'গোরক্ষ বিজয়' গ্রন্থের রচয়িতা কে?
A
শুকর মুহম্মদ
B
ভীমসেন রায়
C
সৈয়দ সুলতান
D
শেখ ফয়জুল্লাহ
উত্তরের বিবরণ
• শেখ ফয়জুল্লাহ:
- তিনি নাথ সাহিত্যের আদি কবি।
- তার নাথ ধর্ম বিষয়ক আখ্যানকাব্যের নাম গোরক্ষ বিজয়।
- এই কাব্যটি আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ আবিষ্কার করেন।
• নাথসাহিত্য:
- নাথধর্মের আচার-আচরণ ও নাথযোগীদের কাহিনীভিত্তিক সাহিত্য।
- এটি মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের একটি বিশেষ ধারা।
- এ সাহিত্য দুটি ধারায় বিকাশ লাভ করে: একটি হলো সাধন-নির্দেশিকা, আর অন্যটি হচ্ছে গাথাকাহিনী বা আখ্যায়িকা।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম ও বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 1 month ago
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত মৌলিক রচনা-
Created: 1 month ago
A
শকুন্তলা
B
ভ্রান্তিবিলাস
C
ব্রজবিলাস
D
সীতার বনবাস
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
জন্ম: ২৬ সেপ্টেম্বর ১৮২০, মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রাম
-
পৈতৃক পদবি: বন্দ্যোপাধ্যায়
-
স্বাক্ষর: ঈশ্বরচন্দ্র শর্মা
-
১৮৩৯ সালে সংস্কৃত কলেজ তাঁকে বিদ্যাসাগর উপাধি প্রদান করে
-
বাংলা গদ্যের জনক; প্রথম যতি/বিরামচিহ্ন স্থাপনকারী
-
প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ: বেতাল পঞ্চবিংশতি
-
বাংলা ভাষায় প্রথম মৌলিক গদ্য: প্রভাবতী সম্ভাষণ
-
ব্যাকরণগ্রন্থ: ব্যাকরণ কৌমুদী
-
মৃত্যু: ২৯ জুলাই ১৮৯১
বিখ্যাত গ্রন্থ:
-
নাটক: শকুন্তলা, সীতার বনবাস, ভ্রান্তিবিলাস
-
মৌলিক রচনা: অতি অল্প হইল, আবার অতি অল্প হইল, ব্রজবিলাস, বিধবা বিবাহ, যশোরের হিন্দু ধর্মরক্ষিণী সভা, রত্ন পরীক্ষা
-
শিক্ষামূলক গ্রন্থ: আখ্যান মঞ্জরী, বোধোদয়, বর্ণপরিচয়, কথামালা
0
Updated: 1 month ago
মাইকেল মধুসূদন দত্ত প্রবর্তিত 'অমিত্রাক্ষর ছন্দ’ প্রকৃত পক্ষে বাংলা কোন ছন্দের নব-রূপায়ণ?
Created: 4 weeks ago
A
স্বরবৃত্ত ছন্দ
B
মাত্রাবৃত্ত ছন্দ
C
অক্ষরবৃত্ত ছন্দ
D
গৈরিশ ছন্দ
মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যের একজন অগ্রণী কবি এবং নাট্যকার, যিনি বাংলা কাব্যে নতুন ধারা ও ছন্দের প্রবর্তন ঘটিয়েছেন। তিনি ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোর জেলার কপোতাক্ষ নদীর তীরে সাগরদাঁড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সনেটের প্রবর্তক এবং অমিত্রাক্ষর ছন্দের উদ্ভাবক, যা বাংলা সাহিত্যে একটি নতুন সুর এবং ছন্দশৈলী নিয়ে এসেছে।
-
মাইকেল মধুসূদন দত্ত একজন মহাকবি এবং নাট্যকার।
-
তিনি বাংলা সনেট প্রবর্তন করেন, যা বাংলা কবিতায় পশ্চিমা প্রভাবের সঙ্গে মিলিত হয়ে নতুন ধারা সৃষ্টি করে।
-
মাইকেল দত্ত অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক, যা বাংলা অক্ষরবৃত্ত ছন্দকে নবজীবন প্রদান করে।
-
তার সাহিত্যকর্মে বাংলা কাব্যকে সুরমুক্তি এবং ছন্দসমৃদ্ধি প্রদান করা হয়েছে।
অক্ষরবৃত্ত ছন্দ বাংলা কাব্যের প্রধান ছন্দ, যা অন্য ছন্দের তুলনায় উচ্চারণে স্বাভাবিক এবং গদ্য উচ্চারণভঙ্গির অনুসারী। উনিশ শতকে মাইকেল মধুসূদন দত্তের মাধ্যমে অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তন এই ছন্দকে আরও সমৃদ্ধ এবং আধুনিক আকারে পরিণত করে।
-
অক্ষরবৃত্ত ছন্দ শ্বাসাঘাতপ্রধান নয়, বরং তানপ্রধান। তান হলো স্বরধ্বনি বা সাধারণ উচ্চারণের অতিরিক্ত টান, যা দীর্ঘ পর্বের জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
অক্ষরবৃত্ত ছন্দ ৮/৬ বা ৮/১০ মাত্রায় রচিত হয়, যা ছন্দের দীর্ঘতা নির্ধারণ করে।
-
অমিত্রাক্ষর ছন্দ আসলে বাংলা অক্ষরবৃত্ত ছন্দের নব সংস্করণ, যা সাহিত্যে নতুন ছন্দের ধারা প্রতিষ্ঠা করে।
-
মহাপয়ার হলো পয়ার ছন্দের একটি বিস্তৃত রূপ, যেখানে সাধারণ পয়ারের ৬ মাত্রার পরিবর্তে ১০ মাত্রা ব্যবহৃত হয়।
-
এভাবে, বাংলা সাহিত্যে অক্ষরবৃত্ত এবং তার নবীন রূপ চিরায়ত কাব্যসমূহকে শ্রেষ্ঠ ছন্দে রূপায়িত করেছে।
0
Updated: 4 weeks ago
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কোন বছর সংস্কৃত কলেজ থেকে ‘বিদ্যাসাগর’ উপাধি লাভ করেন?
Created: 1 month ago
A
১৮৩৫
B
১৮৩৯
C
১৮৪১
D
১৮৪৫
কবি দিলওয়ার – ‘গণমানুষের কবি’
-
‘গণমানুষের কবি’ হিসেবে পরিচিতি:
-
১৯৭৭ সালের ৭ মার্চ সিলেটে কবি দিলওয়ারকে এক নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
-
সংবর্ধনায় পড়া মানপত্রে উল্লেখ ছিল: ‘গণমানুষের কবি’ দিলওয়ারকে সিলেটের মানুষ অভিনন্দন জানাচ্ছে, ‘স্বদেশ, স্বজাতি ও বিশ্বমানবের মঙ্গল কামনাকে অঙ্গীকার করে’ তাঁর ‘আবাল্য কাব্যসাধনার’ জন্য।
-
সেই থেকে ‘গণমানুষের কবি’ অভিধাটি তাঁর নামের সঙ্গে সংযুক্ত হয়।
-
-
দিলওয়ার (Biography):
-
জন্ম: ১৯৩৭, সিলেট
-
প্রকৃত নাম: দিলওয়ার খান
-
-
প্রসিদ্ধ কবিতা গ্রন্থ:
-
জিজ্ঞাসা
-
ঐকতান
-
উদ্ভিন্ন উল্লাস
-
রক্তে আমার অনাদি অস্থ
-
0
Updated: 1 month ago