কবি কাজী নজরুল ইসলাম ‘সঞ্চিতা’ কাব্যটি কাকে উৎসর্গ করেছিলেন?
A
বারীন্দ্রকুমার ঘোষ
B
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
C
বীরজাসুন্দরী দেবী
D
মুজাফফর আহমদ
উত্তরের বিবরণ
কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর 'সঞ্চিতা' কাব্যগ্রন্থটি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে উৎসর্গ করেছিলেন।
'সঞ্চিতা' হলো কাজী নজরুল ইসলামের একটি কবিতা সংকলন, যা ১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়। এই গ্রন্থটি নজরুল ঠাকুরকে উৎসর্গ করেছিলেন। এতে মোট ৭৮টি কবিতা ও গান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। নজরুলের কবিতার প্রকৃত ধারা ও বৈশিষ্ট্য বোঝার জন্য 'সঞ্চিতা' একটি গুরুত্বপূর্ণ সংকলন, কারণ জীবিত অবস্থায় তিনি নিজেও এটিকে তাঁর শ্রেষ্ঠ কাব্য সৃষ্টি হিসেবে মেনে নিয়েছিলেন।
অন্যদিকে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর রচিত নাটক 'বসন্ত' কাজী নজরুল ইসলামকে উৎসর্গ করেছিলেন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 3 months ago
'আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে' লাইনটি নিম্নোক্ত একজনের কাব্যে পাওয়া যায়-
Created: 3 months ago
A
মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
B
ভারতচন্দ্র রায়
C
মদনমোহন তর্কালঙ্কার
D
কামিনী রায়
অন্নদামঙ্গল কাব্য ও ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে’ পঙক্তির ব্যাখ্যা
বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগে রচিত এক গুরুত্বপূর্ণ মঙ্গলকাব্য হলো অন্নদামঙ্গল, যার রচয়িতা ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর। তিনি বাংলা সাহিত্যের প্রথম নাগরিক কবি হিসেবে পরিচিত। এই কাব্যে মানবজীবনে দেবীর কৃপা, ধর্ম ও সামাজিক নীতির গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
অন্নদামঙ্গল কাব্যটি তিনটি খণ্ডে বিভক্ত:
-
শিবনারায়ণ খণ্ড
-
কালিকামঙ্গল খণ্ড
-
মানসিংহ-ভবানন্দ খণ্ড
এই কাব্যের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছেন: মানসিংহ, ভবানন্দ, বিদ্যাসুন্দর, মালিনী, ও ঈশ্বরী পাটনী।
ঈশ্বরী পাটনী ছিলেন ভবানন্দের স্ত্রী, যিনি মাতা হিসেবে সন্তানকে নিয়ে গভীর মমতাভরে একটি প্রার্থনা করেন। তাঁর মুখ দিয়ে ভারতচন্দ্র উচ্চারণ করেন এক বিখ্যাত পঙক্তি—
"আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে।"
এই সরল অথচ হৃদয়স্পর্শী বাক্যটি বাঙালি মাতৃত্বের প্রতীক হয়ে উঠেছে। এখানে একজন মা তাঁর সন্তানের জন্য প্রার্থনা করছেন যাতে সন্তান ক্ষুধার কষ্ট না পায়—দুধ আর ভাত যেন তার জীবনে অবারিত থাকে।
এই কাব্যের কয়েকটি স্মরণীয় পঙক্তি হলো:
-
“মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন।”
-
“নগর পুড়িলে দেবালয় কি এড়ায়?”
-
“আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে।”
এই পঙক্তিগুলি কেবল কাব্যিক সৌন্দর্যের নিদর্শনই নয়, বরং সমাজ, ধর্ম ও মানবিক মূল্যবোধের পরিচায়ক হিসেবেও বিবেচিত হয়।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 3 months ago
জীবনীকাব্য রচনার জন্য বিখ্যাত :
Created: 1 week ago
A
ফকির গরীবুল্লাহ
B
নরহরি চক্রবর্তী
C
বিপ্রদাস পিপিলাই
D
বৃন্দাবন দাস
বৃন্দাবন দাস ও জীবনীকাব্য
বাংলা সাহিত্যে জীবনীকাব্যের জনক হিসেবে খ্যাত বৃন্দাবন দাস। তিনি শ্রীচৈতন্যদেবের জীবনকাহিনী নিয়ে প্রথম জীবনীকাব্য রচনা করেন। এ কাব্যের নাম শুরুতে ছিল “চৈতন্যামঙ্গল”। পরে কাব্যের ভেতরে ভাগবতের প্রভাব ও লীলা বিষয়ক বর্ণনা থাকায় এর নামকরণ হয় “চৈতন্যভাগবত”।
ধারণা করা হয়, গ্রন্থটি রচিত হয় প্রায় ১৫৪৮ খ্রিষ্টাব্দে।
উৎস:বাংলা ভাষার ইতিহাস – মাহবুবুল আলম

0
Updated: 1 week ago
জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ নয় কোনটি?
Created: 3 months ago
A
ঝরা পালক
B
বেলা অবেলা কালবেলা
C
বাংলার রূপ
D
মহাপৃথিবী
জীবনানন্দ দাশ
জীবনানন্দ দাশ ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান আধুনিক বাঙালি কবি, লেখক ও প্রাবন্ধিক। তিনি ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর মাতা কুসুমকুমারী দাশ ‘আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে’ কবিতার জন্য আজও সমাদৃত, যা শিশুদের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত।
জীবনানন্দ দাশ ১৯৫৫ সালে কলকাতায় ট্রাম দুর্ঘটনায় আহত হন এবং পরে, ২২ অক্টোবর, মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ‘ব্রহ্মবাদী’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ঝরা পালক।
প্রধান কাব্যগ্রন্থসমূহ:
-
ঝরা পালক
-
ধূসর পাণ্ডুলিপি
-
বনলতা সেন
-
মহাপৃথিবী
-
সাতটি তারার তিমির
-
বেলা অবেলা কালবেলা (মরণোত্তর প্রকাশিত)
-
রূপসী বাংলা (মরণোত্তর প্রকাশিত)
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
জীবনানন্দ দাশের রচিত কাব্যগ্রন্থ বাংলার রূপ নয়।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর.

0
Updated: 3 months ago