A
হাইড্রোজেন
B
অক্সিজেন
C
কার্বন ডাই-অক্সাইড
D
নাইট্রোজেন
উত্তরের বিবরণ
প্রাত্যহিক জীবনে এসিডের ব্যবহার
-
বোলতা বা বিচ্ছুর হুলের জ্বালা নিবারণ
-
বোলতা ও বিচ্ছুর হুলে থাকে হিস্টামিন, যা এক ধরনের ক্ষারক পদার্থ।
-
এতে প্রচণ্ড জ্বালা করে। এসিড বা এসিডজাতীয় মলম (যেমন ভিনেগার) ব্যবহার করলে ক্ষারকের সাথে বিক্রিয়া হয়ে তা নিষ্ক্রিয় হয় এবং জ্বালা কমে যায়।
-
-
খাবার হজমে সহায়তা
-
পাকস্থলীতে হজমের জন্য হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl) প্রয়োজন।
-
মাংস, বিরিয়ানি ইত্যাদি গুরুপাক খাবারের পর কোমল পানীয় (যা হালকা এসিডিক) পান করলে হজমে সহায়তা করে।
-
-
ফলমূলের জৈব এসিড
-
লেবু, কমলা, আপেল, পেয়ারা, আমলকীতে বিভিন্ন জৈব এসিড থাকে।
-
ভিটামিন C (অ্যাসকরবিক এসিড) ক্ষত সারাতে সাহায্য করে, আর এর অভাবে স্কার্ভি রোগ হয়।
-
-
আচার সংরক্ষণ
-
আম, জলপাই প্রভৃতি আচারে ভিনেগার (অ্যাসিটিক এসিড, CH₃COOH) ব্যবহার করা হয়।
-
-
দই ও বোরহানি
-
দই ও বোরহানিতে থাকা ল্যাকটিক এসিড হজমে সাহায্য করে।
-
-
বেকিংয়ে ব্যবহার
-
বেকিং সোডা তাপে ভেঙে কার্বন ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন করে।
-
এই গ্যাস কেক, বিস্কুট ও পাউরুটি ফুলিয়ে তোলে।
-
-
পরিষ্কারক হিসেবে ব্যবহার
-
টয়লেট পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহৃত ক্লিনারে থাকে শক্তিশালী এসিড যেমন: HCl, HNO₃, H₂SO₄।
-
-
ব্যাটারি ও বিদ্যুৎ সংরক্ষণে
-
সৌরবিদ্যুৎ, আইপিএস ও গাড়ির ব্যাটারিতে সালফিউরিক এসিড (H₂SO₄) ব্যবহার হয়।
-
-
সার উৎপাদনে এসিড
-
সার তৈরিতে ব্যবহৃত যৌগ:
-
অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট (NH₄NO₃) → নাইট্রিক এসিড (HNO₃) দিয়ে
-
অ্যামোনিয়াম সালফেট ((NH₄)₂SO₄) → সালফিউরিক এসিড (H₂SO₄) দিয়ে
-
অ্যামোনিয়াম ফসফেট ((NH₄)₃PO₄) → ফসফরিক এসিড (H₃PO₄) দিয়ে
-
-
-
এসিডের ক্ষতিকর প্রভাব
-
এসিড কাপড়ে পড়লে কাপড় পুড়ে যায় বা ছিদ্র হয়ে যায়।
-
ধাতব পদার্থকেও ক্ষয় করে।
-
শরীরে এসিড পড়লে সঙ্গে সঙ্গে প্রচুর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
-
উৎস: বিজ্ঞান, নবম–দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 day ago
রঙিন টেলিভিশন হতে ক্ষতিকর কোন রশ্মি বের হয়?
