মাছ চাষের জন্য পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের প্রয়োজনীয় সর্বনিম্ন মাত্রা কত?
A
২ পিপিএম
B
৫ পিপিএম
C
১০ পিপিএম
D
১২ পিপিএম
উত্তরের বিবরণ
মাছ চাষের পুকুরের পানির গুণাগুণ
মাছের সুস্থ বৃদ্ধি, খাদ্যগ্রহণ এবং উৎপাদনের জন্য পুকুরের পানির গুণাগুণ উপযুক্ত মাত্রায় থাকা জরুরি। পুকুরের পানি দুই ধরণের গুণাবলীতে ভাগ করা যায়—
1️⃣ ভৌত গুণাগুণ (Physical Properties)
ক) গভীরতা:
-
খুব গভীর পুকুরে সূর্যের আলো নীচ পর্যন্ত পৌঁছায় না। ফলে মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য প্লাংকটন কম উৎপন্ন হয় এবং অক্সিজেনের অভাব হতে পারে।
-
খুব অগভীর পুকুরে গ্রীষ্মকালে পানি অতিরিক্ত গরম হয়, যা মাছের জন্য ক্ষতিকর।
খ) তাপমাত্রা:
-
মাছের বৃদ্ধি তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে। শীতকালে খাবার গ্রহণ কমে যাওয়ায় বৃদ্ধি কম হয়।
-
উদাহরণ: রুই মাছের জন্য ২৫–৩০°সে তাপমাত্রা অনুকূল।
গ) ঘোলাত্ব (Turbidity):
-
কাদা বা কণার কারণে পানি ঘোলা হলে সূর্যালোক কম প্রবেশ করে, যা মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য উৎপাদন কমিয়ে দেয়।
ঘ) সূর্যালোক:
-
পর্যাপ্ত সূর্যালোক থাকলে সালোকসংশ্লেষণ ভালো হয়। ফলে ফাইটোপ্লাংকটন বৃদ্ধি পায় এবং মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।
2️⃣ রাসায়নিক গুণাগুণ (Chemical Properties)
ক) দ্রবীভূত অক্সিজেন (Dissolved Oxygen, DO):
-
মাছ চাষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
-
প্রধান উৎস: ফাইটোপ্লাংকটন ও জলজ উদ্ভিদ দ্বারা সালোকসংশ্লেষণ এবং বায়ুমণ্ডল থেকে সরাসরি পানিতে মিশ্রিত হওয়া।
-
রাতে সালোকসংশ্লেষণ বন্ধ থাকে, তাই DO কমে যায়।
-
মাছ চাষের জন্য ন্যূনতম ৫ মিলিগ্রাম/লিটার (৫ ppm) থাকা প্রয়োজন।
খ) দ্রবীভূত কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂):
-
ফাইটোপ্লাংকটনের জন্য প্রয়োজনীয়।
-
মাত্রাতিরিক্ত CO₂ মাছের জন্য ক্ষতিকর।
-
নিরাপদ মাত্রা: ১–২ ppm; ১২ ppm পর্যন্ত বিষাক্ত নয়।
গ) পিএইচ (pH):
-
মাছ চাষের জন্য পানির pH ৬.৫–৮.৫ অনুকূল।
-
pH < ৪ বা > ১১ হলে মাছ মারা যায়।
-
অম্লীয় হলে চুন (১–২ কেজি/শতক) প্রয়োগ করা হয়।
-
ক্ষারীয় হলে অ্যামোনিয়াম সালফেট বা তেঁতুল পানি মিশিয়ে ব্যবহার করা হয়।
ঘ) ফসফরাস (Phosphorus):
-
প্রাকৃতিক পানিতে অল্প থাকে।
-
পরিমিত ফসফরাস ফসফেটে রূপান্তরিত হয়ে ফাইটোপ্লাংকনের জন্ম বৃদ্ধি করে।
উৎস: কৃষিশিক্ষা, নবম–দশম শ্রেণি
0
Updated: 1 month ago
যেসব নিউক্লিয়াসের নিউট্রন সংখ্যা সমান কিন্তু ভরসংখ্যা সমান নয় তাদের বলা হয়-
Created: 3 months ago
A
আইসোটোপ
B
আইসোমার
C
আইসোটোন
D
আইসোবার
• আইসোটোন:
যেসব নিউক্লিয়াসে নিউট্রনের সংখ্যা এক হলেও ভরসংখ্যা আলাদা, তাদের আইসোটোন বলা হয়।
• আইসোটোপ:
যেসব নিউক্লিয়াসের প্রোটন সংখ্যা সমান কিন্তু ভরসংখ্যা ভিন্ন, সেগুলোকে আইসোটোপ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
• আইসোবার:
