দ্বিস্বরধ্বনি

• সংজ্ঞা:
  যখন পূর্ণ স্বরধ্বনি ও অর্ধস্বরধ্বনি একত্রে উচ্চারিত হয়, তখন তাকে দ্বিস্বরধ্বনি বলা হয়।

• উদাহরণ – কৈ:

  • ‘কৈ’ শব্দে [ও] পূর্ণ স্বরধ্বনি এবং [ই্‌] অর্ধস্বরধ্বনি একত্রে উচ্চারিত হয়ে [ওই্‌] তৈরি হয়েছে।

• দ্বিস্বরধ্বনির আরও উদাহরণ:

উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম–দশম শ্রেণি (২০২১ সংস্করণ)

দ্বিগু সমাস= সংখ্যাবাচক শব্দ+বিশেষ্য। সাত= সংখ্যাবাচক শব্দ এবং সমুদ্র=বিশেষ্য।

দ্বিগু সমাস হলো সমাহার বা মিলনের অর্থ প্রকাশকারী এমন সমাস যেখানে সংখ্যাবাচক শব্দ এবং বিশেষ্য পদ মিলিত হয়ে একটি নতুন বিশেষ্য গঠন করে। দ্বিগু সমাসে সমাসনিষ্পন্ন পদটি সর্বদা বিশেষ্য পদ হিসেবে কাজ করে।

দ্বিগু সমাস নির্ণয়ের সহজ উপায় হলো:

• প্রথম পদটি সংখ্যাবাচক শব্দ হয়।

• পরবর্তী পদটি বিশেষ্য পদ হয়।

• সমাসনিষ্পন্ন সমস্ত পদ সমষ্টি বা সমাহার বোঝায়।

• সমাসিত শব্দটি একটি বিশেষ্য পদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

উদাহরণ:

• সাত সমুদ্রের সমাহার = সাতসমুদ্র (এখানে "সাত" সংখ্যাবাচক এবং "সমুদ্র" বিশেষ্য; মিলিত হয়ে সাতটি সমুদ্রের সমষ্টি বোঝাচ্ছে)

অন্যান্য উদাহরণ:

• আটটি ধাতুর সমাহার = অষ্টধাতু

• তিন কালের সমাহার = ত্রিকাল

• পাঁচ সেরের সমাহার = পঁসুরি

• শত বর্ষের সমাহার = শতবর্ষ

• শত অব্দের সমাহার = শতাব্দী

• সপ্ত ঋষির সমাহার = সপ্তর্ষি

• ত্রি (তিন) পদের সমাহার = ত্রিপদী

এছাড়া আরও কিছু দ্বিগু সমাসের উদাহরণ: অষ্টধাতু, চতুর্ভুজ, চতুরঙ্গ, ত্রিমোহিনী, তেরনদী, পঞ্চভূত, সাতসমুদ্র।