বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতি সরকারের পরিবর্তে সংসদীয় শাসনব্যবস্থা চালু হয় সংবিধানের কত নম্বর সংশোধনীর মাধ্যমে?
A
ক) ১০
B
খ) ১১
C
গ) ১২
D
ঘ) ১৩
উত্তরের বিবরণ
দ্বাদশ সংশোধনী
দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি শাসনের পরিবর্তে পুনরায় সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা চালু করা হয়।
এই সংশোধনীটি ১৯৯১ সালের ৬ আগস্ট জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়।
• দ্বাদশ সংশোধনীর মূল দিকসমূহ:
১. রাষ্ট্রপতি হন রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রধান।
২. প্রধানমন্ত্রী হন সরকারের প্রধান নির্বাহী।
৩. মন্ত্রিপরিষদ প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বে জাতীয় সংসদের প্রতি দায়বদ্ধ থাকে।
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশের সংবিধান, আরিফ খান।
0
Updated: 5 months ago
সংবিধানের কোন সংশোধনীতে "রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম" সংযোজিত হয়?
Created: 1 month ago
A
দ্বিতীয় সংশোধনী
B
চতুর্থ সংশোধনী
C
অষ্টম সংশোধনী
D
দশম সংশোধনী
অষ্টম সংশোধনী সংসদে ১১ মে ১৯৮৮ তারিখে উত্থাপিত হয়, উত্থাপনকারী ছিলেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। সংসদে এটি গৃহীত হয় ৭ জুন ১৯৮৮ এবং রাষ্ট্রপতির সম্মতি লাভ করে ৯ জুন ১৯৮৮ তারিখে।
মূল বিষয়বস্তু:
-
ইসলাম ধর্মকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ঘোষণা।
-
হাইকোর্ট বিভাগের ছয়টি বেঞ্চ যথাক্রমে বরিশাল, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, যশোর, রংপুর ও সিলেট এ স্থাপন।
-
বাংলাদেশের নাগরিকরা রাষ্ট্রপতির অনুমতি সাপেক্ষে বিদেশ থেকে কোনো উপাধি গ্রহণ করতে পারবে।
-
রাজধানীর নামের ইংরেজি বানান Dacca এর পরিবর্তে Dhaka, এবং বাংলা ভাষার ইংরেজি নাম Bengali এর পরিবর্তে Bangla গৃহীত হয়।
প্রসঙ্গ:
-
হাইকোর্ট বিভাগের বেঞ্চ স্থাপনের বিষয়ে দুটি নাগরিক রীট পিটিশন দায়ের করেন—আনোয়ার হোসেন চৌধুরী ও জালাল উদ্দিন।
-
তাদের রীট পিটিশনের কারণে ঢাকার বাইরে হাইকোর্ট বিভাগের ৬টি স্থায়ী বেঞ্চ স্থগিত হয়। পরবর্তীতে এটি বাতিল করা হয়।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
সংবিধানের কোন ভাগে 'নির্বাচন' নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
সপ্তম ভাগে
B
চতুর্থ ভাগে
C
পঞ্চম ভাগে
D
ষষ্ঠ ভাগে
বাংলাদেশের সংবিধান ১১টি ভাগে বিভক্ত।
-
প্রথম ভাগ: প্রজাতন্ত্র
-
দ্বিতীয় ভাগ: রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি
-
তৃতীয় ভাগ: মৌলিক অধিকার
-
চতুর্থ ভাগ: নির্বাহী বিভাগ
-
পঞ্চম ভাগ: আইনসভা
-
ষষ্ঠ ভাগ: বিচারবিভাগ
-
সপ্তম ভাগ: নির্বাচন
-
অষ্টম ভাগ: মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক
-
নবম-ক ভাগ: জরুরি বিধানাবলী
-
নবম ভাগ: বাংলাদেশের কর্মবিভাগ
-
দশম ভাগ: সংবিধান সংশোধন
-
একাদশ ভাগ: বিবিধ
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশ সংবিধানের প্রশাসনিক ট্রাইবুনাল বিষয়টি কত নং অনুচ্ছেদে সন্নিবেশ করা হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
১১১ নং
B
১১৩ নং
C
১১৭ নং
D
১১৯ নং
প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল (অনুচ্ছেদ ১১৭)
-
বাংলাদেশের সংবিধানের ষষ্ঠ ভাগের তৃতীয় পরিচ্ছেদে ১১৭ নং অনুচ্ছেদে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের বিষয়বস্তু উল্লেখ রয়েছে।
১১৭ (১) অনুযায়ী ট্রাইব্যুনাল গঠনের উদ্দেশ্য:
সংসদ আইনের মাধ্যমে এক বা একাধিক প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল গঠন করা যেতে পারে নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে:
-
সরকারি চাকরির শর্ত ও শাস্তি: সংবিধানের নবম ভাগে বর্ণিত বিষয় এবং সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত ব্যক্তিদের চাকরির শর্ত, যেমন জরিমানা বা অন্যান্য শাস্তি।
-
রাষ্ট্রায়ত্ত উদ্যোগ বা সরকারি কর্তৃপক্ষ: এ ধরনের উদ্যোগ বা কর্তৃপক্ষের পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা, চাকরি বিষয়ক বিষয় এবং সরকারের মালিকানাধীন বা পরিচালিত সম্পত্তির ক্রয়, প্রশাসন, ব্যবস্থাপনা ও বণ্টন।
-
আইনের বিষয়: সংবিধানের ১০২(৩) অনুচ্ছেদে উল্লেখিত কোনো আইনের বিষয়।
১১৭ (২) অনুযায়ী ট্রাইব্যুনালের ক্ষমতা:
-
যদি কোনো প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়, তবে তার এখতিয়ারের আওতাভুক্ত বিষয়ে অন্য কোনো আদালত মামলা গ্রহণ বা আদেশ দিতে পারবে না।
-
তবে সংসদ আইনের মাধ্যমে ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা বা আপিলের ব্যবস্থা করতে পারে।
উল্লেখযোগ্য:
-
ষষ্ঠ ভাগে মোট ৩টি পরিচ্ছদ রয়েছে:
-
১ম পরিচ্ছদ: সুপ্রীম কোর্ট (অনুচ্ছেদ ৯৪–১১৩)
-
২য় পরিচ্ছদ: অধস্তন আদালত (অনুচ্ছেদ ১১৪–১১৬)
-
৩য় পরিচ্ছদ: প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল (অনুচ্ছেদ ১১৭)
-
উৎস:
0
Updated: 1 month ago