বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতি সরকারের পরিবর্তে সংসদীয় শাসনব্যবস্থা চালু হয় সংবিধানের কত নম্বর সংশোধনীর মাধ্যমে?
A
ক) ১০
B
খ) ১১
C
গ) ১২
D
ঘ) ১৩
উত্তরের বিবরণ
দ্বাদশ সংশোধনী
দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি শাসনের পরিবর্তে পুনরায় সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা চালু করা হয়।
এই সংশোধনীটি ১৯৯১ সালের ৬ আগস্ট জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়।
• দ্বাদশ সংশোধনীর মূল দিকসমূহ:
১. রাষ্ট্রপতি হন রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রধান।
২. প্রধানমন্ত্রী হন সরকারের প্রধান নির্বাহী।
৩. মন্ত্রিপরিষদ প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বে জাতীয় সংসদের প্রতি দায়বদ্ধ থাকে।
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশের সংবিধান, আরিফ খান।

0
Updated: 3 months ago
সংবিধানের কোন অধ্যায়ে 'সংবিধানের সংশোধন' নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে?
Created: 1 week ago
A
৭ম অধ্যায়
B
৮ম অধ্যায়
C
৯ম অধ্যায়
D
১০ম অধ্যায়
সংবিধানের দশম অধ্যায় : সংবিধানের সংশোধন
-
বিষয়বস্তু:
সংবিধানের দশম অধ্যায়ে সংবিধানের সংশোধন (Amendment of the Constitution) সম্পর্কিত বিধান বর্ণিত হয়েছে। -
প্রধান বিষয়সমূহ:
-
সংসদের আইনের মাধ্যমে সংবিধানের যেকোনো বিধান সংযোজন, পরিবর্তন, প্রতিস্থাপন বা রহিতকরণের দ্বারা সংশোধন করা যেতে পারে।
-
সংশোধনী বিলের সম্পূর্ণ শিরোনামে স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকতে হবে যে, সংবিধানের কোন বিধান সংশোধন করা হচ্ছে; অন্যথায় বিলটি সংসদে বিবেচনার জন্য গ্রহণযোগ্য হবে না।
-
সংসদের মোট সদস্যসংখ্যার অন্তত দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে সংশোধনী বিল পাস হতে হবে।
-
সংসদ কর্তৃক অনুমোদিত হওয়ার পর সংশোধনী বিল রাষ্ট্রপতির নিকট উপস্থাপন করতে হবে।
-
রাষ্ট্রপতি বিলটি প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে সম্মতিদান করবেন; তিনি তা করতে ব্যর্থ হলে নির্ধারিত সময় শেষে বিলটিকে রাষ্ট্রপতির সম্মতিপ্রাপ্ত বলে গণ্য করা হবে।
-
তথ্যসূত্র:
-
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান

0
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশের সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মূল বিষয় কী ছিল?
Created: 6 days ago
A
বহুদলীয় ব্যবস্থা
B
বাকশাল প্রতিষ্ঠা
C
তত্ত্বাবধায়ক সরকার
D
সংসদে মহিলা আসন
ত্রয়োদশ সংশোধনী (Constitution [Thirteenth Amendment] Act, 1996)
-
বিল পাশ: ২৭ মার্চ, ১৯৯৬
-
মূল বিষয়বস্তু: দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়াকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা চালু করা।
সারসংক্ষেপ:
ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে একটি নতুন ব্যবস্থা যুক্ত করা হয়। এই ব্যবস্থার অধীনে নির্বাচনের সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্বে আসে, যার মূল উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচনকে স্বচ্ছ এবং ন্যায্য করা।
বাতিলকরণ:
২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে আপিল বিভাগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার সম্পর্কিত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে।
উল্লেখযোগ্য পেছনের সংশোধনী:
-
১৯৯১ সালের ৬ আগস্ট দ্বাদশ সংশোধনী: সংসদীয় ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন।
-
১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি চতুর্থ সংশোধনী: দেশের শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তন।
-
সপ্তদশ সংশোধনী: সংরক্ষিত মহিলা আসনের মেয়াদ বৃদ্ধি।
উৎস:পৌরনীতি ও সুশাসন (দ্বিতীয় পত্র, এইচএসসি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়)

0
Updated: 6 days ago
(তৎকালীন সাম্প্রতিক তথ্যের প্রশ্ন। সঠিক উত্তর নেই, সঠিক তথ্যের জন্য ব্যাখ্যা দেখুন) বাংলাদেশের সংবিধানে এখন পর্যন্ত কতটি সংশোধনী আনা হয়েছে?
Created: 4 weeks ago
A
১৬ (ভুল উত্তর)
B
২৭
C
১০
D
১৯
বাংলাদেশের সংবিধানে এখন পর্যন্ত ১৭টি সংশোধনী আনা হয়েছে।
বাংলাদেশের সংবিধান:
- সংবিধান গণপরিষদে গৃহীত হয় ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর।
- সংবিধান কার্যকর হয় ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২ সালে।
⇒ সংবিধান সংশোধন হয়েছে ১৭ বার।
- এর মধ্যে চারটি সংশোধনী ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্ট বাতিল করেছে।
- সংবিধানের ১৭টি সংশোধনীর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সময়ে ৪ বার, জিয়াউর রহমানের সময় ২ বার, এরশাদের সময় ৪ বার, শেখ হাসিনার সরকারের সময় ৩ বার ও খালেদা জিয়ার সরকারের সময়ে ৪ বার সংবিধান সংশোধন করা হয়।
⇒ ১৯৭৩ সালের ১৫ জুলাই সংসদে সংবিধানের ১ম সংশোধনী পাশ হয়।
- সংবিধানের সর্বশেষ, অর্থাৎ সপ্তদশ সংশোধনী হয় ২০১৮ সালের ৮ জুলাই।
উৎস: বাংলাদেশের সংবিধান, দৈনিক ইত্তেফাক।

0
Updated: 4 weeks ago