ভুট্টার প্রোটিন জেইন (Zein) কী ধরনের প্রোটিন?
A
অসম্পূর্ণ প্রোটিন
B
দ্বিতীয় শ্রেণির প্রোটিন
C
সম্পূর্ণ প্রোটিন
D
উচ্চ ঘনত্ববিশিষ্ট প্রোটিন
উত্তরের বিবরণ
প্রোটিন (Protein)
-
শব্দের উৎপত্তি: ‘প্রোটিন’ শব্দটি গ্রিক শব্দ প্রোটিওজ (Proteios) থেকে এসেছে, যার অর্থ “সর্বপ্রথম অবস্থান”।
-
যেখানে প্রাণের অস্তিত্ব আছে, সেখানে প্রোটিন রয়েছে। তাই প্রোটিন ছাড়া কোনো প্রাণীর অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না।
-
প্রাণী ও উদ্ভিদ উভয় জগতেই প্রোটিন একটি মুখ্য উপাদান।
-
সব প্রোটিনই কার্বন (C), হাইড্রোজেন (H), অক্সিজেন (O) এবং নাইট্রোজেন (N) দিয়ে গঠিত। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সালফার, ফসফরাস, লৌহ ইত্যাদিও যুক্ত থাকে।
-
প্রোটিনকে ক্ষুদ্র অংশে ভাঙলে প্রথমে অ্যামাইনো এসিড পাওয়া যায় এবং শেষে মৌলিক উপাদান যেমন C, H, O, N ইত্যাদি পাওয়া যায়।
🔹 প্রোটিনের শ্রেণিবিভাগ
উৎস অনুযায়ী
১. প্রাণিজ প্রোটিন → প্রাণিজগৎ থেকে প্রাপ্ত। যেমন: মাছ, মাংস, ডিম, দুধ।
২. উদ্ভিজ্জ প্রোটিন → উদ্ভিদজগৎ থেকে প্রাপ্ত। যেমন: ডাল, বাদাম, সয়াবিন, সিমের বিচি।
অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিডের ভিত্তিতে
১. সম্পূর্ণ বা প্রথম শ্রেণির প্রোটিন
-
যেসব প্রোটিনে দেহের জন্য প্রয়োজনীয় সব অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড সঠিক অনুপাতে থাকে।
-
উদাহরণ: মাছ, মাংস ইত্যাদি প্রাণিজ প্রোটিন।
২. আংশিক পূর্ণ বা দ্বিতীয় শ্রেণির প্রোটিন
-
যেখানে এক বা একাধিক অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড পর্যাপ্ত অনুপাতে থাকে না, ফলে দেহের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
-
উদাহরণ: চাল, ডাল, আটা, বাদাম, আলু ইত্যাদি।
-
যেমন: ডালে মেথিওনিন, আর চালে লাইসিন কম থাকে।
৩. অসম্পূর্ণ বা তৃতীয় শ্রেণির প্রোটিন
-
যেখানে দেহের জন্য প্রয়োজনীয় সকল অ্যামাইনো এসিড যথেষ্ট পরিমাণে নেই।
-
উদাহরণ: ভুট্টার প্রোটিন জেইন (Zein)।
উৎস: গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, নবম–দশম শ্রেণি
0
Updated: 1 month ago
তেজস্ক্রিয়তা প্রথম আবিষ্কার করেন কে?
