A
দুর্বল নিউক্লীয় বল
B
মহাকর্ষ বল
C
সবল নিউক্লীয় বল
D
তড়িৎ চৌম্বক বল
উত্তরের বিবরণ
বল (Force)
-
সংজ্ঞা: যে বস্তু স্থির অবস্থায় থাকা অন্য কোনো বস্তুকে গতি দিতে চায় বা করতে সক্ষম, অথবা যে বস্তু গতিশীল তার গতিতে পরিবর্তন আনে, তাকে বল বলে।
-
বল সবসময় জোড়ায় জোড়ায় ক্রিয়া করে।
-
প্রকৃতিতে মোট চার ধরনের মৌলিক বল আছে:
১) মহাকর্ষ বল
২) তড়িৎ-চৌম্বক বা বিদ্যুৎ-চৌম্বকীয় বল
৩) দুর্বল নিউক্লীয় বল
৪) সবল নিউক্লীয় বল
1️⃣ মহাকর্ষ বল (Gravitational Force)
-
সংজ্ঞা: সকল বস্তু তাদের ভরের কারণে একে অপরকে যে আকর্ষণ করে, সেটি মহাকর্ষ বল।
-
উদাহরণ:
-
গ্যালাক্সির মধ্যে নক্ষত্র ঘোরে।
-
সূর্যকে ঘিরে পৃথিবী এবং পৃথিবীকে ঘিরে চাঁদ ঘোরে।
-
-
পৃথিবীর মহাকর্ষ বলকে মধ্যাকর্ষণ বল বলা হয়।
-
এটি মানুষকে পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে টানে, যার ফলে আমরা ওজন অনুভব করি।
-
যেকোনো ভরযুক্ত বস্তু অন্য বস্তুকে মহাকর্ষ বল প্রয়োগ করে।
2️⃣ তড়িৎ-চৌম্বক বল (Electromagnetic Force)
-
দুটি আহিত কণা তাদের আধানের কারণে একে অপরকে যে আকর্ষণ বা বিকর্ষণ করে, সেটি তড়িৎ-চৌম্বক বল।
3️⃣ দুর্বল নিউক্লীয় বল (Weak Nuclear Force)
-
এটি তড়িৎ-চৌম্বক বলের তুলনায় প্রায় ট্রিলিয়ন গুণ দুর্বল, কিন্তু মহাকর্ষ বলের তুলনায় দুর্বল নয়।
-
মহাকর্ষ ও তড়িৎ-চৌম্বক বল দূরত্বের বড় পরিসরে কাজ করতে পারে, কিন্তু দুর্বল নিউক্লীয় বল খুবই অল্প দূরত্বে (~10⁻¹⁸ মিটার) কার্যকর।
4️⃣ সবল নিউক্লীয় বল (Strong Nuclear Force)
-
এটি সৃষ্টিজগতের সবচেয়ে শক্তিশালী বল।
-
তড়িৎ-চৌম্বক বলের তুলনায় প্রায় ১০০ গুণ বেশি শক্তিশালী, কিন্তু দুর্বল নিউক্লীয় বলের মতো খুব অল্প (~10⁻¹⁵ মিটার) দূরত্বে কাজ করে।
-
সূর্য থেকে প্রাপ্ত আলো ও তাপ এই বলের কারণে উৎপন্ন হয়।
উৎস: বিজ্ঞান, নবম–দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 day ago
আকাশ মেঘলা থাকলে গরম বেশি লাগে কেন?
