A
বৃদ্ধি পায়
B
হ্রাস পায়
C
হঠাৎ কমে যায়
D
অপরিবর্তিত থাকে
উত্তরের বিবরণ
পরমাণুর আকার বা পারমাণবিক ব্যাসার্ধ (Atomic Radius)
-
সংজ্ঞা: পরমাণুর আকার বা পারমাণবিক ব্যাসার্ধ হলো পরমাণুর কেন্দ্র (নিউক্লিয়াস) থেকে সবচেয়ে বাইরের ইলেকট্রন পর্যন্ত দূরত্ব। এটি একটি পর্যায়বৃত্ত ধর্ম অনুসরণ করে।
1️⃣ একই পর্যায়ে (Period) পরিবর্তন
-
বাম থেকে ডান দিকে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পারমাণবিক ব্যাসার্ধ কমে যায়।
-
কারণ, একই পর্যায়ে পারমাণবিক সংখ্যা বাড়লেও প্রধান শক্তিস্তর সংখ্যা বৃদ্ধি পায় না।
-
পারমাণবিক সংখ্যা বাড়লে নিউক্লিয়াসে প্রোটন সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং ইলেকট্রনও বৃদ্ধি পায়।
-
নিউক্লিয়াসের অধিক প্রোটন ও বাইরের ইলেকট্রনের মধ্যে আকর্ষণ বৃদ্ধি পেলে ইলেকট্রনগুলো নিউক্লিয়াসের দিকে টানে, ফলে পরমাণুর আকার ছোট হয়।
2️⃣ একই গ্রুপে (Group) পরিবর্তন
-
উপরের দিক থেকে নিচের দিকে গেলে নতুন শক্তিস্তর যুক্ত হয়, তাই পরমাণুর আকার বৃদ্ধি পায়।
-
যদিও নিউক্লিয়াসের প্রোটন সংখ্যা ও বাইরের ইলেকট্রনের সংখ্যা বাড়ার কারণে আকর্ষণ বৃদ্ধি পায়, নতুন শক্তিস্তরের যোগ পারমাণুর আকারকে বড় করে।
-
ফলস্বরূপ, গ্রুপের নিচের মৌলের আকার উপরের মৌলের চেয়ে বড় হয়।
সংক্ষেপে:
-
Period: বাম → ডান = আকার ↓
-
Group: উপরে → নিচে = আকার ↑
উৎস: রসায়ন, নবম–দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 day ago
গোয়েন্দা বিভাগে নিম্নের কোন রশ্মি ব্যবহৃত হয়?
Created: 2 weeks ago
A
বেকেরেল রশ্মি
B
গামা রশ্মি
C
X-রশ্মি
D
বিটা-রশ্মি
এক্স-রশ্মি (রঞ্জন রশ্মি)
-
এক্স-রশ্মি আবিষ্কার করেন জার্মান পদার্থবিদ উইলহেলম রন্টজেন।
-
এটি আবিষ্কৃত হয় ১৮৯৫ সালে।
-
এক্স-রশ্মি আবিষ্কারের জন্য রন্টজেনকে ১৯০১ সালে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়।
-
এক্স-রশ্মি হলো তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গের এক প্রকার।
-
এর তরঙ্গদৈর্ঘ্য প্রায় ১০⁻⁸ মি. থেকে ১০⁻¹³ মি. পর্যন্ত।
-
এক্স-রশ্মি উচ্চভেদন ক্ষমতাসম্পন্ন, অর্থাৎ কঠিন পদার্থের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করতে পারে।
এক্স-রশ্মির ব্যবহার
-
হীরক সনাক্তকরণ।
-
হাড়ে ফাটল বা দাগ শনাক্তকরণ, যেমন স্থানচ্যুত বা ভাঙা হাড়।
-
মানবদেহের ভিতরের অবস্থা নির্ণয়, যেমন ফুসফুস বা শরীরের ভেতরের ক্ষত।
-
গোয়েন্দা কাজে, যেমন কাঠের বাক্স বা চামড়ার ব্যাগে লুকানো বিস্ফোরক চিহ্নিত করা।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 2 weeks ago
মানবদেহে রোগ প্রতিরোধে প্রাথমিক প্রতিরক্ষাস্তরের (First line of defence) অন্তর্ভুক্ত নয় কোনটি?
