A
অনুগামিত
B
খ্যাতি
C
সম্যক
D
আধিক্য
উত্তরের বিবরণ
'প্র' উপসর্গের ব্যবহার
1. প্রকৃষ্ট/সম্যক অর্থে:
-
প্রভাব, প্রচলন, প্রস্ফুটিত
2. খ্যাতি অর্থে:
-
প্রসিদ্ধ, প্রতাপ, প্রভাব
3. আধিক্য অর্থে:
-
প্রগাঢ়, প্রচার, প্রবল, প্রসার
4. গতি অর্থে:
-
প্রবেশ, প্রস্থান
5. ধারা-পরম্পরা বা অনুগামিত অর্থে:
-
প্রপৌত্র, প্রশাখা
তৎসম (সংস্কৃত) উপসর্গ
তৎসম উপসর্গের সংখ্যা: ২০
উদাহরণ: প্র, পরা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অপি, অভি, উপ, আ
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)

0
Updated: 17 hours ago
'অপসৃষ্টি' শব্দে 'অপ' উপসর্গটি কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
Created: 1 day ago
A
স্থানান্তর অর্থে
B
বিপরীত অর্থে
C
নিকৃষ্ট অর্থে
D
অভাব অর্থে
• 'অপ' তৎসম উপসর্গ। বিভিন্ন অর্থে 'অপ' উপসর্গের ব্যবহার-
- বিপরীত অর্থে: অপমান, অপকার, অপচয়, অপবাদ।
- নিকৃষ্ট অর্থে: অপসংস্কৃতি, অপকর্ম, অপসৃষ্টি, অপযশ।
- স্থানান্তর অর্থে: অপসারণ, অপহরণ।
- বিকৃত অর্থে: অপমৃত্যু।
• সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ:
বাংলা ভাষায় যে সকল সংস্কৃত উপসর্গ ব্যবহার করা হয় তাদের সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ বলে। সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ ২০টি।
যথা: প্র, পরা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অভি, অপি, উপ, আ।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯-সংস্করণ)।

0
Updated: 1 day ago
উপসর্গ সাধিত শব্দ নয় কোনটি?
Created: 1 week ago
A
উনবর্ষা
B
ভরপেট
C
তেপায়া
D
অকাজ
উপসর্গ বিশ্লেষণ:
-
তেপায়া – এটি উপসর্গ-সাধিত শব্দ নয়, কারণ এখানে 'তে' কোনো ধরনের উপসর্গ নয়।
অন্যদিকে:
-
উনবর্ষা – খাঁটি বাংলা উপসর্গ 'উন' রয়েছে।
-
ভরপেট – খাঁটি বাংলা উপসর্গ 'ভর' রয়েছে।
-
অকাজ – খাঁটি বাংলা উপসর্গ 'অ' রয়েছে।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)।

0
Updated: 1 week ago
'কদাকার' শব্দটি কোন উপসর্গযোগে গঠিত?
Created: 1 week ago
A
দেশি উপসর্গযোগে
B
বিদেশি উপসর্গযোগে
C
সংস্কৃত উপসর্গযোগে
D
কোনোটি নয়
•‘কদ’ খাঁটি বাংলা উপসর্গযোগে নিন্দিত অর্থে গঠিত শব্দ: কদবেল, কদাকার এবং কদর্য ইত্যাদি।
[অপশনে খাঁটি বাংলা উপসর্গ কথাটা লেখা না থাকায়, প্রশ্নটি 'কোনটিই নয়' সঠিক উত্তর হিসেবে গ্রহণ করা হলো।]
-------------------
• উপসর্গ:
বাংলা ভাষায় যেসব শব্দখণ্ড বা শব্দাংশ ধাতুর পূর্বে বসে নতুন শব্দ গঠন করে, সেগুলোকে বলে উপসর্গ।
• বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত উপসর্গকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
১. খাটি বাংলা উপসর্গ,
২. সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ এবং
৩. বিদেশি উপসর্গ।
• সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ:
বাংলা ভাষায় যে সকল সংস্কৃত উপসর্গ ব্যবহার করা হয় তাদের সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ বলে। সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ ২০টি।
যথা: প্র, পরা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অভি, অপি, উপ, আ।
• খাঁটি বাংলা উপসর্গ:
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত নিজস্ব উপসর্গকে খাঁটি বাংলা উপসর্গ বলা হয়। খাঁটি বাংলা উপসর্গ ২১টি।
যথা: অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, ঊন (ঊনা), কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।
[বাংলা উপসর্গের মধ্যে আ, সু, বি, নি এই চারটি উপসর্গ তৎসম শব্দেও পাওয়া যায়।]
• বিদেশি উপসর্গ:
আরবি, ফারসি, ইংরেজি, হিন্দি এসব ভাষার বহু শব্দ দীর্ঘকাল ধরে বাংলা ভাষায় প্রচলিত আছে।
এছাড়া কিছু বিদেশি উপসর্গও বাংলায় চালু আছে।
• বিদেশি উপসর্গ অনির্দিষ্ট বা অনির্ণেয়।
যেমন:
- আরবি উপসর্গ: আম, খাস, লা, গর, বাজে এবং খয়ের।
- ফারসি উপসর্গ: কার, দর, না, নিম, ফি, বদ, বে, বর, ব, কম।
- উর্দু উপসর্গ: হর।
- ইংরেজি উপসর্গ: হেড, সাব, ফুল, হাফ।
উৎস: প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি, ড. হায়াৎ মামুদ।

0
Updated: 1 week ago