মৈমনসিংহ গীতিকার অন্তর্গত পূর্ব ময়মনসিংহ থেকে সংগৃহীত মোট গীতিকা কয়টি?
A
৫টি
B
৮টি
C
১০টি
D
২৩টি
উত্তরের বিবরণ
মৈমনসিংহ গীতিকা
সংজ্ঞা:
-
পূর্ব ময়মনসিংহ অঞ্চল থেকে সংগৃহীত মোট ১০টি গীতিকা ও রূপকথার সমষ্টিকে মৈমনসিংহ গীতিকা বলা হয়।
অন্তর্ভুক্ত গীতিকা ও রূপকথা (১০টি):
-
মহুয়া
-
মলুয়া
-
চন্দ্রাবতী
-
কমলা
-
দেওয়ান ভাবনা
-
দস্যু কেনারামের পালা
-
রূপবতী
-
কঙ্ক ও লীলা
-
কাজলরেখা (রূপকথা)
-
দেওয়ান মদিনা
উৎস:
-
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস — মাহবুবুল আলম
0
Updated: 1 month ago
'চিনিপাতা' — কোন সমাসের উদাহরণ?
Created: 1 month ago
A
দ্বন্দ্ব
B
তৎপুরুষ
C
বহুব্রীহি
D
কর্মধারয়
তৎপুরুষ সমাস বাংলা ভাষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সমাসের ধরন, যা সমস্যমান পদ ও সন্নিহিত অনুসর্গের সংযোগের মাধ্যমে গঠিত হয়। এই সমাসে সাধারণত পরপদের অর্থ প্রাধান্য পায়।
-
বিভক্তি লােপ পাওয়া তৎপুরুষ সমাসের উদাহরণ:
-
দুঃখকে প্রাপ্ত → দুঃখপ্রাপ্ত
-
ছেলেকে ভুলানো → ছেলে-ভুলানো
-
-
সন্নিহিত অনুসর্গ লােপ পাওয়া তৎপুরুষ সমাসের উদাহরণ:
-
মধু দিয়ে মাখা → মধুমাখা
-
চিনি দিয়ে পাতা → চিনিপাতা
-
-
বিভক্তি লােপ না পাওয়া তৎপুরুষ সমাস (অলুক তৎপুরুষ) উদাহরণ:
-
গরুর গাড়ি → গরুরগাড়ি
-
তেলে ভাজা → তেলেভাজা
-
0
Updated: 1 month ago
"তবুও থামে না যৌবন বেগ জীবনের উল্লাসে
চলেছে চন্দ্র মঙ্গল গ্রহে স্বর্গে অসীমাকাশে।" - কে লিখেছেন?
Created: 1 month ago
A
সুকান্ত ভট্টাচার্য
B
হেলাল হাফিজ
C
কাজী নজরুল ইসলাম
D
ফররুখ আহমদ
কাজী নজরুল ইসলামের ‘জীবন-বন্দনা’ কবিতার এই অংশটি যুবকের উচ্ছ্বাস ও জীবনের অনন্ত গমনকে প্রকাশ করে। কবিতার ভাষা ও ছন্দে মানুষের শ্রম, সংগ্রাম এবং জীবনের উল্লাসকে একত্রে তুলে ধরা হয়েছে। এটি নজরুলের সন্ধ্যা কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ রচনা।
• জীবন-বন্দনা কবিতা:
-
‘জীবন-বন্দনা’ কবিতাটি কাজী নজরুল ইসলামের ‘সন্ধ্যা’ কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত।
-
কবিতাটি মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত।
-
‘সন্ধ্যা’ কাব্যগ্রন্থটি ১৯২৯ সালে প্রকাশিত হয়।
-
বাংলাদেশের রণসংগীত “চল চল চল, উর্ধ গগণে বাজে মাদল” এই কাব্য থেকে নেওয়া হয়েছে।
কাজী নজরুল ইসলামের অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ:
-
অগ্নিবীণা
-
বিষের বাঁশি
-
ভাঙার গান
-
সাম্যবাদী
-
সর্বহারা
-
সন্ধ্যা
-
ঝিঙে ফুল
-
ফণি-মনসা
-
জিঞ্জিরা
-
প্রলয়শিখা
0
Updated: 1 month ago
‘চন্দ্রাবতী' কাব্যের লেখক কে?
Created: 1 month ago
A
দ্বিজ কানাই
B
চন্দ্রাবতী
C
কেরেশী মাগন ঠাকুর
D
নয়ানচাঁদ ঘোষ
চন্দ্রাবতী কাব্য বাংলা সাহিত্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যকর্ম, যা কাব্যরচনার ক্ষেত্রে প্রাচীন ধারার পরিচয় বহন করে। এর রচয়িতা ও প্রেক্ষাপট সম্পর্কে কিছু তথ্য নীচে দেওয়া হলো।
-
কাব্যের একমাত্র রচয়িতা: কেরেশী মাগন ঠাকুর
-
কাব্যের একটি খণ্ডিত পুথি পাওয়া গেছে।
-
রচনাকাল নিয়ে সংশয় আছে, তবে ধারণা করা হয় এটি সতের শতকের।
-
মাগন ঠাকুর আরাকান রাজ্যের মন্ত্রী এবং আলাওলের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।
-
কাব্যের প্রাচীন উৎস জানা যায় না; মনে করা হয় এটি কবির স্বাধীন কল্পনা।
অতিরিক্ত তথ্য
-
ময়মনসিংহের এক মহিলা গীতিকারও ছিলেন চন্দ্রাবতী, যিনি প্রথম রামায়ণ বাংলা অনুবাদ করেছিলেন।
-
চন্দ্রাবতীকে নিয়ে মৈমনসিংহ-গীতিকায় নয়ানচাঁদ ঘোষ নামের একজন কবির পালা রচিত হয়েছে।
-
এই পালাটি বিভিন্ন নামে পরিচিত: ‘জয়-চন্দ্রাবতী’, ‘চন্দ্রাবতী চরিত’, ‘চন্দ্রাবতী উপাখ্যান’।
0
Updated: 1 month ago