Created: 1 month ago
A
আইজ্যাক নিউটন
B
আলবার্ট আইনস্টাইন
C
হেনরি বেকারেল
D
মেরি কুরি
তেজস্ক্রিয়তা (Radioactivity)
-
বিশেষ ধরনের নিউক্লিয়াস স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভেঙ্গে গিয়ে বিভিন্ন কণা ও তেজস্ক্রিয় বিকিরণ নির্গত করলে যে প্রক্রিয়া ঘটে তাকে তেজস্ক্রিয়তা বলা হয়।
-
১৮৯৬ সালে হেনরি বেকারেল তেজস্ক্রিয়তা আবিষ্কার করেন।
তেজস্ক্রিয়তার প্রভাব ও ক্ষতি:
-
পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বা পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা-নিরীক্ষা থেকে ছড়িয়ে যাওয়া তেজস্ক্রিয় পদার্থ মাটির দূষণ ঘটায়।
-
উদাহরণ: রেডন (Rn), রেডিয়াম (Ra), থোরিয়াম (Th), ইউরেনিয়াম (U)।
-
এই পদার্থ শুধুমাত্র মাটির উর্বরতা নষ্ট করে না, প্রাণী ও মানুষের ত্বক ও ফুসফুসের ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে।
-
উচ্চমাত্রার তেজস্ক্রিয়তা গাছপালা ও উদ্ভিদ মারা যাওয়ার কারণ হয়।
-
তেজস্ক্রিয় পদার্থ খাদ্য শৃঙ্খলের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করলে ভয়াবহ রোগ সৃষ্টি করতে পারে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
বর্তমানে শীর্ষ ঋণদাতা দেশ - [আগস্ট,২০২৫]
Created: 1 month ago
A
জাপান
B
জার্মানি
C
যুক্তরাষ্ট্র
D
চীন
বিশ্বের শীর্ষ ঋণদাতা দেশ (আগস্ট ২০২৫ অনুযায়ী):
-
জার্মানি বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ ঋণদাতা দেশ।
-
জাপান দীর্ঘ ৩৪ বছর শীর্ষ ঋণদাতা হিসেবে অবস্থান করলেও এখন এই মর্যাদা হারিয়েছে।
-
২০২৪ সালের শেষ নাগাদ প্রধান দেশগুলোর নিট বৈদেশিক সম্পদের পরিমাণ:
-
জার্মানি: ৫৬৯.৬৫ ট্রিলিয়ন ইয়েন
-
জাপান: ৫৩৩.০৫ ট্রিলিয়ন ইয়েন
-
চীন: ৫১৬.২৮ ট্রিলিয়ন ইয়েন
-
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
বিজারক পদার্থ ইলেকট্রন দান করার পর কী হয়?
Created: 4 weeks ago
A
নিজেই বিজারিত হয়
B
নিজেই জারিত হয়
C
নিজে শক্তিশালী হয়
D
কোনো পরিবর্তন হয় না
বিজারক ও জারক পদার্থ হলো জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার মূল অংশ, যা ইলেকট্রনের আদান-প্রদান নির্ধারণ করে।
বিজারক পদার্থ (Reductant)
-
যে পদার্থ ইলেকট্রন দান করে, তাকে বিজারক বা রিডাকট্যান্ট বলা হয়।
-
ইলেকট্রন দান করার পর নিজে জারিত হয়।
-
ইলেকট্রন দানের প্রবণতা যত বেশি, পদার্থ তত বেশি বিজারকধর্মী।
-
উদাহরণ: হাইড্রোজেন (H₂), Li, Na, K, Rb, Mg, Ca, SO₂, H₂S, H₂O₂।
জারক পদার্থ (Oxidant)
-
যে পদার্থ ইলেকট্রন গ্রহণ করে, তাকে জারক বা অক্সিড্যান্ট বলা হয়।
-
ইলেকট্রন গ্রহণের পর নিজে বিজারিত হয়।
-
ইলেকট্রন গ্রহণের প্রবণতা যত বেশি, পদার্থ তত বেশি জারকধর্মী।
-
উদাহরণ: SO₂, O₂, Cl₂, Br₂, HNO₃, H₂SO₄, H₂O₂।
বিশেষ মন্তব্য
-
SO₂ একই সাথে জারক এবং বিজারক হিসেবে কাজ করতে পারে।
-
H₂O₂ সাধারণত জারকের মতো ব্যবহার হয়, কিন্তু অম্লীয় বা ক্ষারীয় দ্রবণে বিজারক হিসেবে কাজ করে।
0
Updated: 4 weeks ago