যেসব নিউক্লিয়াসের ভরসংখ্যা একই হলেও প্রোটন সংখ্যা ভিন্ন হয়, তারা আইসোবার নামে পরিচিত।
• আইসোমার:
যেসব নিউক্লিয়াসে পারমাণবিক সংখ্যা ও ভরসংখ্যা উভয়ই একই থাকে, সেগুলোকে আইসোমার বলা হয়ে থাকে।
সূত্র: নবম-দশম শ্রেণির রসায়ন পাঠ্যপুস্তক।
0
Updated: 3 months ago
পরমাণু (Atom) চার্জ নিরপেক্ষ হয়, কারণ পরমাণুতে-
Created: 3 months ago
A
নিউট্রন ও প্রোটনের সংখ্যা সমান
B
প্রোটন ও নিউট্রনের ওজন সমান
C
নিউট্রন ও প্রোটন নিউক্লিয়াসে থাকে
D
ইলেকট্রন ও প্রোটনের সংখ্যা সমান
নিউক্লিয়াস হলো পরমাণুর কেন্দ্রীয় অংশ, যেখানে প্রোটন এবং নিউট্রন অবস্থান করে। এখানেই পরমাণুর সব ধনাত্মক আধান এবং অধিকাংশ ভর সঞ্চিত থাকে।
অন্যদিকে, ইলেকট্রনগুলো নিউক্লিয়াসের বাইরে অবস্থান করে এবং তার চারপাশে ঘোরে। পরমাণু সাধারণত নিরপেক্ষ থাকে, কারণ এতে প্রোটনের সংখ্যা এবং ইলেকট্রনের সংখ্যা সমান থাকে।
উৎস: রসায়ন বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।
0
Updated: 3 months ago
নারভাস সিস্টেমের স্ট্রাকচারাল এবং ফাংশনাল ইউনিটকে কি বলে?
Created: 3 months ago
A
নেফ্রোন
B
নিউরন
C
থাইমাস
D
মাস্ট সেল
স্নায়ুতন্ত্র গঠনে একটি বিশেষ ধরনের টিস্যু কাজ করে, যাকে বলা হয় স্নায়ু টিস্যু। এই টিস্যু বাহ্যিক পরিবেশ থেকে উদ্দীপনা গ্রহণ করে তা দেহের অভ্যন্তরে সঞ্চালন করতে সক্ষম এবং ফলস্বরূপ নির্দিষ্ট প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
স্নায়ু টিস্যু মূলত যে কোষ দ্বারা গঠিত, তাকে স্নায়ু কোষ বা নিউরন বলা হয়। নিউরন হলো স্নায়ুতন্ত্রের গঠনগত ও কার্যগত একক, যা ভ্রূণীয় এক্টোডার্ম থেকে উৎপত্তি লাভ করে। নিউরন বিভিন্ন ধরনের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ উদ্দীপনা গ্রহণ করে এবং সেগুলো স্নায়ু তাড়নার মাধ্যমে দেহের অন্যান্য অংশে প্রেরণ করে।
একটি পূর্ণ বিকশিত নিউরন সাধারণত তিনটি প্রধান অংশ নিয়ে গঠিত:
-
কোষদেহ (সোমা)
-
ডেনড্রাইট
-
অ্যাক্সন
নিউরনের সাইটোপ্লাজমে সেন্ট্রিয়োল অনুপস্থিত থাকে, যার ফলে এ কোষ বিভাজিত হতে পারে না। নিউরনের কোষদেহ থেকে একাধিক শাখা (ডেনড্রাইট) উৎপন্ন হয়, যেগুলোর মাধ্যমে স্নায়ু উদ্দীপনা নিউরনের দিকে আসে। অন্যদিকে, কোষদেহ থেকে উৎপন্ন একটি দীর্ঘ তন্তু — অ্যাক্সন, স্নায়ু তাড়না পরবর্তী নিউরনের ডেনড্রাইট পর্যন্ত নিয়ে যায়। প্রতিটি নিউরনে কেবল একটি অ্যাক্সন থাকে।
পরপর দুটি নিউরনের অ্যাক্সন ও ডেনড্রাইটের সংযোগস্থলে যে বিশেষ সন্ধি গঠিত হয়, তাকে সিনাপস (Synapse) বলা হয়। এই সিনাপসের মাধ্যমেই এক নিউরন থেকে অন্য নিউরনে স্নায়ু তাড়না পরিবাহিত হয়।
প্রতিটি প্রাণীর স্নায়ুতন্ত্রে অসংখ্য নিউরন থাকে। এই স্নায়ু তন্ত্রই উদ্দীপনা সংগ্রহ করে সঠিক প্রতিক্রিয়া নির্ধারণ করে, সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং জটিল প্রাণীদের ক্ষেত্রে স্মৃতি সংরক্ষণ ও দেহের বিভিন্ন অঙ্গের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে।
উৎস: জীববিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 3 months ago