কোন লেখকের ছদ্মনাম "অশীতিপর শর্মা"?
A
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
B
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়
C
বিনয়কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়
D
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
উত্তরের বিবরণ
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
-
জন্ম: ১৮৮২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি, কলকাতার নিকটবর্তী নিমতা গ্রাম
-
পেশা ও পরিচিতি: কবি ও ছান্দসিক; বাংলা সাহিত্যে 'ছন্দের জাদুকর' বা 'ছন্দের রাজা'
-
ছদ্মনাম: নবকুমার, কবিরত্ন, অশীতিপর শর্মা, ত্রিবিক্রম বর্মণ, কলমগীর
অন্যান্য সাহিত্যিকের ছদ্মনাম
-
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: সুনন্দ
-
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়: হাবু শর্মা
-
বিনয়কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়: যাযাবর
উৎস:
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
-
বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 1 month ago
'ভানুসিংহ' কার ছদ্মনাম?
Created: 3 months ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের
B
সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের
C
প্রমথ চৌধুরীর
D
টেকচাঁদ ঠাকুরের
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:
- তিনি ছিলেন কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ-সংস্কারক।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম ১৮৬১ সালের ৭ মে (১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ) কলকাতার জোড়াসাঁকোর অভিজাত ঠাকুর পরিবারে।
- তাঁর পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর।
- এশিয়ার বরেণ্য ব্যক্তিদের মধ্যে তিনিই প্রথম ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন।
- রবীন্দ্রনাথ ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের চতুর্দশ সন্তান।
- ১৮৮৩ সালের ৯ ডিসেম্বর বেণীমাধব রায়চৌধুরীর মেয়ে মৃণালিনী দেবী রায়চৌধুরীকে বিয়ে করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
- তিনি ১৯১৫ সালে ইংরেজ প্রদত্ত ‘নাইট’ উপাধি পান এবং ১৯১৯ সালে পাঞ্জাবের জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের কারণে ‘নাইট’ উপাধি ফিরিয়ে দেন।
- ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট (২২ শ্রাবণ ১৩৪৮) জোড়াসাঁকোর নিজ বাড়িতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মোট নয়টি ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন। এগুলো হলো-
- ভানুসিংহ ঠাকুর,
- অকপটচন্দ্র ভাস্কর,
- আন্নাকালী পাকড়াশী,
- দিকশূন্য ভট্টাচার্য,
- নবীনকিশোর শর্মণঃ,
- ষষ্ঠীচরণ দেবশর্মাঃ,
- বাণীবিনোদ বিদ্যাবিনোদ,
- শ্রীমতি মধ্যমা ও
- শ্রীমতি কনিষ্ঠা।
----------------------
অন্যদিকে,
• সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ব্যবহৃত কিছু ছদ্মনাম হলো: নবকুমার, কবিরত্ন, অশীতিপর শর্মা, ত্রিবিক্রম বর্মণ, কলমগীর।
• প্রমথ চৌধুরীর সাহিত্যিক ছদ্মনাম ছিল বীরবল।
• প্যারীচাঁদ মিত্রের ছদ্মনাম টেকচাঁদ ঠাকুর।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 3 months ago
হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর উপাধি কী?
Created: 1 month ago
A
পণ্ডিত
B
বিদ্যাসাগর
C
শাস্ত্রজ্ঞ
D
মহামহােপাধ্যায়
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ছিলেন একজন বিশিষ্ট প্রাচ্যবিদ্যা বিশেষজ্ঞ এবং সংস্কৃত পণ্ডিত, যিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তিনি বিভিন্ন সম্মান ও উপাধি দ্বারা কৃতিত্বপূর্ণ সম্মানিত হয়েছেন।
-
উপাধি: হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর সর্বাধিক পরিচিত উপাধি হলো মহামহোপাধ্যায়।
-
শিক্ষা ও পণ্ডিতত্ব: তিনি প্রাচ্যবিদ্যা বিশারদ এবং সংস্কৃতের পণ্ডিত ছিলেন।
-
সম্মাননা:
-
১৮৯৮ সালে ‘মহামহোপাধ্যায়’ উপাধি পান, যা ভারতের প্রথাগত সম্মান হিসেবে দেওয়া হয়েছিল।
-
১৯১১ সালে তিনি সি.আই.ই (Companion of the Order of the Indian Empire) উপাধি লাভ করেন।
-
১৯২১ সালে ইংল্যান্ডের রয়্যাল এশিয়াটিক সোসাইটির অনারারি মেম্বার নির্বাচিত হন।
-
১৯২৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনারারি ডি.লিট উপাধি লাভ করেন।
-
-
সাহিত্যকর্ম:
-
বেণের মেয়ে
-
বাল্মীকির জয়
-
মেঘদূত
-
প্রাচীন বাংলার গৌরব
-
0
Updated: 1 month ago
‘বীরবল' নিম্নোক্ত একজন লেখকের ছদ্মনাম-
Created: 4 months ago
A
প্রমথ চৌধুরী
B
ধূর্জটি প্রসাদ মুখোপাধ্যায়
C
সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
D
নবীনচন্দ্র সেন
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম পথিকৃৎ প্রমথ চৌধুরী ১৮৬৮ সালের ৭ আগস্ট ব্রিটিশ ভারতের যশোর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। সাহিত্যজগতে তিনি ‘বীরবল’ ছদ্মনামে লেখালেখি করতেন।
চলিত রীতির প্রবর্তন:
বাংলা গদ্যরীতিতে এক নতুন ধারা আনয়নকারী হিসেবে প্রমথ চৌধুরীর নাম চিরস্মরণীয়। ১৯০২ সালে ভারতী পত্রিকায় প্রকাশিত ‘বীরবলের হালখাতা’ প্রবন্ধের মাধ্যমে তিনি প্রথমবারের মতো বাংলা গদ্যে চলিত রীতির সফল প্রয়োগ ঘটান।
সম্পাদনা কার্য:
তিনি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রভাবশালী পত্রিকা ‘সবুজপত্র’ সম্পাদনা করেন, যা তৎকালীন সাহিত্যজগতে এক বিপ্লব সৃষ্টি করেছিল।
কবিতায় অবদান:
প্রমথ চৌধুরী বাংলা কাব্য সাহিত্যে ইতালীয় সনেট ধারার সূচনা করেন। তার কবিতা সরলতা, সংযম ও বুদ্ধিদীপ্ততার অনন্য সংমিশ্রণ।
রচিত কাব্যগ্রন্থ:
-
সনেট পঞ্চাশৎ
-
পদচারণ
রচিত প্রবন্ধগ্রন্থ:
-
তেল নুন লকড়ি
-
বীরবলের হালখাতা
-
নানাকথা
-
আমাদের শিক্ষা
-
রায়তের কথা
-
নানাচর্চা
-
আত্মকথা
-
প্রবন্ধসংগ্রহ
📙 রচিত গল্পগ্রন্থ:
-
চার ইয়ারী কথা
-
আহুতি
-
নীল্লোহিত
উল্লেখযোগ্য দিক:
প্রমথ চৌধুরীর সাহিত্যকর্মে যেমন রয়েছে ভাষার স্বচ্ছন্দ ব্যবহার, তেমনি রয়েছে চিন্তার আধুনিকতা ও যুক্তিবাদিতা। তিনি বাংলা গদ্যের ভাষাশৈলীতে আধুনিকতার বাতিঘর হয়ে আজও দীপ্তিমান।
তথ্যসূত্র:
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর
-
বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 4 months ago