Created: 1 month ago
A
মেঘ উত্তম তাপ পরিবাহক
B
সূর্যালোকের অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে মেঘ তাপ উৎপন্ন করে
C
বজ্রপাতের ফলে তাপ উৎপন্ন হয় বলে
D
মেঘ পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে বিকীর্ণ তাপকে ওপরে যেতে বাধা দেয় বলে
দিনের বেলায় সূর্য থেকে যে আলোকরশ্মি বিকিরণের মাধ্যমে পৃথিবীতে আসে, তা সাধারণত স্বল্প তরঙ্গদৈর্ঘ্যের হয়। এ ধরনের রশ্মি সহজেই মেঘের স্তর ভেদ করে ভূপৃষ্ঠে পৌঁছাতে পারে।
কিন্তু, যখন এই রশ্মিগুলো ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রতিফলিত হয়ে ফিরে যেতে চায়, তখন সেগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেড়ে যায়। ফলে, এই দীর্ঘ তরঙ্গদৈর্ঘ্যের তাপরশ্মি আর সহজে মেঘ ভেদ করতে পারে না এবং মেঘের স্তরে আটকে যায়।
এই আটকে পড়া বিকিরণ আবার নিচের দিকে প্রতিফলিত হয়ে ফিরে আসে, যার ফলে ভূপৃষ্ঠ এবং নিকটবর্তী বায়ুমণ্ডল গরম থাকে। বিশেষত মেঘলা দিনে বা রাতে এই প্রক্রিয়াটি তাপ ধরে রাখে, ফলে পরিবেশে উষ্ণতা অনুভূত হয়।
এছাড়া, মেঘলা আবহাওয়ায় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়ে যায়, কারণ বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণও বেশি থাকে। এই অতিরিক্ত আর্দ্রতা ঘাম শুকাতে বাধা দেয়, ফলে শরীরে তাপমাত্রা বেশি অনুভূত হয়, যাকে আমরা সাধারণভাবে ভ্যাপসা গরম বলে থাকি।
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাঠ্যক্রম

0
Updated: 1 month ago
CNG-এর অর্থ-
Created: 1 month ago
A
কার্বনমুক্ত নতুন পরিবেশ-বান্ধব তেল
B
নতুন ধরনের ট্যাক্সি ক্যাব
C
সীসামুক্ত পেট্রোল
D
কমপ্রেস করা প্রাকৃতিক গ্যাস
সিএনজি (CNG) বা কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস হলো প্রাকৃতিক গ্যাসের একটি সংকুচিত রূপ। যখন প্রাকৃতিক গ্যাসকে অত্যন্ত উচ্চ চাপ দিয়ে সংকুচিত করা হয়, তখন যে জ্বালানি পাওয়া যায় তাকে সিএনজি বলা হয়। এটি একটি পরিবেশবান্ধব জ্বালানি মাধ্যম হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশ সরকার পরিবেশ দূষণ কমানোর লক্ষ্যে যানবাহনগুলোকে সিএনজিতে রূপান্তরের প্রচেষ্টাকে ২০০১ সালে একটি থ্রাস্ট সেক্টর হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং এই খাতকে উৎসাহিত করছে।
তথ্যসূত্র: রসায়ন দ্বিতীয় পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
প্রকৃতিতে সবচেয়ে শক্ত পদার্থ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
পিতল
B
হীরা
C
ইস্পাত
D
গ্রানাইট
হীরকের ব্যবহার
-
কার্বন একটি অধাতু ও বিজারক প্রকৃতির মৌল।
-
কার্বনের কঠিন ও স্ফটিকাকার দানাদার রূপগুলোর মধ্যে হীরক (হীরা) ও গ্রাফাইট অন্যতম।
-
হীরক হলো প্রকৃতিতে পাওয়া সবচেয়ে কঠিন বা শক্ত পদার্থ।
-
এই কঠিনতা ও ধারযুক্ত গঠনের কারণে হীরক সাধারণত কাচ কাটার কাজে ব্যবহৃত হয়।
অতিরিক্ত তথ্য:
-
উল্লেখযোগ্যভাবে, প্রকৃতিতে পাওয়া সবচেয়ে শক্ত ধাতু হলো টাংস্টেন।
উৎস: রসায়ন বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বাংলাদেশ।

0
Updated: 1 month ago