'মৈথিল কোকিল' নামে খ্যাত কে?
A
বিদ্যাপতি
B
চণ্ডীদাস
C
আলাওল
D
কালিদাস
উত্তরের বিবরণ
বিদ্যাপতি
পরিচয়:
-
মিথিলার রাজসভার কবি।
-
পঞ্চদশ শতকের কবি।
উপাধি:
-
মিথিলার রাজা শিবসিংহ তাঁকে কবিকন্ঠহার উপাধিতে ভূষিত করেন।
-
তাঁকে মৈথিল কোকিল বলা হয়।
-
কারণ: কোকিল যেমন সুললিত সুমধুর গান গেয়ে সকলকে মুগ্ধ করে, বিদ্যাপতি মৈথিলি ভাষায় সুন্দর পদাবলি ও গীতিকবিতা রচনা করে সকলকে মুগ্ধ করেছিলেন।
-
সাহিত্যিক ভূমিকা:
-
বৈষ্ণব কবি।
-
পদসঙ্গীত ধারার রূপকার।
-
শ্রেষ্ঠ কীর্তি: ব্রজবুলিতে রচিত রাধাকৃষ্ণ বিষয়ক পদ।
উৎস:
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
0
Updated: 1 month ago
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ 'কবি-কাহিনী' কোন ছন্দে রচিত?
Created: 2 months ago
A
অমিত্রাক্ষর
B
স্বরবৃত্ত
C
অক্ষরবৃত্ত
D
মাত্রাবৃত্ত
‘কবি-কাহিনী’ কাব্যগ্রন্থ
-
লেখক: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
-
প্রকাশকাল: ১৮৭৮ খ্রিষ্টাব্দ
-
প্রকাশের মাধ্যম: ‘ভারতী’ পত্রিকায় পৌষ-চৈত্র ১২৮৪ বঙ্গাব্দ সংখ্যায়
-
রচনা শৈলী: নাতিদীর্ঘ কাব্য, অমিত্রাক্ষর ছন্দে, বিন্যাসে পয়া ও ত্রিপদী উভয় ধরনের
-
গঠন: চার সর্গে বিভক্ত
-
প্রধান চরিত্র: নায়ক – এক কবি, নায়িকা – নলিনী
-
বিষয়বস্তু: নলিনীর মৃত্যু ও নায়কের বিশ্বপ্রেম উপলব্ধি
-
বিশেষত্ব: রবীন্দ্রনাথের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ, কাব্যের নায়ককে কবির নিজের সাথে তুলনা করা হয়, নাটকীয়তা নেই
0
Updated: 2 months ago
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কাকে 'দুঃখের কবি' বলে আখ্যায়িত করেছেন?
Created: 1 month ago
A
মুকুন্দরাম চক্রবর্তীকে
B
চণ্ডীদাসকে
C
জ্ঞানদাসকে
D
কানাহরি দত্তকে
চণ্ডীদাস মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের একজন উল্লেখযোগ্য কবি। তাঁর কবিতায় দুঃখ, মানবতা ও ভক্তির চিত্র প্রধানভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান বিশেষভাবে প্রশংসিত।
-
চণ্ডীদাসকে মধ্যযুগের প্রসিদ্ধ কবি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁকে ‘দুঃখের কবি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
-
চণ্ডীদাসকে বাংলা ভাষার প্রথম মানবতাবাদী কবি বলা হয়।
-
এ নামে চারজন কবির পরিচয় পাওয়া গেছে: বড়ু চণ্ডীদাস, দ্বিজ চণ্ডীদাস, দীন চণ্ডীদাস ও চণ্ডীদাস।
-
চণ্ডীদাস ছিলেন বৈষ্ণব কবি, চৈতন্যপূর্ব যুগের, এবং জাতিতে ব্রাহ্মণ।
অন্যদিকে, মুকুন্দরাম চক্রবর্তীকে ‘দুঃখ বর্ণনার কবি’ বলা হয়।
0
Updated: 1 month ago
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত 'চরিত্রহীন' উপন্যাসের চরিত্র কোনটি?
Created: 1 month ago
A
পার্বতী
B
অচলা
C
কিরণময়ী
D
বিজয়া
চরিত্রহীন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত একটি বহুল আলোচিত উপন্যাস, যা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯১৭ সালে। প্রথা-বহির্ভূত প্রেম ও নারী-পুরুষ সম্পর্কের জটিলতা এতে গভীরভাবে ফুটে উঠেছে। শিরোনামের মতোই উপন্যাসটি মূলত সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি ও "চরিত্র" শব্দের প্রচলিত ব্যাখ্যাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
-
উপন্যাসে চারটি নারী চরিত্র রয়েছে: সাবিত্রী, কিরণময়ী, সুরবালা ও সরোজিনী।
-
প্রধান দুই নারী চরিত্র সাবিত্রী ও কিরণময়ী—দুজনের বিরুদ্ধেই ‘চরিত্রহীন’ হওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
-
উপন্যাসের বৈশিষ্ট্য হলো প্রতিটি নারী চরিত্রের স্বভাব, মানসিকতা ও জীবনধারা সম্পূর্ণ ভিন্ন।
চরিত্রগুলোর সংক্ষিপ্ত বর্ণনা:
-
সাবিত্রী: বিশুদ্ধ চরিত্রের প্রতীক। সতীশের প্রতি অনুগত ও একনিষ্ঠ প্রেমিকা।
-
সুরবালা: উপেন্দ্রনাথের তরুণী স্ত্রী। ধর্মগ্রন্থে অন্ধবিশ্বাসী হওয়ায় তার ব্যক্তিত্ব বিশেষ বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত।
-
সরোজিনী: পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত, অগ্রসরচিন্তার অধিকারী। কিন্তু পরিবার ও কঠোর মায়ের কারণে জীবনে দমবন্ধ অবস্থা। শেষপর্যন্ত সে সতীশকে বিয়ে করে।
-
কিরণময়ী: উপন্যাসের সবচেয়ে আকর্ষণীয় চরিত্র। তরুণ, সুন্দরী ও বুদ্ধিমতী। তার আবেগ-আকাঙ্ক্ষা সবসময় দমন করা হয় স্বামী ও শাশুড়ির দ্বারা।
অন্যদিকে:
-
গৃহদাহ উপন্যাসের চরিত্র: অচলা, মহিম, সুরেশ।
-
দত্তা উপন্যাসের চরিত্র: বিজয়া, নরেন, রাসবিহারী, বনমালী।
-
দেবদাস উপন্যাসের চরিত্র: দেবদাস, পার্বতী, চন্দ্রমুখী, চুনিলাল, ধর্মদাস।
0
Updated: 1 month ago