মুনিদত্তের মতে চর্যাপদের পদসংগ্রহের নাম কী?
A
চর্যাচর্যবিনিশ্চয়
B
চর্যাশ্চর্যবিনিশ্চয়
C
আশ্চর্যচর্যাচয়
D
চর্যাগীতিকোষ
উত্তরের বিবরণ
(চর্যাপদ)
-
বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগের একমাত্র নির্ভরযোগ্য ঐতিহাসিক নিদর্শন।
-
আবিষ্কার ও সম্পাদনা:
-
মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের তৃতীয় সফরে ১৯০৭ সালে রাজগ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদের কতকগুলো পদ আবিষ্কার করেন।
-
তাঁর সম্পাদনায় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ ১৯১৬ সালে সেই সমস্ত পদ প্রকাশ করে। প্রকাশিত গ্রন্থের শিরোনাম: হাজার বছরের পুরাণ বাংলা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা (চর্যাচর্যবিনিশ্চয়, কৃষ্ণপাদের দোহা ও ডাকার্ণব-এর চারটি পুঁথি একত্রে)।
-
-
নামকরণ:
-
প্রাপ্ত পুঁথিতে সংস্কৃত টীকাকার মুনিদত্ত অনুসারে পদসংগ্রহের নাম আশ্চর্যচর্যাচয়।
-
নেপালের পুঁথিতে পদগুলোর নাম চর্যাচর্যবিনিশ্চয়।
-
ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচী উভয় নাম মিলিয়ে চর্যাশ্চর্যবিনিশ্চয় নাম প্রস্তাব করেন।
-
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম
0
Updated: 1 month ago
চর্যাপদের পদগুলো মূলত-
Created: 1 day ago
A
শ্লোক
B
কবিতা
C
গান
D
ধাঁধা
চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম রূপগুলোর একটি, যা মূলত গান আকারে রচিত। এটি বৈদিক ও বৌদ্ধ ধর্মীয় প্রেক্ষাপটে মানুষের ধ্যান, ভক্তি, আধ্যাত্মিক চিন্তাভাবনা এবং সামাজিক জীবনের দিক তুলে ধরে। চর্যাপদের কবিতা বা শ্লোকের মতো লিখিত হলেও, এর প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল স্বর ও তাল সহ গাইতে বা আবৃত্তি করতে পারা, অর্থাৎ এটি প্রায়শই গান আকারে ব্যবহৃত হত।
এর মূল বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
-
স্বর ও ছন্দের উপযোগী: চর্যাপদের পদগুলো গান বা আবৃত্তির জন্য বিশেষভাবে রচিত, যাতে সহজে উচ্চারণ এবং তাল মিলিয়ে পাঠ করা যায়।
-
আধ্যাত্মিক ও সামাজিক বিষয়: এ পদগুলিতে মানবিক জীবন, ধর্মীয় ভাবনা, আধ্যাত্মিক সাধনা এবং সামাজিক নৈতিকতা সংমিশ্রিতভাবে প্রকাশ পেয়েছে।
-
প্রাচীন বাংলা সাহিত্য: চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রাচীন সাহিত্য, যা মূলত পালি ভাষা ও প্রাচীন বাংলা ভাষার সংমিশ্রণে রচিত। এটি বাংলা সাহিত্যের শুরু ও লোকসংস্কৃতির পরিচয় বহন করে।
-
সংগীত ও লয়: গান আকারে রচিত হওয়ায় পদগুলোর স্বর, তাল ও ছন্দের গুরুত্ব বেশি। এটি শুধুমাত্র পাঠ্য নয়, বরং শ্রবণ ও গানের মাধ্যমে ধ্যান এবং আধ্যাত্মিক অনুভূতি প্রকাশ করে।
-
ধর্মীয় প্রভাব: চর্যাপদে বৌদ্ধ চেতনা এবং স্থানীয় আধ্যাত্মিক অনুশীলনের প্রভাব স্পষ্ট। গান আকারে রচনার মাধ্যমে পাঠক বা শ্রোতা ধ্যানমগ্ন অবস্থায় শিক্ষা ও নৈতিকতা উপলব্ধি করতে পারে।
সারসংক্ষেপে, চর্যাপদের পদগুলো মূলত গান আকারে রচিত, যা আধ্যাত্মিক চিন্তা, ধর্মীয় ভাবনা এবং সামাজিক মূল্যবোধকে সহজ, ছন্দময় ও সঙ্গীতময়ভাবে প্রকাশ করে। এটি বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ণ রূপ, যা গীতিময় আভাস এবং ধ্যানমগ্ন পাঠের জন্য উপযোগী।
0
Updated: 1 day ago
বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন কোনটি?
Created: 5 months ago
A
চর্যাপদ
B
শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন কাব্য
C
বঙ্গবাণী
D
অন্যমঙ্গল কাব্য
চর্যাপদ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের আদি নিদর্শন।
- এটি মূলত গানের সংকলন।
- ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপাল রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে এর পুথি আবিষ্কার করেন।
- চর্যাপদ রচনা করেন বৌদ্ধ সহজিয়াগণ। সহজিয়াগণ হচ্ছেন বৌদ্ধ সহজযান পন্থি।
- চর্যাপদের পদ সংখ্যা নিয়ে মতবিরোধ আছে। সুকুমার সেনের হিসাবে ৫১টি পদ এবং মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বলেছেন ৫০টি পদ। চর্যাপদ ছিন্ন অবস্থায় পাওয়া যাওয়ায় এই মতান্তরের সৃষ্টি।
- চর্যাপদের কবির সংখ্যা ২৩ মতান্তরে ২৪ জন।
- চর্যাপদের পদগুলো প্রাচীন কোন ছন্দে রচিত তা আজ বলা সম্ভবপর নয়। তবে আধুনিক ছন্দের বিচারে এগুলো মাত্রাবৃত্ত ছন্দের অধীন বিবেচ্য।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।
0
Updated: 5 months ago
১৮) আধুনিক ছন্দের বিচারে চর্যাপদ কোন ছন্দে রচিত?
Created: 2 months ago
A
অক্ষরবৃত্ত ছন্দ
B
স্বরবৃত্ত ছন্দ
C
পদ্যছন্দ
D
মাত্রাবৃত্ত ছন্দ
চর্যাপদের ছন্দ
মূল বৈশিষ্ট্য:
-
চর্যাপদ মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত।
-
তবে প্রাচীন কোন ছন্দে রচিত তা নিয়ে বিভিন্ন মতভেদ রয়েছে।
ছন্দের প্রভাব ও মিল:
-
সংস্কৃত পজঝটিকা ছন্দের প্রভাব:
-
প্রতিটি চরণ ষোল মাত্রার
-
চরণে চার পর্ব, প্রতিটি পর্বে চার মাত্রা
-
-
শৌরসেনী প্রাকৃত প্রভাবিত পাদাকুলক ছন্দের সঙ্গেও মিল
-
পাদাকুলক ছন্দের চরণও ষোল মাত্রার, প্রতিটি চরণে চার পর্ব, প্রতি পর্বে চার মাত্রা
-
মন্তব্য:
-
চর্যাপদ মাত্রাবৃত্ত রীতিতে গঠিত হলেও বর্তমান সুনির্দিষ্ট মাত্রাবৃত্ত গণনা পদ্ধতি এতে মানা হয়নি।
-
আধুনিক ছন্দের বিচারে মাত্রাবৃত্ত ছন্দের অধীনে বিবেচিত।
0
Updated: 2 months ago