Created: 1 month ago
A
মৃদু রঞ্জন রশ্মি
B
বিটা রশ্মি
C
গামা রশ্মি
D
কসমিক রশ্মি
রঙিন টেলিভিশন থেকে কিছু ক্ষুদ্র পরিমাণের ক্ষতিকর রঞ্জন রশ্মি নির্গত হয়।
রঙিন অনুষ্ঠান সম্প্রচারের জন্য ব্যবহৃত মৌলিক যন্ত্রপাতিগুলো সাদাকালো অনুষ্ঠান সম্প্রচারের ক্ষেত্রেও একই রকমই ব্যবহৃত হয়।
তবে রঙিন চিত্র প্রেরণ ও গ্রহণের জন্য রঙিন টেলিভিশনে অতিরিক্ত কিছু বিশেষ যন্ত্রের প্রয়োজন হয়।
রঙিন টেলিভিশনের ক্যামেরায় লাল, নীল এবং সবুজ—এই তিনটি মূল রঙের জন্য পৃথক পৃথক ইলেকট্রন টিউব থাকে।
গ্রাহকের টেলিভিশন সেটেও এই তিনটি রংয়ের জন্য তিনটি ইলেকট্রন গান ব্যবহার করা হয়।
পর্দাটিও তিন রকমের ফসফর দানার সমন্বয়ে গঠিত।
যখন ইলেকট্রন গান থেকে নির্গত ইলেকট্রন বিম ফসফর দানার ওপর পড়ে, তখন সেই নির্দিষ্ট রঙের ফসফরই আলোকিত হয়।
ফলস্বরূপ, পর্দায় একযোগে লাল, নীল ও সবুজ রঙের বিন্দু তৈরি হয়, এবং এদের মিশ্রণে টেলিভিশনের পর্দায় বিভিন্ন রঙিন ছবি ফুটে ওঠে।
পর্দার ফসফরগুলো ইলেকট্রন আঘাতের ফলে ক্ষুদ্র পরিমাণের মৃদু রঞ্জন রশ্মি উৎপন্ন করে, যা অত্যন্ত নগণ্য হওয়ায় সাধারণত গুরুত্ব দেয়া হয় না।
উৎস: সাধারণ বিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
মাছ চাষের জন্য পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের প্রয়োজনীয় সর্বনিম্ন মাত্রা কত?
Created: 1 day ago
A
২ পিপিএম
B
৫ পিপিএম
C
১০ পিপিএম
D
১২ পিপিএম
মাছ চাষের পুকুরের পানির গুণাগুণ
মাছের সুস্থ বৃদ্ধি, খাদ্যগ্রহণ এবং উৎপাদনের জন্য পুকুরের পানির গুণাগুণ উপযুক্ত মাত্রায় থাকা জরুরি। পুকুরের পানি দুই ধরণের গুণাবলীতে ভাগ করা যায়—
1️⃣ ভৌত গুণাগুণ (Physical Properties)
ক) গভীরতা:
-
খুব গভীর পুকুরে সূর্যের আলো নীচ পর্যন্ত পৌঁছায় না। ফলে মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য প্লাংকটন কম উৎপন্ন হয় এবং অক্সিজেনের অভাব হতে পারে।
-
খুব অগভীর পুকুরে গ্রীষ্মকালে পানি অতিরিক্ত গরম হয়, যা মাছের জন্য ক্ষতিকর।
খ) তাপমাত্রা:
-
মাছের বৃদ্ধি তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে। শীতকালে খাবার গ্রহণ কমে যাওয়ায় বৃদ্ধি কম হয়।
-
উদাহরণ: রুই মাছের জন্য ২৫–৩০°সে তাপমাত্রা অনুকূল।
গ) ঘোলাত্ব (Turbidity):
-
কাদা বা কণার কারণে পানি ঘোলা হলে সূর্যালোক কম প্রবেশ করে, যা মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য উৎপাদন কমিয়ে দেয়।
ঘ) সূর্যালোক:
-
পর্যাপ্ত সূর্যালোক থাকলে সালোকসংশ্লেষণ ভালো হয়। ফলে ফাইটোপ্লাংকটন বৃদ্ধি পায় এবং মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।
