বাংলা একাডেমি ১৯৯২ সালে প্রমিত বানানের নিয়ম প্রণয়ন করে।
-
বাংলা একাডেমি ড. আনিসুজ্জামানকে সভাপতি করে একটি কমিটি গঠন করে, যা বানানের নিয়মগুলি সূত্রবদ্ধ করে।
-
এই কমিটি বিশ্বভারতী, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের প্রবর্তিত বানানরীতির সমন্বয় করে।
-
এর মাধ্যমে একটি অভিন্ন বানান নিয়ম তৈরি করা হয়, যা 'বাংলা একাডেমির প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম' নামে পরিচিত।
-
প্রথম প্রকাশ ১৯৯২ সালের ডিসেম্বর এবং পরিমার্জিত সংস্করণ ১৯৯৪ সালের জানুয়ারিতে প্রকাশিত হয়।
-
একই কমিটির সদস্য জামিল চৌধুরী পরবর্তী সময়ে ‘বাংলা বানান-অভিধান’ প্রণয়ন করেন।
-
১৯৯৪ সালের জুনে বাংলা একাডেমি এই অভিধানটি প্রকাশ করে।
-
এই বানান রীতিকে বাংলাদেশের সমসাময়িক সাহিত্য এবং পত্র-পত্রিকায় 'প্রমিত' হিসেবে গণ্য করা হয়, যাতে বিভ্রান্তি এড়ানো যায়।
এছাড়াও, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড ১৯৮৮ সালে বাংলা বানানের নিয়ম প্রণয়ন করে।
বাংলা একাডেমি অভিধান রচনায় ১৯৫৫ সাল থেকে মনোনিবেশ করে।
-
প্রথমে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর নেতৃত্বে ১৯৬৫ সালে 'পূর্ব পাকিস্তানি আঞ্চলিক ভাষার অভিধান' (পরে 'বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান') প্রকাশিত হয়।
-
এরপর, ১৯৭৪ সালে ড. মুহম্মদ এনামুল হকের উদ্যোগে 'ব্যবহারিক বাংলা অভিধান' প্রণয়নের কাজ শুরু হয়, যা ১৯৮৪ সালে অধ্যাপক শিবপ্রসন্ন লাহিড়ীর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়।
বাংলা একাডেমি বিভিন্ন অভিধানও প্রকাশ করেছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
-
Bangla Academy English-Bangla Dictionary (১৯৯৩)
-
Bangla Academy Bengali-English Dictionary (১৯৯৪)
-
বাংলা একাডেমি বাংলা বানান অভিধান (১৯৯৪)
-
বাংলা একাডেমী বাংলা উচ্চারণ অভিধান (১৯৯০)
-
যথাশব্দ (১৯৭৪)
-
বাংলা একাডেমী ছোটদের অভিধান (১৯৮৩)
এসব অভিধান বাংলা ভাষার প্রচলন ও ব্যুৎপত্তি সম্বন্ধে আরও ভালো ধারণা প্রদান করে।