A
গোয়ালা-গোয়ালীনি
B
শ্বেতাঙ্গ-শ্বেতায়ঙ্গিনী
C
ঠাকুর-ঠাকুরানি
D
ধনী-ধনীনি
উত্তরের বিবরণ
শব্দের শেষে '-আনি'/'আনী' প্রত্যয়যোগে গঠিত স্ত্রীবাচক শব্দ:
-
শূদ্র → শূদ্রানী
-
অরণ্য → অরণ্যানী
-
ঠাকুর → ঠাকুরানি
শব্দের শেষে '-ইনী' প্রত্যয়যোগে গঠিত স্ত্রীবাচক শব্দ:
-
গোয়ালা → গোয়ালিনী
-
শ্বেতাঙ্গ → শ্বেতাঙ্গিনী
-
ধনী → ধনিনী
উৎস: বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি, অষ্টম শ্রেণি

0
Updated: 17 hours ago
‘কালান্তর’ শব্দটির ব্যাসবাক্য কোনটি?
Created: 3 days ago
A
অন্যকাল
B
ক্ষুদ্রকাল
C
কালের অন্তর
D
কাল ও অন্তর
কালান্তর শব্দটির ব্যাসবাক্য অন্য কাল। সমস্তপদের শেষে 'অন্তর' কথাটি থাকলেই নিত্য সমাস হবে। ব্যাসবাক্য করার সময় "অন্তর" এর স্থলে "অন্য" শব্দটি ব্যবহৃত হবে। যেমনঃ কালান্তর = অন্য কাল (নিত্যসমাস), দেশান্তর = অন্য দেশ (নিত্য সমাস), ধর্মান্তর= অন্য ধর্ম (নিত্য সমাস) এই রকম আরও কিছু নিত্য সমাসের উদাহরণ- গ্রামান্তর, দ্বীপান্তর, গৃহান্তর।

0
Updated: 3 days ago
প্রত্যক্ষ কোনো বস্তুর সাথে পরোক্ষ কোন বস্তুর তুলনা করলে বস্তুটিকে বলা হয়—
Created: 1 week ago
A
উপমান
B
রূপক
C
উপমেয়
D
উপমিত
ত্যক্ষ কোনো বস্তুর সাথে পরোক্ষ কোনো বস্তুর তুলনা করলে প্রত্যক্ষ বস্তুটিকে বলা হয় উপমেয়, এবং যার সাথে তুলনা করা হয়েছে তাকে বলা হয় উপমান।) এরূপ- তুষারের ন্যায় শুভ্র= তুষারশুভ্র, অরুণের ন্যায় রাঙা= অরুণরাঙা, রক্তের ন্যায় লাল= রক্তলাল, চন্দনের মতো স্নিগ্ধ= চন্দনস্নিগ্ধ।

0
Updated: 1 week ago
নিচের কোন শব্দে ণ-ত্ব বিধি অনুসারে 'ণ'-এর ব্যবহার হয়েছে?
Created: 2 weeks ago
A
কল্যাণ
B
প্রবণ
C
নিক্কণ
D
বিপণি
ণ-ত্ব বিধান ও ‘ণ’ ব্যবহারের নিয়ম
বাংলা ভাষায় অনেক তৎসম বা সংস্কৃত মূলের শব্দে মূর্ধন্য ‘ণ’ এবং দন্ত্য ‘ন’ ব্যবহৃত হয়। তৎসম শব্দের বানানে কখন ‘ণ’ ব্যবহার হবে তা জানার নিয়মই মূলত ণ-ত্ব বিধান।
১. ‘ণ’ ব্যবহারের নিয়ম
-
ট-বর্গীয় ধ্বনির আগে তৎসম শব্দে সব সময় ‘ণ’ ব্যবহার করা হয়।
উদাহরণ: ঘণ্টা, কাণ্ড, লুণ্ঠন -
ঋ, র, ষ-এর পরে ‘ণ’ আসে।
উদাহরণ: ঋণ, তৃণ, বর্ণ, বর্ণনা, কারণ, মরণ, ব্যাকরণ, ভীষণ, ভাষণ, উষ্ণ -
ঋ, র, ষ-এর পরে যদি স্বরধ্বনি, ষ, য, ব, হ, ং বা ক-বর্গীয়/প-বর্গীয় ধ্বনি থাকে, তখন পরবর্তী ‘ন’ মূর্ধন্য ‘ণ’ হয়।
উদাহরণ: কৃপণ, হরিণ, অর্পণ, লক্ষণ, রুক্মিণী, ব্রাহ্মণ -
কিছু শব্দে স্বাভাবিকভাবেই ‘ণ’ থাকে, যা নিয়ম অনুসরণ ছাড়াও ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণ: পুণ্য, নিক্কণ, চিক্কণ, লাবণ্য, কল্যাণ, বিপণি, আপণ, গৌণ, ভাণ, শাণ, চাণক্য, মাণিক্য, গণ, বাণিজ্য, লবণ, মণ, বেণু, বীণা, কঙ্কণ, কণিকা, স্থাণু, ফণী, পিণাক
২. ণ-ত্ব বিধান প্রযোজ্য নয় এমন ক্ষেত্রে
-
সমাসযুক্ত শব্দে সাধারণত ‘ণ’ হয় না, বরং ‘ন’ ব্যবহার হয়।
উদাহরণ: ত্রিনয়ন, সর্বনাম, দুর্নীতি, দুর্নাম, দুর্নিবার, পরনিন্দা, অগ্রনায়ক -
ট-বর্গীয় বর্ণের সঙ্গে যুক্ত হলে ‘ণ’ হয় না।
উদাহরণ: অন্ত, গ্রন্থ, ক্রন্দন -
বাংলা দেশি, তদ্ভব বা বিদেশি শব্দে ‘ণ’ লেখার কোনো প্রয়োজন নেই।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)

0
Updated: 2 weeks ago