Created: 1 week ago
A
লাইসোজাইম (LYSOZYME)
B
গ্যাসট্রিক জুস (GASTRIC JUICE)
C
সিলিয়া (CILIA)
D
লিম্ফোসাইট (LYMPHOCYTES)
ইম্যুনাইজেশন
ইম্যুনাইজেশন হলো মানুষের শরীরকে সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রক্রিয়া। অন্যভাবে বলতে গেলে, এটি শরীরের প্রতিরক্ষামূলক ক্ষমতা বাড়ানোর একটি প্রক্রিয়া।
মানবদেহে রোগজীবাণু বা পরজীবী আক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য সাধারণত তিনটি স্তরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকে।
১. প্রথম স্তরের প্রতিরক্ষা (Primary Defense):
প্রথম স্তরের প্রতিরক্ষা মূলত রোগজীবাণুকে দেহের ভিতরে প্রবেশ করতে না দেওয়াই। এর মধ্যে রয়েছে:
-
ত্বক: বাহ্যিক বাধা হিসেবে কাজ করে।
-
সিলিয়া ও মিউকাস: শ্বাসনালিতে ধুলো ও জীবাণু আটকায়।
-
লাইসোজাইম এনজাইম: লালা ও চোখের জল জীবাণু ধ্বংস করে।
-
অম্ল (Acid) ও রক্ত জমাট: পেটের অম্ল এবং রক্তের জমাট জীবাণু ধ্বংস করতে সাহায্য করে।
২. দ্বিতীয় স্তরের প্রতিরক্ষা (Secondary Defense):
যদি রোগজীবাণু প্রথম স্তর অতিক্রম করতে পারে, তবে দ্বিতীয় স্তরের প্রতিরক্ষা সক্রিয় হয়। এতে অন্তর্ভুক্ত:
-
ফ্যাগোসাইটিক কোষ: শ্বেতরক্তকণিকা থেকে তৈরি ম্যাক্রোফেজ ও নিউট্রোফিল রোগজীবাণু খায়।
-
প্রদাহ সাড়া ও তাপমাত্রা বৃদ্ধি: সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রদাহ ও জ্বরের মাধ্যমে সহায়তা করে।
-
কমপ্লিমেন্ট, ইন্টারফেরন ও ন্যাচারাল কিলার সেল: রোগজীবাণুর ধ্বংসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
৩. তৃতীয় স্তরের প্রতিরক্ষা (Tertiary / Specific Immune Response):
তৃতীয় স্তরের প্রতিরক্ষা বিশেষভাবে নির্দিষ্ট জীবাণু বা অ্যান্টিজেনের বিরুদ্ধে কাজ করে। এটি ইমিউনিটি জনিত সাড়া (immune response) নামে পরিচিত। এর মধ্যে রয়েছে:
-
লিম্ফোসাইট: B ও T কোষ, যা বিশেষ জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে।
-
MHC অণু (Major Histocompatibility Complex): অ্যান্টিজেনকে শনাক্ত করে সঠিক সেলকে সক্রিয় করে।
-
ক্লোনাল সিলেকশন: নির্দিষ্ট জীবাণুর বিরুদ্ধে সেলগুলো প্রজনন করে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা গঠন করে।
উৎস: জীববিজ্ঞান-প্রথম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, ড. মোহাম্মদ আবুল হাসান।

0
Updated: 1 week ago
মস্তিষ্ক কোন তন্ত্রের অঙ্গ?
Created: 1 week ago
A
স্নায়ুতন্ত্রের
B
রেচনতন্ত্রের
C
পরিপাকতন্ত্রের
D
শ্বাসতন্ত্রের
স্নায়ুটিস্যু বা নার্ভ টিস্যু
প্রাণীদেহে এমন এক বিশেষ কলা আছে, যা বাইরের বা ভেতরের পরিবেশ থেকে আসা উদ্দীপনা অনুভব করে এবং তার উপযুক্ত সাড়া প্রদান করে। একে বলা হয় স্নায়ুটিস্যু (Nervous tissue)।
উদাহরণ: মস্তিষ্ক, সুষুম্না কাণ্ড।
-
স্নায়ুটিস্যুর মৌলিক একক হলো নিউরন (স্নায়ুকোষ)।
-
মস্তিষ্ক অসংখ্য নিউরনের সমষ্টি।
-
প্রতিটি নিউরন আবার তিনটি প্রধান অংশে বিভক্ত—
-
কোষদেহ (Cell body)
-
ডেনড্রন (Dendron)
-
অ্যাক্সন (Axon)
-
স্নায়ুটিস্যুর কাজ
✔️ দেহের বিভিন্ন ইন্দ্রিয় ও সংবেদন অঙ্গ থেকে পাওয়া উদ্দীপনা মস্তিষ্কে প্রেরণ করে।
✔️ মস্তিষ্ক সেই সংকেত গ্রহণ করে এবং দেহের কার্যকর অঙ্গকে সাড়া দিতে বলে।
যেমন: মশা কামড়ালে ত্বক সেই সংকেত মস্তিষ্কে পাঠায় → মস্তিষ্ক হাতকে জানায় → হাত মশা মারতে নড়ে।
✔️ প্রাপ্ত অভিজ্ঞতা বা উদ্দীপনাকে স্মৃতিতে সংরক্ষণ করে।
✔️ দেহের বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কার্যকলাপে সমন্বয় সাধন করে।
উৎস: বিজ্ঞান, সপ্তম শ্রেণি

0
Updated: 1 week ago