নিচের কোন যন্ত্রটি উচ্চ ভোল্টেজকে নিম্ন ভোল্টেজে রূপান্তর করতে পারে?
A
ট্রান্সফরমার
B
ব্যাটারি
C
জেনারেটর
D
মোটর
উত্তরের বিবরণ
ট্রান্সফরমার (Transformer)
-
যে যন্ত্র পর্যাবৃত্ত উচ্চ বিভবকে নিম্ন বিভবে বা নিম্ন বিভবকে উচ্চ বিভবে রূপান্তর করে, তাকে ট্রান্সফরমার বলে।
-
ট্রান্সফরমার একটি তড়িৎ যন্ত্র, যা কেবলমাত্র পরিবর্তী প্রবাহে (AC) কাজ করে।
-
এটি কাজ করে তড়িৎচৌম্বক আবেশের (Electromagnetic Induction) নীতির ওপর।
-
ট্রান্সফরমারের মধ্যে সাধারণত দুটি কুণ্ডলী থাকে—
১. প্রাইমারি কুণ্ডলী
২. সেকেন্ডারি কুণ্ডলী -
ট্রান্সফরমার প্রধানত দুই ধরনের হয়:
১. স্টেপ-আপ ট্রান্সফরমার → নিম্ন বিভবকে উচ্চ বিভবে রূপান্তর করে।
২. স্টেপ-ডাউন ট্রান্সফরমার → উচ্চ বিভবকে নিম্ন বিভবে রূপান্তর করে।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 1 month ago
১ মেগা ওয়াট = কত ওয়াট?
Created: 1 month ago
A
১০৩ ওয়াট
B
১০৬ ওয়াট
C
১০৯ ওয়াট
D
১০১২ ওয়াট
তড়িৎ ক্ষমতা (Electric Power)
-
কাজ এবং শক্তির একক হলো জুল (Joule)।
-
শক্তি প্রয়োগ করে কাজ করা যায়, এবং কাজের হার, অর্থাৎ একক সময়ে সম্পন্নকৃত কাজকে ক্ষমতা (Power) বলা হয়।
-
কোনো তড়িৎ যন্ত্র প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমাণ তড়িৎ শক্তি ব্যয় করে বা অন্য শক্তিতে (যেমন: তাপ, আলো, যান্ত্রিক) রূপান্তরিত করে, তাকে তড়িৎ ক্ষমতা বলা হয়।
কিলোওয়াট (kW) ও ওয়াট (W)
-
কোনো রোধ বা তড়িৎ যন্ত্রের দুই পাশে বিভব পার্থক্য ১ ভোল্ট হলে, এবং এর মধ্য দিয়ে ১ অ্যাম্পিয়ার তড়িৎ প্রবাহিত হলে, ঐ যন্ত্রের ক্ষমতা ১ ওয়াট (W)।
-
সূত্র: ১ ওয়াট = ১ ভোল্ট × ১ অ্যাম্পিয়ার
-
-
বড় পরিমাণ শক্তির জন্য ব্যবহার করা হয়:
-
১ কিলোওয়াট (kW) = ১০০০ ওয়াট = 10³ ওয়াট
-
১ মেগাওয়াট (MW) = ১০⁶ ওয়াট
-
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
কোনটি জারক পদার্থ নয়?
Created: 1 month ago
A
হাইড্রোজেন
B
অক্সিজেন
C
ক্লোরিন
D
ব্রোমিন
জারণ-বিজারণে জারক ও বিজারক পদার্থ
১. জারক পদার্থ (Oxidant):
-
জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ায় যে পদার্থ ইলেকট্রন গ্রহণ করে, তাকে জারক বা অক্সিডেন্ট বলে।
-
ইলেকট্রন গ্রহণ করার পর জারক নিজেই বিজারিত (কম্পাউন্ড বা পদার্থ কম আয়ন বা কম শক্তিশালী অবস্থায় আসে) হয়।
-
কোনো পদার্থের ইলেকট্রন গ্রহণের ক্ষমতা যত বেশি, সেই পদার্থ তত বেশি জারকধর্মী।
উদাহরণ:
SO₂, O₂, Cl₂, Br₂, HNO₃, H₂SO₄, H₂O₂
২. বিজারক পদার্থ (Reductant):
-
জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ায় যে পদার্থ ইলেকট্রন দানে সক্ষম, তাকে বিজারক বা রিডাক্ট্যান্ট বলে।
-
ইলেকট্রন দানের পর বিজারক নিজেই জারিত হয়।
-
কোনো পদার্থের ইলেকট্রন দানের ক্ষমতা যত বেশি, সেই পদার্থ তত বেশি বিজারকধর্মী।
উদাহরণ:
H, Li, Na, K, Rb — এগুলো তীব্র বিজারক।
Mg, Ca, SO₂, H₂S, H₂O₂ — এগুলোও বিজারক হিসেবে কাজ করে।
৩. বিশেষ কিছু মন্তব্য:
-
SO₂ একসাথে জারক ও বিজারক উভয় ভূমিকা পালন করতে পারে।
-
H₂O₂ সাধারণত জারকের মতো কাজ করে, কিন্তু অম্লীয় বা ক্ষারীয় পরিবেশে এটি বিজারক হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।
উৎস: রসায়ন প্রথম পত্র, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 1 month ago
নিউক্লিয় সাবমেরিনে নিউক্লিয় শক্তিকে কোন শক্তিতে রূপান্তর করা হয়?
Created: 2 months ago
A
চৌম্বক শক্তি
B
আলোক শক্তি
C
পারমাণবিক শক্তি
D
যান্ত্রিক শক্তি
নিউক্লিয় শক্তির রূপান্তর (Conversion of Nuclear Energy)
-
নিউক্লিয় সাবমেরিন:
-
সাবমেরিনে নিউক্লিয় শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তর করা হয়।
-
-
নিউক্লিয় বোমা:
-
বোমার ধ্বংস ক্ষমতা মূলত নিউক্লিয় শক্তির রূপান্তরের ফল।
-
-
নিউক্লিয় চুল্লী (Nuclear Reactor):
-
চুল্লীতে নিউক্লিয় শক্তি অন্যান্য শক্তিতে, বিশেষত তড়িৎ শক্তিতে, রূপান্তরিত হয়।
-
এর ফলে বিদ্যুতের চাহিদা অনেকাংশে পূরণ করা যায়।
-
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 2 months ago