যদি একটি লেন্সের ফোকাস দূরত্ব ২ মিটার হয়, তবে তার ক্ষমতা কত হবে?
A
০.২ ডায়াপ্টর
B
০.৫ ডায়াপ্টর
C
২.০ ডায়াপ্টর
D
৫.০ ডায়াপ্টর
উত্তরের বিবরণ
লেন্সের ক্ষমতা (Power of a Lens)
-
উত্তল লেন্স প্রধান অক্ষের সমান্তরাল আলোকরশ্মিগুচ্ছকে অভিসারী করে একটি বিন্দুতে মিলিত করে।
-
অবতল লেন্স প্রধান অক্ষের সমান্তরাল আলোকরশ্মিগুচ্ছকে অপসারী করে; ফলে মনে হয় রশ্মিগুলো কোনো নির্দিষ্ট বিন্দু থেকে ছড়িয়ে পড়ছে।
-
আলোকরশ্মিকে অভিসারী বা অপসারী করার ক্ষমতাকে লেন্সের ক্ষমতা বলা হয়।
সংজ্ঞা:
এখানে, হলো লেন্সের ফোকাস দূরত্ব (মিটারে) এবং ক্ষমতার একক হলো ডায়াপ্টর (D)।
উদাহরণ
-
একটি উত্তল লেন্সের ফোকাস দূরত্ব ২ মিটার হলে,
-
লেন্সের ক্ষমতা ধনাত্মক (+) অথবা ঋণাত্মক (–) হতে পারে।
ব্যাখ্যা
-
→ লেন্সটি উত্তল, এবং এটি আলোকরশ্মিগুচ্ছকে প্রধান অক্ষের ১ মিটার দূরে মিলিত করবে।
-
→ লেন্সটি অবতল, এবং এটি আলোকরশ্মিগুচ্ছকে এমনভাবে অপসারী করবে যেন সেগুলো লেন্স থেকে ½ মিটার বা ৫০ সেমি দূরের একটি বিন্দু থেকে আসছে বলে মনে হয়।
উৎস: বিজ্ঞান, নবম–দশম শ্রেণি
0
Updated: 1 month ago
ডায়োড সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়-
Created: 2 months ago
A
ক্যাপাসিটর হিসেবে
B
ট্রান্সফরমার হিসেবে
C
রেজিস্টর হিসেবে
D
রেক্টিফায়ার হিসেবে
ডায়োড হলো এমন একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র, যা বিদ্যুতের প্রবাহকে একদিকে যেতে দেয়, কিন্তু উল্টো দিকে যেতে দেয় না।
এটি নানা কাজে ব্যবহৃত হয়।
সাধারণ ডায়োড ছাড়াও Light Emitting Diode (LED) নামে ছোট ছোট রঙিন আলোও আছে।
ডায়োড তৈরি হয় যখন একটি p-টাইপ অর্ধপরিবাহী এবং একটি n-টাইপ অর্ধপরিবাহী একসাথে যুক্ত হয়। একে বলা হয় p-n জাংশন ডায়োড।
ডায়োড মূলত রেকটিফায়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। রেকটিফায়ারের কাজ হলো AC (অলটারনেটিং কারেন্ট) কে DC (ডাইরেক্ট কারেন্ট) এ পরিবর্তন করা।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।
0
Updated: 2 months ago
মানুষের রক্তে লোহিত কণিকা কোথায় সঞ্চিত থাকে?
Created: 2 months ago
A
হৃদযন্ত্রে
B
বৃক্কে
C
ফুসফুসে
D
প্লীহাতে
লোহিত রক্তকণিকা (Red Blood Cells - RBC)
-
মানুষের লোহিত রক্তকণিকা ডিম্বাকৃতি বা দু-অবতল চাকতির মতো দেখতে হয়।
-
এদের লাল রঙ হিমোগ্লোবিন নামক রঞ্জক পদার্থের কারণে, যা অক্সিজেন পরিবহনে বিশেষ ভূমিকা রাখে। তাই এদেরকে সাধারণত Red Blood Cell (RBC) বলা হয়।
-
আসলে, লোহিত রক্তকণিকা হলো হিমোগ্লোবিন ভর্তি চ্যাপ্টা ব্যাগের মতো। এই চ্যাপ্টা আকৃতির কারণে এটি সহজেই বেশি অক্সিজেন বহন করতে পারে।
-
লোহিত কণিকা বিভাজন করতে পারে না। এগুলো সবসময় অস্থিমজ্জা (Bone Marrow) থেকে তৈরি হয়ে রক্তে প্রবেশ করে।
-
মানুষের লোহিত রক্তকণিকার আয়ু প্রায় ১২০ দিন (৪ মাস)।
-
স্তন্যপায়ী প্রাণীদের ক্ষেত্রে, লোহিত কণিকা উৎপাদনের পরে নিউক্লিয়াস হারায়। কিন্তু অন্যান্য মেরুদণ্ডী প্রাণীর লোহিত কণিকায় নিউক্লিয়াস থাকে।
-
লোহিত কণিকাগুলো প্রয়োজনে প্লীহা (Spleen) থেকে রক্তে সরবরাহ করা হয়।
উৎস: বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।
0
Updated: 2 months ago
নিচের কোনটি তেজস্ক্রিয় পদার্থ নয়?
Created: 1 month ago
A
Ra
B
Th
C
Na
D
Rn
Na (সোডিয়াম) কোনো তেজস্ক্রিয় পদার্থ নয়। তেজস্ক্রিয় পদার্থ হলো এমন সব উপাদান যাদের ভারী নিউক্লিয়াস স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভেঙে গিয়ে বিশেষ ধরনের বিকিরণ বা নিঃসরণ করে। এ প্রক্রিয়াকেই তেজস্ক্রিয়তা বলা হয়।
-
তেজস্ক্রিয়তা ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে হেনরি বেকারেল আবিষ্কার করেন।
-
এর SI একক হলো বেকেরেল (Bq), যা আবিষ্কারকের নামানুসারে নির্ধারিত।
-
সাধারণ তেজস্ক্রিয় পদার্থ হলো রেডন (Rn), রেডিয়াম (Ra), থোরিয়াম (Th), ইউরেনিয়াম (U) ইত্যাদি।
-
উচ্চমাত্রায় তেজস্ক্রিয়তা গাছপালা ধ্বংস করে এবং খাদ্যশৃঙ্খলের মাধ্যমে প্রাণীদেহে প্রবেশ করে ভয়াবহ রোগ সৃষ্টি করতে পারে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago