ব্যাসল্ট ও গ্রানাইট কোন ধরনের শিলা?
A
স্তরীভূত শিলা
B
পাললিক শিলা
C
আগ্নেয় শিলা
D
রূপান্তরিত শিলা
উত্তরের বিবরণ
শিলা (Rocks)
-
পৃথিবীর ভূত্বক যেসব উপাদান দ্বারা গঠিত, তাদের সাধারণ নাম শিলা।
-
ভূতত্ত্ববিদদের মতে, দুই বা ততোধিক খনিজ পদার্থের সংমিশ্রণে শিলার সৃষ্টি হয়।
-
ভূত্বক গঠনকারী সব ধরনের কঠিন ও কোমল পদার্থই শিলা।
যেমন: নুড়ি, কাঁকর, গ্রানাইট, কাদা, বালি প্রভৃতি। -
গঠনপ্রণালী অনুসারে শিলাকে তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়—
১) আগ্নেয় শিলা
২) পাললিক শিলা
৩) রূপান্তরিত শিলা
আগ্নেয় শিলা (Igneous Rocks)
-
পৃথিবীর জন্মের প্রাথমিক অবস্থায় এটি ছিল উত্তপ্ত গ্যাসপিণ্ড। ক্রমে তাপ বিকিরণ ঘটিয়ে এটি তরল আকার ধারণ করে। পরে আরও তাপ বিকিরণের ফলে এর উপরিভাগ শীতল ও কঠিন হয়ে যায়।
-
এভাবে গলিত অবস্থায় থেকে শীতল হয়ে যে শিলা তৈরি হয় তাকে আগ্নেয় শিলা বলে।
-
আগ্নেয় শিলা পৃথিবীর প্রথম শিলা, তাই একে প্রাথমিক শিলা-ও বলা হয়।
-
এই শিলায় কোনো স্তর নেই, তাই এর অপর নাম অস্তরীভূত শিলা।
-
আগ্নেয় শিলায় জীবাশ্ম পাওয়া যায় না।
বৈশিষ্ট্য:
১) স্ফটিকাকার
২) অস্তরীভূত
৩) কঠিন ও কম ভঙ্গুর
৪) জীবাশ্মহীন
৫) অপেক্ষাকৃত ভারী
-
ভূমিকম্প বা আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের সময় ভূত্বকের দুর্বল অংশে ফাটল তৈরি হলে অভ্যন্তরীণ উত্তপ্ত লাভা বেরিয়ে এসে শীতল হয়ে ব্যাসল্ট ও গ্রানাইট জাতীয় শিলার সৃষ্টি করে।
আগ্নেয় শিলার প্রকারভেদ
(ক) বহিঃজ আগ্নেয় শিলা (Extrusive Igneous Rocks):
-
ভূগর্ভস্থ উত্তপ্ত ম্যাগমা আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত বা অন্য কোনো কারণে বেরিয়ে এসে শীতল হয়ে জমাট বাঁধলে বহিঃজ আগ্নেয় শিলা তৈরি হয়।
-
এদের দানা সূক্ষ্ম ও রং সাধারণত গাঢ় হয়।
-
উদাহরণ: ব্যাসল্ট, রায়োলাইট, অ্যান্ডিসাইট।
(খ) অন্তঃজ আগ্নেয় শিলা (Intrusive Igneous Rocks):
-
ভূগর্ভস্থ ম্যাগমা ভূপৃষ্ঠের বাইরে না গিয়ে ভূগর্ভেই শীতল হয়ে জমাট বাঁধলে অন্তঃজ আগ্নেয় শিলা তৈরি হয়।
-
এর দানাগুলো স্থূল ও রং অপেক্ষাকৃত হালকা হয়।
-
উদাহরণ: গ্রানাইট, গ্যাব্রো, ডলোরাইট, ল্যাকোলিথ, ব্যাথোলিথ, ডাইক, সিল।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণি
0
Updated: 1 month ago
ফারেনহাইট ও সেলসিয়াসের স্কেলে কত ডিগ্রি তাপমাত্রায় সমান তাপমাত্রা নির্দেশ করে?
Created: 3 months ago
A
০°
B
১০০°
C
৪°
D
- ৪০°
সেলসিয়াস ও ফারেনহাইট স্কেলের মধ্যে সম্পর্ক নির্ধারণের জন্য আমরা নিচের সূত্রটি ব্যবহার করি:
C/5 = (F - 32)/9
এখানে, C = সেলসিয়াস তাপমাত্রা এবং F = ফারেনহাইট তাপমাত্রা।
এখন, যদি ধরা হয় উভয় স্কেলে তাপমাত্রা সমান (x), তাহলে সমীকরণ দাঁড়ায়—
x/5 = (x - 32)/9
এখন উভয় পক্ষকে গুণ করলে:
9x = 5x - 160
=> 4x = -160
=> x = -40
অতএব, সেলসিয়াস ও ফারেনহাইট উভয় স্কেলেই -৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা একই রকম মান নির্দেশ করে।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড।
0
Updated: 3 months ago
ঘন পাতাবিশিষ্ট বৃক্ষের নিচে রাতে ঘুমানো স্বাস্থ্যসম্মত নয়, কারণ গাছ হতে-
Created: 3 months ago
A
অধিক পরিমাণে অক্সিজেন নির্গত হয়
B
অধিক পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয়
C
অধিক পরিমাণে কার্বন মনো-অক্সাইড নির্গত হয়
D
বিষাক্ত সায়ানাইড নির্গত হয়
ঘন পাতাওয়ালা গাছগুলো রাতে তুলনামূলকভাবে বেশি পরিমাণে শ্বসন প্রক্রিয়া চালায়।
রাতের সময় এই গাছগুলোর নিচে ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে, কারণ শ্বসনের মাধ্যমে তারা বেশি পরিমাণে কার্বন ডাই-অক্সাইড পরিবেশে ছেড়ে দেয়।
এ সময় উদ্ভিদ বাইরের বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে নিজস্ব জৈব প্রক্রিয়া চালায়, ফলে আশপাশের বাতাসে অক্সিজেনের পরিমাণ হ্রাস পায় এবং রাতের বেলায় গাছের নিচে অক্সিজেনের ঘনত্ব কমে যায়।
0
Updated: 3 months ago
আমাদের দেশে বনায়নের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ-
Created: 3 months ago
A
গাছপালা পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে
B
গাছপালা O₂ ত্যাগ করে পরিবেশকে নির্মল রাখে ও জীব জগতকে বাঁচায়
C
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কোনো অবদান নেই
D
ঝড় ও বন্যার আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়
পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে প্রতিটি দেশের মোট আয়তনের অন্তত ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা প্রয়োজন। অথচ বাংলাদেশে বর্তমানে বনভূমির পরিমাণ মোট আয়তনের প্রায় ১৭ শতাংশ।
আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে বনায়নের গুরুত্ব অনেক। কারণ—
-
গাছপালা পরিবেশে অক্সিজেন সরবরাহ করে, যা বাতাসকে বিশুদ্ধ রাখতে সহায়তা করে এবং জীবজগতের জীবনধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
গাছপালা বহু ক্ষুদ্র প্রাণী ও পাখির নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করে এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় সহায়ক হয়।
-
গাছপালা প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মানুষসহ অন্যান্য জীবকে সুরক্ষা প্রদান করে।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণি
0
Updated: 3 months ago