পূর্ববঙ্গ-গীতিকা কোন প্রতিষ্ঠান হতে প্রকাশিত হয়?
A
আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়
B
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
C
বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ
D
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
উত্তরের বিবরণ
• পূর্ববঙ্গ-গীতিকা:
- পূর্ববাংলার লোকসাহিত্যের একটি সংকলন।
- মুখে মুখে রচিত ও লোকসমাজে প্রচলিত এর পালাগুলি বাংলা সাহিত্যের এক অমূল্য সম্পদ।
- ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ফরিদপুর, সিলেট (শ্রীহট্ট), ত্রিপুরা প্রভৃতি অঞ্চল থেকে পালাগুলি সংগৃহীত হয়েছে।
- এগুলির প্রধান প্রধান সংগ্রাহক হলেন চন্দ্রকুমার দে, দীনেশচন্দ্র সেন, আশুতোষ চৌধুরী, জসীমউদ্দীন, নগেন্দ্রচন্দ্র দে, রজনীকান্ত ভদ্র, বিহারীলাল রায়, বিজয়নারায়ণ আচার্য প্রমুখ।
- সংগৃহীত পালাগুলির সংখ্যা পঞ্চাশের অধিক।
- ১৯১৩ সাল থেকে চন্দ্রকুমার দে প্রথম এ ধরণের লোকগাথা প্রকাশ করতে থাকেন।
- দীনেশচন্দ্র সেন সেগুলি পড়ে আকৃষ্ট হন এবং চন্দ্রকুমারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
- পূর্ববঙ্গ-গীতিকা (১৯২৬) নামে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত হয়।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা এবং বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 1 month ago
'বাঙালি ও বাঙলা সাহিত্য’-গ্রন্থের রচয়িতা কে?
Created: 1 month ago
A
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
B
মুহম্মদ আব্দুল হাই
C
সৈয়দ আলী আহসান
D
আহমদ শরীফ
আহমদ শরীফ ‘বাঙালী ও বাঙলা সাহিত্য’ নামক গবেষণা গ্রন্থের রচয়িতা।
আহমদ শরীফ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য:
-
পেশা: শিক্ষাবিদ, চিন্তাবিদ, লেখক ও বাংলা সাহিত্যের গবেষক
-
জন্ম: ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৯২১, চট্টগ্রাম জেলা, পটিয়া উপজেলা, সুচক্রদণ্ডী গ্রাম
-
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা: বাংলা একাডেমি সংক্ষিপ্ত বাংলা অভিধানের সম্পাদক
-
প্রধান রচনা: বাঙালী ও বাঙলা সাহিত্য (দু খণ্ড, ১৯৭৮ ও ১৯৮৩) – মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস গ্রন্থ
আহমদ শরীফের প্রবন্ধগ্রন্থসমূহ:
-
বিশ শতকের বাঙালি
-
বিচিত্র চিন্তা
-
স্বদেশ অন্বেষা
-
স্বদেশ চিন্তা
-
বাঙালী ও বাঙলা সাহিত্য
-
সাহিত্য সংস্কৃতি চিন্তা
0
Updated: 1 month ago
Created: 1 month ago
A
রামরাম বসু
B
উইলিয়াম কেরি
C
তারিণীচরণ মিত্র
D
গোলোকনাথ শর্মা
কথোপকথন বাংলা গদ্যের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ, যা বিদেশিদের বাংলা ভাষা শেখার উদ্দেশ্যে রচিত হলেও এর মধ্য দিয়ে সে সময়কার সমাজজীবনের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে। এটি বাংলা ভাষার প্রারম্ভিক গদ্যচর্চার অন্যতম নিদর্শন।
-
উইলিয়াম কেরি ১৮০১ সালে ‘কথোপকথন’ গ্রন্থটি প্রকাশ করেন। এটি শ্রীরামপুর মিশন প্রেস থেকে বের হয়।
-
গ্রন্থটি রচিত হয়েছিল বিদেশিদের ব্যবহার ও শিক্ষার উপযোগী করার জন্য।
-
এতে তৎকালীন কলকাতা-শ্রীরামপুর অঞ্চলের স্ত্রী-পুরুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা, সামাজিক রীতি-নীতি, ধর্ম ও আচার-আচরণের বিবরণ পাওয়া যায়।
-
কেরি সহজ ও বাস্তব ভঙ্গিতে বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। কোথাও অবিমিশ্র সাধুভাষা আবার কোথাও কথ্যভাষা ব্যবহারের দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়।
-
এটি বাংলা ভাষার কথ্যরীতির প্রথম নিদর্শন হিসেবে স্বীকৃত। একইসঙ্গে সে যুগের সামাজিক ও ব্যবহারিক রীতি-নীতির মূল্যবান তথ্যসূত্র হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ।
-
গ্রন্থটি ছিল দ্বিভাষিক—এক পৃষ্ঠায় বাংলা, অপর পৃষ্ঠায় ইংরেজি।
0
Updated: 1 month ago
চর্যাপদে সর্বাপেক্ষা বেশি পদ রচনা করেন কে?
Created: 1 month ago
A
শবরপা
B
লুইপা
C
কাহ্নপা
D
সরহপা
চর্যাপদে মোট সাড়ে ছেচল্লিশটি পদ পাওয়া গেছে, যার মধ্যে একটি পদ ছেঁড়া বা খণ্ডিত আকারে রয়েছে। পদসংখ্যার ভিত্তিতে কবিদের মধ্যে সর্বাধিক অবদান রেখেছেন কাহ্নপা, যিনি ১৩টি পদ রচনা করেছেন। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবদান রেখেছেন ভুসুকুপা, তাঁর রচিত পদ সংখ্যা ৮। তৃতীয় সর্বোচ্চ অবদানকারী সরহপা, যিনি ৪টি পদ (ক্রমিক ২২, ৩২, ৩৮ ও ৩৯) রচনা করেছেন। চতুর্থ স্থানে রয়েছেন কুক্কুরীপা, যিনি ৩টি পদ রচনা করেছেন। আর পঞ্চম স্থানে রয়েছেন লুইপা, শবরপা ও শান্তিপা, এঁরা প্রত্যেকে ২টি করে পদ রচনা করেছেন।
0
Updated: 1 month ago