তড়িৎ মুদ্রণ কী?
A
ডিজিটাল প্রিন্টিং প্রযুক্তি
B
ফটোগ্রাফির প্রিন্টিং প্রযুক্তি
C
কাগজে হাতের লেখা মুদ্রণের পদ্ধতি
D
তড়িৎ প্রলেপের মাধ্যমে হরফ বা ব্লক তৈরি করার পদ্ধতি
উত্তরের বিবরণ
তড়িৎ মুদ্রণ (Electrotyping)
-
সংজ্ঞা: তড়িৎ প্রলেপের একটি বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হরফ, ব্লক মডেল ইত্যাদি তৈরিকে তড়িৎ মুদ্রণ বলে।
প্রক্রিয়া
-
প্রথমে লেখাটি সাধারণ টাইপ ব্যবহার করে মোমের উপর ছাপানো হয়।
-
এরপর মোমের ওপর সূক্ষ্ম গ্রাফাইট গুঁড়ো ছড়িয়ে দেওয়া হয়, যাতে এটি তড়িৎ পরিবাহী হয়।
-
এই মোমের ছাঁচকে কপার সালফেট দ্রবণে ক্যাথোড হিসেবে ডুবানো হয়।
-
একই দ্রবণে একটি তামার পাতকে অ্যানোড হিসেবে রাখা হয়।
-
দ্রবণের মধ্যে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করলে মোমের ছাঁচের ওপর তামার প্রলেপ জমতে থাকে।
-
প্রলেপ যথেষ্ট পুরু হলে ছাঁচ থেকে ছাড়িয়ে নেওয়া হয় এবং সেটি ছাপার কাজে ব্যবহার করা হয়।
উৎস: বিজ্ঞান, নবম–দশম শ্রেণি
0
Updated: 1 month ago
কোন ধাতু স্বাভাবিক তাপমাত্রায় তরল থাকে?
Created: 2 months ago
A
পারদ
B
লিথিয়াম
C
জার্মেনিয়াম
D
ইউরেনিয়াম
পারদ (Hg – মার্কারি) এমন একটি ধাতু, যা স্বাভাবিক তাপমাত্রাতেই তরল অবস্থায় পাওয়া যায়। এর পারমাণবিক সংখ্যা ৮০। পারদের গলনাঙ্ক হলো –৩৮.৮৩° সেলসিয়াস। অর্থাৎ সাধারণ ঘরের তাপমাত্রায় এটি জমাট বাঁধে না, তরল আকারে থাকে।
অন্যদিকে, সাধারণ তাপমাত্রায় তরল অবস্থায় পাওয়া আরেকটি উপাদান হলো ব্রোমিন। তবে পারদের সাথে পার্থক্য হলো— ব্রোমিন ধাতু নয়, এটি একটি অধাতু।
উৎস: রসায়ন, নবম–দশম শ্রেণি।
0
Updated: 2 months ago
তাপ প্রয়োগে সবচেয়ে বেশি প্রসারিত হয় কোন পদার্থ?
Created: 3 months ago
A
তরল পদার্থ
B
বায়বীয় পদার্থ
C
কঠিন পদার্থ
D
নরম পদার্থ
তাপ প্রয়োগ করলে সকল ধরনের পদার্থই প্রসারিত হয়। তবে কোন পদার্থ কতটা প্রসারিত হবে, তা নির্ভর করে তার অণুগুলোর মধ্যে আন্তঃআণবিক আকর্ষণের উপর। গ্যাসীয় পদার্থে এই আকর্ষণ সবচেয়ে কম,
তাই তাপের প্রভাবে গ্যাস পদার্থই সর্বাধিক প্রসারিত হয়। অন্যদিকে, কঠিন ও তরল পদার্থে আন্তঃআণবিক আকর্ষণ তুলনামূলক বেশি হওয়ায় এদের প্রসারণ তুলনামূলকভাবে কম হয়।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি
0
Updated: 3 months ago
অ্যানোডে কোন বিক্রিয়া সম্পন্ন হয়?
Created: 1 month ago
A
জারণ
B
বিজারণ
C
প্রশমন
D
পানিযোজন
তড়িৎদ্বার (Electrical Terminal)
একটি তড়িৎ রাসায়নিক কোষ বা ব্যাটারিতে তড়িৎদ্বার হলো দুটি ধাতব বা গ্রাফাইটের পরিবাহী যন্ত্রাংশ, যা কোষের ইলেকট্রনকে প্রবেশ এবং নির্গমন করার পথ দেয়। অর্থাৎ, এক তড়িৎদ্বার ইলেকট্রনকে কোষে প্রবেশ করায় এবং অন্যটি ইলেকট্রন বের করে নেয়।
তড়িৎদ্বার কোষের ইলেকট্রনিক পরিবাহী ও ইলেকট্রোলাইটকে সংযুক্ত করে এবং কোষের বর্তনী পূর্ণ করে। একটি তড়িৎ রাসায়নিক কোষে দুইটি তড়িৎদ্বারের প্রয়োজন হয়:
১। অ্যানোড তড়িৎদ্বার
২। ক্যাথোড তড়িৎদ্বার
অ্যানোড তড়িৎদ্বার (Anode Terminal):
-
অ্যানোড হলো সেই তড়িৎদ্বার যা ব্যাটারির ধনাত্মক প্রান্তের সাথে যুক্ত থাকে।
-
এর মাধ্যমে ইলেকট্রন দ্রবণে থেকে বের হয়ে যায়।
-
অ্যানোডে জারণ (Oxidation) ঘটে, অর্থাৎ অ্যানায়নগুলো ইলেকট্রন ত্যাগ করে আধান মুক্ত হয়।
ক্যাথোড তড়িৎদ্বার (Cathode Terminal):
-
ক্যাথোড হলো সেই তড়িৎদ্বার যা ব্যাটারির ঋণাত্মক প্রান্তের সাথে যুক্ত থাকে।
-
এর মাধ্যমে ইলেকট্রন ব্যাটারি থেকে দ্রবণে প্রবেশ করে।
-
ক্যাথোডে বিজারণ (Reduction) ঘটে, অর্থাৎ ক্যাটায়নগুলো ইলেকট্রন গ্রহণ করে আধান মুক্ত হয়।
উৎস: রসায়ন প্রথম পত্র, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 1 month ago