প্রশ্ন: A চাকাটি ঘড়ির কাঁটার দিকে ঘুরলে C চাকাটি কোন দিকে ঘুরবে?


সমাধান:
A চাকাটি ঘড়ির কাঁটার দিকে ঘুরলে C চাকাটি ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে ঘুরবে। 

প্রশ্ন: নিচের ছবিগুলোর পাশের প্রশ্নবোধক চিহ্নের স্থানে কোন বিকল্পটি বসবে?


সমাধান: 

এখানে, 
১ম চিত্র থেকে ২য় চিত্রে তীরের দিক ঘড়ির কাঁটার দিকে ১৩৫° ঘুরে, ২য় চিত্র থেকে ৩য় চিত্রে তীরের দিক ঘড়ির কাঁটার দিকে ১৮০° ঘুরে। 
আবার, ৩য় চিত্র থেকে ৪র্থ চিত্রে তীরের দিক ঘড়ির কাঁটার দিকে ১৩৫° ঘুরবে। 
সেই হিসাবে সঠিক উত্তর ৩ নং। 

CNG বা Compressed Natural Gas হলো প্রাকৃতিক গ্যাসকে উচ্চচাপে সংকুচিত করে তৈরি একটি জ্বালানি, যা পরিবেশবান্ধব, সাশ্রয়ী এবং কার্যকর শক্তির উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি প্রধানত মিথেন (CH₄) গ্যাস দ্বারা গঠিত এবং তরল পেট্রোলিয়াম জ্বালানির বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে সারা বিশ্বে যানবাহন ও শিল্পক্ষেত্রে জ্বালানি হিসেবে CNG-এর ব্যবহার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

CNG-এর সংজ্ঞা ও প্রস্তুতি:
CNG তৈরি করা হয় প্রাকৃতিক গ্যাসকে প্রায় ২০০-২৫০ বার চাপে সংকুচিত করে। এটি তরল নয়, বরং সংকুচিত অবস্থায় থাকে, যা বিশেষ ধরনের সিলিন্ডারে সংরক্ষণ করা হয়। এই সিলিন্ডারগুলো নিরাপদভাবে যানবাহনে স্থাপন করা হয় যাতে কোনো গ্যাস লিক না হয়।

CNG-এর প্রধান উপাদান:

1. মিথেন (CH₄): এটি CNG-এর প্রায় ৮৫-৯৮% অংশ গঠন করে।

2. ইথেন, প্রোপেন, বুটেন: খুব অল্প পরিমাণে উপস্থিত থাকে।

3. কার্বন ডাই-অক্সাইড ও নাইট্রোজেন: সামান্য পরিমাণে থাকে, কিন্তু সাধারণত পরিশোধন প্রক্রিয়ায় তা অপসারণ করা হয়।

CNG ব্যবহারের সুবিধা:

1. পরিবেশবান্ধব: পেট্রোল বা ডিজেলের তুলনায় CNG পোড়ালে কার্বন মনোক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড ও ক্ষতিকর ধোঁয়া কম উৎপন্ন হয়। এটি বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

2. সাশ্রয়ী জ্বালানি: CNG সাধারণত পেট্রোল ও ডিজেলের তুলনায় ৩০%–৫০% কম খরচে ব্যবহার করা যায়, যা পরিবহন খরচ কমায়।

3. ইঞ্জিনের আয়ু বৃদ্ধি: CNG পোড়ালে ইঞ্জিনে জমা কার্বন কম হয়, ফলে ইঞ্জিন দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং রক্ষণাবেক্ষণ খরচও কমে।

4. নিরাপদ সংরক্ষণ: সঠিকভাবে তৈরি ও পরীক্ষিত সিলিন্ডারে সংরক্ষণ করলে CNG অত্যন্ত নিরাপদ, কারণ এটি বায়ুর চেয়ে হালকা এবং লিক হলে উপরের দিকে উঠে দ্রুত ছড়িয়ে যায়।

5. দেশীয় সম্পদ ব্যবহার: অনেক দেশে প্রাকৃতিক গ্যাস নিজস্ব সম্পদ, ফলে এটি ব্যবহার করলে বিদেশি তেলের উপর নির্ভরতা কমে।

CNG-এর ব্যবহারক্ষেত্র:

1. যানবাহন: বাস, ট্রাক, ট্যাক্সি ও ব্যক্তিগত গাড়িতে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

2. শিল্পখাত: কিছু শিল্পে তাপ উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা হয়।

3. বিদ্যুৎ উৎপাদন: ছোট আকারের বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিকল্প জ্বালানি হিসেবে CNG ব্যবহার করা যায়।

CNG-এর সীমাবদ্ধতা:

1. ফিলিং স্টেশনের অভাব: অনেক অঞ্চলে এখনো পর্যাপ্ত CNG স্টেশন নেই।

2. প্রাথমিক বিনিয়োগ খরচ: যানবাহনকে CNG-তে রূপান্তর করতে কিছুটা ব্যয়বহুল।

3. সঞ্চয় ক্ষমতা সীমিত: এটি উচ্চচাপে সংরক্ষণ করতে হয়, ফলে সিলিন্ডারের আকার বড় ও ভারী হয়।

Compressed Natural Gas বা CNG আধুনিক জ্বালানি ব্যবস্থার এক গুরুত্বপূর্ণ বিকল্প। এটি পরিবেশবান্ধব, খরচ সাশ্রয়ী, নিরাপদ ও কার্যকর হওয়ায় দিন দিন এর ব্যবহার বাড়ছে।

যানবাহনে CNG ব্যবহারের মাধ্যমে যেমন বায়ুদূষণ হ্রাস করা যায়, তেমনি জ্বালানি ব্যয়ও কমানো সম্ভব। ভবিষ্যতের টেকসই শক্তি ব্যবস্থায় CNG গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।