A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
কাজী নজরুল ইসলাম
C
শেখ ফজলুল করিম
D
শামসুর রাহমান
উত্তরের বিবরণ
‘মানুষের মাঝে স্বর্গ-নরক, মানুষেই সুরাসুর’ — এই পঙ্ক্তি ফজলল করিমের রচিত ‘স্বর্গ ও নরক’ কবিতার অন্তর্গত।
-
বাঙালি মুসলমানদের ভাষাগত সঙ্কটের সময়ে ‘বাসনা’ পত্রিকা বাংলা ভাষার পক্ষে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছিল।
-
এই পত্রিকার প্রধান লক্ষ্য ছিল হিন্দু-মুসলমান মিলনাকাঙ্ক্ষা প্রচার করা।
-
হিন্দু-মুসলমান দ্বন্দ্বের সময়ে শেখ ফজলল করিম রচনা করেন ‘স্বর্গ ও নরক’ শিরোনামে একটি কবিতা।
কবিতাটির সংক্ষিপ্ত রূপ:
স্বর্গ ও নরক
শেখ ফজলল করিম
কোথায় স্বর্গ, কোথায় নরক, তা কে বহুদূর বলে?
মানুষের মাঝে স্বর্গ-নরক, মানুষেই সুরাসুর!
শত্রু দূর করতে যখন বিবেক জাগে আমাদের,
সেই সময় আত্মগ্লানির আগুনে পুড়ে যায় নরকের শিখা।
যখন প্রেম ও স্নেহের পবিত্র বন্ধনে আমরা মিলিত হই,
তখন আমাদের কুঁড়েঘরে স্বর্গ এসে অবস্থান নেয়।
শেখ ফজলল করিম সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচিতি:
-
তিনি ১৮৮২ সালে রংপুর জেলার কাকিনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
-
কবি, সাহিত্যিক ও সম্পাদক হিসেবে পরিচিত।
-
হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর চরিত্র ও ধর্মজীবন অবলম্বনে ‘পরিত্রাণ’ শীর্ষক কাব্য রচনা করেন।
-
সাহিত্য সেবায় নদীয়া সাহিত্য সভা তাকে ১৯১৬ সালে ‘সাহিত্যবিশারদ’ ও ১৯১৭ সালে ‘কাব্যরত্নাকর’ উপাধি প্রদান করে সম্মানিত করে।
তাঁর প্রধান কবিতাসমূহ:
-
ভগ্নবীণা
-
ভক্তি পুষ্পাঞ্জলি
-
গাঁথা
-
প্রেমের স্মৃতি
-
পথ ও পাথেয়
-
উচ্ছ্বাস
প্রধান উপন্যাস:
-
লায়লী মজনু
-
হারুন-অর-রশিদ
উৎস: বাংলাপিডিয়া, ‘স্বর্গ ও নরক’ কবিতা ও শেখ ফজলল করিম।

0
Updated: 2 months ago