ভুসুকুপা কোথাকার রাজপুত্র ছিলেন?
A
গৌড়
B
মগধ
C
সৌরাষ্ট্র
D
বিহার
উত্তরের বিবরণ
ভুসুকুপা
-
স্থান: চর্যাগীতি রচনার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থান অধিকারী
-
উৎস: সৌরাষ্ট্রের ক্ষত্রিয় রাজপুত্র (সম্ভাব্য)
-
রচনাসমূহ: চর্যাপদ গ্রন্থে তাঁর আটটি পদ সংরক্ষিত
-
নাম ও পরিচিতি:
-
ছন্দ নাম: ভুসুকুপা
-
প্রকৃত নাম: শান্তিদেব
-
-
জীবনকাল: সপ্তম শতকের দ্বিতীয়ার্ধে (ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ অনুযায়ী); ধর্মপালের রাজত্বকালে (৭৭০–৮০৬ সাল) জীবিত ছিলেন; জীবনাবধি শেষ সীমা ৮০০ খ্রিঃ
উৎস:
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
-
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম
0
Updated: 1 month ago
কায়কোবাদের প্রকৃত নাম কী?
Created: 2 weeks ago
A
মোহাম্মদ রওশন আলী
B
শাহামতউল্লাহ আল কোরেশী
C
কাজেম আল কোরেশী
D
আবদুল হামিদ
কায়কোবাদ ছিলেন আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম যুগের অন্যতম মুসলিম কবি, যিনি বাংলা কাব্যে ধর্মীয় ভাব, মানবিক মূল্যবোধ ও দেশপ্রেমের সমন্বয় ঘটিয়েছিলেন। তাঁর প্রকৃত নাম কাজেম আল কোরেশী, এবং ‘কায়কোবাদ’ ছিল তাঁর সাহিত্যিক ছদ্মনাম।
-
কায়কোবাদ জন্মগ্রহণ করেন ১৮৫৭ সালে এবং মৃত্যুবরণ করেন ১৯৫১ সালে।
-
তিনি আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম দিকের মুসলিম কবি হিসেবে বিশেষভাবে খ্যাত।
-
বাংলা সাহিত্যে সনেট ও মহাকাব্য রচনায় মুসলিম কবিদের মধ্যে তিনিই প্রথম।
-
তাঁর সর্বাধিক বিখ্যাত কাব্য ‘মহাশ্মশান’, যা ১৯০৪ সালে প্রকাশিত হয়।
-
‘মহাশ্মশান’-এ ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের প্রেক্ষাপটে দেশপ্রেম, ত্যাগ ও বিপ্লবের চেতনা ফুটে উঠেছে।
-
অতি অল্প বয়স থেকেই তাঁর সাহিত্য প্রতিভা প্রকাশ পায়; মাত্র তেরো বছর বয়সে ‘বিরহবিলাপ’ (১৮৭০) নামের প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করেন।
-
তাঁর রচনায় ধর্মীয় ভাব, মানবতাবোধ, বেদনাবোধ ও সৌন্দর্যচেতনার মেলবন্ধন লক্ষ করা যায়।
-
কায়কোবাদের সাহিত্যধারা মুসলিম সমাজে আধুনিক কাব্যরীতির বিকাশে পথিকৃৎ ভূমিকা পালন করে।
প্রধান কাব্যগ্রন্থসমূহ:
১. অশ্রুমালা (গীতিকাব্য)
২. কুসুমকানন
৩. শিবমন্দির
৪. অমিয়ধারা
৫. বিরহবিলাপ
৬. শ্মশানভষ্ম
৭. মহররম শরীফ
৮. প্রেম পারিজাত
৯. মন্দাকিনী ধারা
কায়কোবাদের কবিতা কেবল সাহিত্যিক নন্দনতত্ত্বে নয়, বরং জাতি ও সমাজজাগরণের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। তাঁর রচনাসমূহ বাংলা কাব্যের ইতিহাসে এক অনন্য অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত।
0
Updated: 2 weeks ago
কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
Created: 1 month ago
A
১৯৩৬ সালে
B
১৯৪২ সালে
C
১৯৪৬ সালে
D
১৯৪৭ সালে
সুকান্ত ভট্টাচার্য
-
জন্ম: ১৫ আগস্ট ১৯২৬, কলকাতা (পৈতৃক নিবাস: গোপালগঞ্জ জেলার কোটালিপাড়া)
-
দৃষ্টি ও ভাবধারা: মার্কসবাদী, প্রগতিশীল চেতনার অধিকারী
-
পেশা: কবি, সম্পাদক (দৈনিক স্বাধীনতা, ১৯৪৫, ‘কিশোর সভা’ বিভাগ)
-
মৃত্যু: ২৯ বৈশাখ ১৩৫৪ / ১৩ মে ১৯৪৭
সাহিত্য ও বৈশিষ্ট্য:
-
সাধারণ মানুষের জীবনসংগ্রাম, যন্ত্রণা ও বিক্ষোভ কবিতার প্রধান বিষয়বস্তু
-
গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার বাণী ও শোষণহীন সমাজ গঠনের প্রতিশ্রুতি প্রকাশ
-
বিখ্যাত উক্তি: “এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাবো আমি”
রচিত গ্রন্থসমূহ:
-
ছাড়পত্র
-
ঘুম নেই
-
পূর্বাভাস
-
মিঠে কড়া
-
অভিযান
-
হরতাল
-
গীতিগুচ্ছ
0
Updated: 1 month ago
স্বর্ণকুমারী দেবীর পিতার নাম -
Created: 4 days ago
A
দ্বারকানাথ ঠাকুর
B
দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
C
রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর
D
প্রমথ চৌধুরী
স্বর্ণকুমারী দেবী ছিলেন একজন প্রখ্যাত কবি, নাট্যকার, সাংবাদিক এবং সমাজকর্মী, যিনি বাংলা সাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। ১৮৫৫ সালের ২৮শে আগস্ট, জোড়াসাকোঁর ঠাকুর পরিবারে তার জন্ম। তিনি ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের দশম সন্তান এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভগ্নী। ছোটবেলা থেকেই সাহিত্যে প্রতিভার ছাপ রাখেন এবং জোড়াসাঁকোর সাংস্কৃতিক পরিবেশে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
-
স্বর্ণকুমারী দেবী আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা ঔপন্যাসিক হিসেবে পরিচিত।
-
তিনি ৩০ বছর ধরে মাসিক 'ভারতী' পত্রিকার লেখক ও সম্পাদক ছিলেন।
-
তিনি সমাজ সংস্কারক হিসেবে ‘সখী সমিতি’ নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেন, যা বিধবা এবং দরিদ্র নারীদের সাহায্য করত।
-
১৯২৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ‘জগত্তারিণী স্বর্ণ পদক’ প্রদান করে।
-
১৯২৯ সালে তিনি বঙ্গীয় সাহিত্য সম্মেলনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
-
স্বর্ণকুমারী দেবী ১৯৩২ সালের ৩রা জুলাই মৃত্যুবরণ করেন।
তার রচিত উপন্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছে:
-
দীপ নির্বাণ
-
মেবার রাজ
-
মালতী
-
বিদ্রোহ
-
বিচিত্রা
-
স্বপ্নবাণী
-
মিলনরাত্রি
তার রচিত নাটক:
-
বসন্ত উৎসব
-
দেব কৌতুক
তার রচিত কাব্য:
-
গাথা
-
কবিতা ও গান
0
Updated: 4 days ago