কোন কবির রচনা ধারাকে অনুসরণ করে জ্ঞানদাস পদ রচনা করতেন?
A
গোবিন্দদাস
B
চণ্ডীদাস
C
শ্রীচৈতন্যদেব
D
দ্বীজ বংশীদাস
উত্তরের বিবরণ
• জ্ঞানদাস:
-
চৈতন্যোত্তর বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি।
-
বৈষ্ণব সাধকদের মধ্যেও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
-
বৈষ্ণবগুরু নিত্যানন্দের পত্নী জাহ্নবী দেবীর শিষ্য ছিলেন।
-
প্রথম ‘ষোড়শ-গোপাল’-এর রূপ বর্ণনা করে পদ রচনা করেছেন।
-
বাংলা এবং ব্রজবুলিতে রাধাকৃষ্ণ বিষয়ক প্রায় ২০০ (মতান্তরে ৪০০) পদ রচনা করেছেন।
-
রচিত গ্রন্থ: মাথুর ও মুরলীশিক্ষা।
-
পদরচনায় বিদ্যাপতি ও চণ্ডীদাসকে অনুসরণ করলেও নিজের সরল সুরে রচনা করেছেন।
-
প্রধান বিষয়: প্রেম, সৌন্দর্য ও আধ্যাত্মিকতা; বৃন্দাবনের কিশোর-কিশোরীর লীলাকে মানবজীবনের আলোকে বর্ণনা করেছেন।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম ও বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 1 month ago
প্রমথ চৌধুরী রচিত প্রবন্ধগ্রন্থ নয় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
আমাদের শিক্ষা
B
নানা কথা
C
আহুতি
D
রায়তের কথা
‘আহুতি’
‘আহুতি’ প্রমথ চৌধুরী রচিত একটি গল্পগ্রন্থ, যা ১৯১৯ সালে প্রকাশিত হয়।
প্রমথ চৌধুরী
-
বাংলা চলিত গদ্যরীতির প্রবর্তক প্রমথ চৌধুরী ১৮৬৮ সালের ৭ আগস্ট যশোরে জন্মগ্রহণ করেন।
-
তিনি বাংলা সাহিত্যে ইতালীয় সনেটের সূচনা করেন।
-
ফরাসি সনেটরীতি যেমন ট্রিয়লেট, তের্জারিমা ইত্যাদিও তিনিই প্রথম বাংলায় প্রচলন করেন।
-
১৯১৪ সালে তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত মাসিক সবুজপত্র বাংলা চলিত গদ্যরীতির প্রতিষ্ঠায় অন্যতম প্রধান ভূমিকা রাখে। এটি তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ কীর্তি হিসেবে বিবেচিত।
-
পরবর্তীতে ‘বীরবল’ ছদ্মনামে সবুজপত্র পত্রিকায় ব্যঙ্গরসাত্মক প্রবন্ধ ও গল্প লিখে বাংলা সাহিত্যে ‘বীরবলী ধারা’ সৃষ্টি করেন।
-
চলিত রীতিতে তাঁর প্রথম গদ্যরচনা ছিল ‘বীরবলের হালখাতা’, যা ১৯০২ সালে ভারতী পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
প্রমথ চৌধুরীর গ্রন্থসমূহ
প্রবন্ধগ্রন্থ
-
নানা কথা
-
আমাদের শিক্ষা
-
রায়তের কথা
-
নানাচর্চা
-
প্রবন্ধ সংগ্রহ
-
বীরবলের হালখাতা
-
তেল নুন লকড়ি
গল্পগ্রন্থ
-
চার ইয়ারী কথা
-
আহুতি
-
নীললোহিত
-
গল্পসংগ্রহ
কাব্যগ্রন্থ
-
সনেট পঞ্চাশৎ
-
পদচারণ
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা এবং বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 1 month ago
বাংলা সাহিত্যের 'স্বভাব কবি' হচ্ছেন -
Created: 2 months ago
A
বিজন ভট্টাচার্য
B
শামসুর রহমান
C
গােবিন্দচন্দ্র দাস
D
নবীনচন্দ্র সেন
গােবিন্দচন্দ্র দাস:
- গােবিন্দচন্দ্র দাস ১৮৫৫ সালের ১৬ জানুয়ারি ঢাকা জেলার ভাওয়ালের জয়দেবপুরে এক দরিদ্র পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
- বাংলা সাহিত্যের 'স্বভাব কবি' হচ্ছেন গােবিন্দচন্দ্র দাস।
- রবীন্দ্রনাথের সমকালে আধুনিক গীতিকবিতার ধারায় কবিতা রচনা করেই গোবিন্দচন্দ্র খ্যাত হন।
- তাঁর প্রথমা পত্নী সারদাসুন্দরীর মৃত্যুর প্রায় সাত বছর পর তিনি দ্বিতীয়বার দারপরিগ্রহ করেন।
- কিন্তু কবিতার মাধ্যমে তিনি তাঁর প্রথমা পত্নীকে অমর করে রেখেছেন।
তাঁর কাব্যগ্রন্থ:
- প্রেম ও ফুল,
- কুঙ্কুম,
- কস্তুরী,
- চন্দন,
- ফুলরেণু (সনেট),
- বৈজয়ন্তী,
- শোক ও সান্ত্বনা,
- শোকোচ্ছ্বাস ইত্যাদি।
0
Updated: 2 months ago
নিচের কোনটি রোম্যান্টিক প্রণয়োপাখ্যানধর্মী অনুবাদ সাহিত্য নয়?
Created: 2 months ago
A
ইউসুফ-জোলেখা
B
মধুমালতী
C
লায়লী-মজনু
D
রামায়ণ
‘রোম্যান্টিক প্রণয়োপাখ্যান' ধারার সাহিত্য:
- অনুবাদ সাহিত্য মধ্যযুগের একটি সাহিত্য ধারা। মুসলমান সাহিত্যিকদের অনুবাদকৃত সাহিত্যের নাম 'রোম্যান্টিক প্রণয়োপাখ্যান'।
- 'রোম্যান্টিক প্রণয়োপাখ্যান' মূলত মুসলিম চরিত্রনির্ভর ও প্রণয় সংক্রান্ত বিষয়বস্তু নিয়ে লিখিত সাহিত্যকর্ম।
- এই ধারার কয়েকজন কবি হচ্ছেন- শাহ মুহম্মদ সগীর, সৈয়দ সুলতান, দৌতল কাজী, আবদুল হাকিম, আলাওল, কোরেশী মাগন ঠাকুর প্রমুখ।
'রোম্যান্টিক প্রণয়োপাখ্যান' অনুবাদ সাহিত্যসমূহ হলো:
- ইউসুফ-জোলেখা,
- লায়লী মজনু,
- মধুমালতী,
- গুলে বকাওলী,
- সতীময়না ও লোরচন্দ্রানী,
- চন্দ্রাবতী,
- পদ্মাবতী ইত্যাদি।
অন্যদিকে,
রামায়ণ:
- রামায়ণের প্রথম বাংলা অনুবাদ করেন - কৃত্তিবাস ওঝা।
- রামায়ণ সংস্কৃত ভাষার কাব্য। সংস্কৃত ভাষায় রামায়ণ রচনা করেন বাল্মীকি
- গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের নির্দেশে কৃত্তিবাস বাংলায় ''রামায়ণ'' অনুবাদ করেন।
0
Updated: 2 months ago