নবী দেবী।
-
-
শিক্ষা:
-
১৮৩৩ সালে হিন্দু কলেজে ভর্তি হন।
-
বাংলা, সংস্কৃত, ফারসি ভাষা শেখেন।
-
ছাত্রজীবনেই বিভিন্ন পত্রিকায় তাঁর কবিতা প্রকাশিত হতে থাকে।
-
-
১৮৪৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি মাত্র ১৯ বছর বয়সে তিনি খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করেন এবং তখন থেকেই তাঁর নাম হয় “মাইকেল মধুসূদন দত্ত”।
-
মৃত্যু: ১৮৭৩ সালের ২৯ জুন, স্ত্রী হেনরিয়েটার মৃত্যুর তিন দিন পর কলকাতায় মারা যান।
তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ
-
তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য
-
ব্রজাঙ্গনা কাব্য (গীতিকাব্য)
-
মেঘনাদবধ কাব্য
-
বীরাঙ্গনা কাব্য
-
চতুর্দশপদী কবিতাবলী (বাংলা সনেট)
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর ও বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 2 months ago
মাইকেল মধুসূদন দত্তের 'বীরাঙ্গনা' কোন ধরনের কাব্য?
Created: 3 weeks ago
A
পত্রকাব্য
B
নাট্যকাব্য
C
গীতিকাব্য
D
নৃত্যকাব্য
‘বীরাঙ্গনা কাব্য’
-
এটি মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত পত্রকাব্য।
-
কাব্যটি ১৮৬২ সালে প্রকাশিত হয় এবং বাংলা সাহিত্যে পত্রাকারের প্রথম কাব্য হিসেবে পরিচিত।
-
রোমান কাব্য ‘হেরোইদাইদস’ অনুকরণে ‘বীরাঙ্গনা’ রচিত।
-
কাব্যে মোট ১১টি পত্র রয়েছে।
-
পৌরাণিক নারীরা মধুসূদনের হাতে আধুনিক মানুষ হিসেবে পুনর্জাগরিত হয়েছেন এবং তাদের প্রণয়, কামনা ও ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়া নির্ভীকচিত্তে প্রকাশ করেছেন।
-
বীরাঙ্গনা (১৮৬২) পত্রকাব্যের নায়িকাদের মধ্যে জনা, কৈকেয়ী, তারা প্রমুখ পৌরাণিক নারী তাদের স্বামী বা প্রেমিকের প্রতি নিজের বাসনা ও চাওয়া প্রকাশ করেছেন।
-
নারী চরিত্রে এই ধরনের দৃঢ়তা বাংলা সাহিত্যে মধুসূদনের আগে আর কারও রচনায় দেখা যায়নি।
0
Updated: 3 weeks ago