‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' কাব্য কে রচনা করেন?
A
রামাই পণ্ডিত
B
বড়ু চণ্ডীদাস
C
শ্রীচৈতন্য দেব
D
গোবিন্দদাস
উত্তরের বিবরণ
✦ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
ধরন: বৈষ্ণব কাব্য
রচয়িতা: বড়ু চণ্ডীদাস
রচনাকাল: প্রাকচৈতন্য যুগ (খ্রিস্টীয় ১৪শ শতক বলে অনুমান)
বাংলা সাহিত্যে স্থান:
-
মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে চর্যাপদের পরেই শ্রীকৃষ্ণকীর্তন এর স্থান।
আবিষ্কার:
-
১৩১৬ বঙ্গাব্দ (খ্রিস্টাব্দ ১৯০৯)
-
আবিষ্কারক: বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ
-
স্থান: বাঁকুড়া জেলার বনবিষ্ণুপুরের কাঁকিল্যা গ্রাম
-
আবিষ্কারের সূত্র: দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের নিকট থেকে পাওয়া পুঁথি
গঠন:
-
মোট খণ্ড: ১৩
-
মোট পদ: ৪১৮
১৩টি খণ্ডের নাম:
-
জন্মখণ্ড
-
তাম্বূল খণ্ড
-
দানখণ্ড
-
নৌকাখণ্ড
-
ভারখণ্ড
-
ছত্রখণ্ড
-
বৃন্দাবন খণ্ড
-
কালীয়দমন খণ্ড
-
যমুনা খণ্ড
-
হারখণ্ড
-
বাণখণ্ড
-
বংশীখণ্ড
-
বিরহখণ্ড (রাধাবিরহ)
প্রধান চরিত্র:
-
কৃষ্ণ
-
রাধা
-
বড়াই (দূতী)
বৈশিষ্ট্য:
-
চরিত্রগুলোর মধ্যে ঘাত-প্রতিঘাত, বাক-বিতণ্ডা, রাগ-দ্বেষ বিদ্যমান।
-
কাব্যটি নাট্যরসাশ্রিত ও গতিশীল।
0
Updated: 1 month ago
কোন লেখকের ছদ্মনাম 'যুবনাশ্ব'?
Created: 2 months ago
A
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়
B
মণিশঙ্কর মুখোপাধ্যায়
C
নীহাররঞ্জন গুপ্ত
D
মণীশ ঘটক
ছদ্মনামসমূহ
| আসল নাম | ছদ্মনাম |
|---|---|
| মণীশ ঘটক | যুবনাশ্ব |
| নীহাররঞ্জন গুপ্ত | দাদাভাই, বাণভট্ট |
| মণিশঙ্কর মুখোপাধ্যায় | শংকর |
| নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় | সুনন্দ |
0
Updated: 2 months ago
’নিগ্রো সাহিত্য’ প্রবন্ধের লেখক কে?
Created: 1 month ago
A
বদরুদ্দীন উমর
B
সেলিম আল দীন
C
আহমদ শরীফ
D
প্রমথ চৌধুরী
‘নিগ্রো সাহিত্য’ সেলিম আল দীন রচিত একটি প্রবন্ধ, যা আমেরিকার কালো মানুষদের জীবন ও সাহিত্যকে কেন্দ্র করে লেখা। এটি তাঁর প্রথম বাংলা প্রবন্ধ এবং ১৯৬৮ সালে কবি আহসান হাবিব সম্পাদিত দৈনিক পাকিস্তান পত্রিকার সাহিত্য সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়।
সেলিম আল দীন আধুনিক বাংলা নাটকের অন্যতম প্রধান নাট্যকার হিসেবে খ্যাত। তাঁর প্রকৃত নাম ছিল মইনুদ্দিন আহমেদ। তিনি ১৯৪৯ সালের ১৮ আগস্ট ফেনি জেলার সোনাগাজী উপজেলার সেনেরখিল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৯ সালে তাঁর প্রথম রেডিও নাটক বিপরীত তমসায় প্রচারিত হয় এবং ১৯৭০ সালে আতিকুল হক চৌধুরীর প্রযোজনায় তাঁর প্রথম টেলিভিশন নাটক লিব্রিয়াম (পরবর্তীতে ঘুম নেই) সম্প্রচারিত হয়।
১৯৮১–৮২ সালে নাট্য-নির্দেশক নাসির উদ্দিন ইউসুফের সাথে তিনি বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার গঠন করেন, যার মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের নাট্যশিল্পকে বিশ্বনাট্য ধারার সাথে সমাসীন করার প্রচেষ্টা চালান। ১৯৮৬ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ প্রতিষ্ঠা করে তিনি এর প্রথম সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর রচনায় বাংলাদেশের শ্রমজীবী মানুষ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এবং তাদের সংস্কৃতি মহাকাব্যিক ব্যাপ্তি পেয়েছে। তিনি ২০০৮ সালের ১৪ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।
তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য নাট্যগ্রন্থ
-
সর্প বিষয়ক গল্প ও অন্যান্য
-
বাসন
-
কেরামতমঙ্গল
-
কীর্তন খোলা
-
হাতহদাই
-
জুলান
-
শকুন্তলা
-
মুনতাসীর ফ্যান্টাসি
-
জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন
-
চাকা
-
যৈবতী কন্যার মন
-
হরগজ
-
নিমজ্জন
0
Updated: 1 month ago
'গাহি’ সাম্যের গান
মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান' - পঙ্ক্তিটি কোন কবিতার অংশ?
Created: 1 month ago
A
মানুষ
B
সাম্যবাদী
C
সর্বহারা
D
প্রলয়োল্লাস
কাজী নজরুল ইসলামের ‘মানুষ’ কবিতা
আলোচ্য পঙক্তিটি কাজী নজরুল ইসলামের ‘মানুষ’ কবিতা থেকে গৃহীত।
‘মানুষ’ কবিতাটি তাঁর ‘সাম্যবাদী’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।
‘সাম্যবাদী’ কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৯২৫ সালে।
উদ্ধৃত পঙক্তি:
গাহি সাম্যের গান–
মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান!
নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্ম জাতি,
সব দেশে, সব কালে, ঘরে ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।
কাজী নজরুল ইসলামের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ
অগ্নি-বীণা
সঞ্চিতা
চিত্তনামা
মরুভাস্কর
সর্বহারা
ফণি-মনসা
চক্রবাক
সাম্যবাদী
ছায়ানট
নতুন চাঁদ
পুবের হাওয়া
জিঞ্জির
বাষের বাঁশি
দোলনচাঁপা
সিন্ধু হিন্দোল
ভাঙার গান
সন্ধ্যা ইত্যাদি
0
Updated: 1 month ago