2️⃣ রাসায়নিক গুণাগুণ (Chemical Properties)
ক) দ্রবীভূত অক্সিজেন (Dissolved Oxygen, DO):
-
মাছ চাষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
-
প্রধান উৎস: ফাইটোপ্লাংকটন ও জলজ উদ্ভিদ দ্বারা সালোকসংশ্লেষণ এবং বায়ুমণ্ডল থেকে সরাসরি পানিতে মিশ্রিত হওয়া।
-
রাতে সালোকসংশ্লেষণ বন্ধ থাকে, তাই DO কমে যায়।
-
মাছ চাষের জন্য ন্যূনতম ৫ মিলিগ্রাম/লিটার (৫ ppm) থাকা প্রয়োজন।
খ) দ্রবীভূত কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂):
-
ফাইটোপ্লাংকটনের জন্য প্রয়োজনীয়।
-
মাত্রাতিরিক্ত CO₂ মাছের জন্য ক্ষতিকর।
-
নিরাপদ মাত্রা: ১–২ ppm; ১২ ppm পর্যন্ত বিষাক্ত নয়।
গ) পিএইচ (pH):
-
মাছ চাষের জন্য পানির pH ৬.৫–৮.৫ অনুকূল।
-
pH < ৪ বা > ১১ হলে মাছ মারা যায়।
-
অম্লীয় হলে চুন (১–২ কেজি/শতক) প্রয়োগ করা হয়।
-
ক্ষারীয় হলে অ্যামোনিয়াম সালফেট বা তেঁতুল পানি মিশিয়ে ব্যবহার করা হয়।
ঘ) ফসফরাস (Phosphorus):
-
প্রাকৃতিক পানিতে অল্প থাকে।
-
পরিমিত ফসফরাস ফসফেটে রূপান্তরিত হয়ে ফাইটোপ্লাংকনের জন্ম বৃদ্ধি করে।
উৎস: কৃষিশিক্ষা, নবম–দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 day ago
HCl (aq) + NaOH (aq) → NaCl (aq) + H2O (l) কোন ধরণের বিক্রিয়া?
Created: 1 day ago
A
বিয়োজন বিক্রিয়া
B
দহন বিক্রিয়া
C
পানি যোজন বিক্রিয়া
D
প্রশমন বিক্রিয়া
সাধারণ বিজ্ঞান
জৈব রসায়ন
পলিমারকরণ বিক্রিয়া
প্রাথমিক তথ্য
বিজ্ঞান সংক্রান্ত পরিভাষা
সাধারণ জ্ঞান
No subjects available.
রাসায়নিক বিক্রিয়ার প্রকারভেদ
1️⃣ প্রশমন বিক্রিয়া (Neutralization Reaction)
-
সংজ্ঞা: এসিড এবং ক্ষার দ্রবণ মিশলে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে, যার ফলে লবণ ও পানি উৎপন্ন হয়।
-
প্রক্রিয়া:
-
এসিড জলীয় দ্রবণে হাইড্রোজেন আয়ন (H⁺) প্রদান করে।
-
ক্ষার জলীয় দ্রবণে হাইড্রোক্সিল আয়ন (OH⁻) প্রদান করে।
-
H⁺ এবং OH⁻ যুক্ত হয়ে পানি (H₂O) তৈরি করে।
-
-
উদাহরণ:
2️⃣ পানি যোজন বিক্রিয়া (Hydration Reaction)
-
সংজ্ঞা: আয়নিক যৌগের কেলাস গঠনের সময় এক বা একাধিক পানির অণু সংযুক্ত হওয়া।
-
পানি কেলাস: কেলাসে যুক্ত থাকা পানি।
3️⃣ বিয়োজন বিক্রিয়া (Decomposition Reaction)
-
সংজ্ঞা: সংযোজন বিক্রিয়ার বিপরীত।
-
প্রক্রিয়া: যৌগের অণু ভেঙ্গে এক বা একাধিক মৌল বা যৌগে পরিণত হয়।
-
উদাহরণ:
4️⃣ দহন বিক্রিয়া (Combustion Reaction)
-
সংজ্ঞা: কোনো মৌল বা যৌগকে বায়ুর অক্সিজেনের সঙ্গে জ্বালিয়ে, তা অক্সাইডে রূপান্তরিত করা।
-
উদাহরণ:
উৎস: রসায়ন প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 day ago