সারাংশে কোনটি প্রয়োজন নেই?
A
প্রাঞ্জলতা
B
সরলতা
C
অলঙ্কার
D
সংক্ষেপণ
উত্তরের বিবরণ
গদ্য বা কবিতার অংশবিশেষের অন্তর্নিহিত মূল ভাবকে সহজ - সরল ও প্রাঞ্জল ভাষায় সংক্ষেপে প্রকাশ করাই হল সারাংশ লিখন। সারাংশের ক্ষেত্রে অলঙ্কারের প্রয়োজন নেই।
0
Updated: 1 month ago
কোন বাক্যে আদেশ, নিষেধ, অনুরোধ, প্রার্থনা বোঝায়?
Created: 1 month ago
A
আবেগসূচক
B
প্রশ্নবোধক
C
বিবৃতিমূলক
D
অনুজ্ঞাসূচক
বাংলা বাক্যের প্রকারভেদ এবং তাদের ব্যবহার সম্পর্কিত সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা নিচে দেওয়া হলো। বাক্যের ধরন অনুযায়ী অর্থ, উদ্দেশ্য এবং উদাহরণ দেওয়া হয়েছে।
-
অনুজ্ঞাসূচক বাক্য: আদেশ, নিষেধ, অনুরোধ বা প্রার্থনা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
-
উদাহরণ: আমাকে একটি কলম দাও।
-
উদাহরণ: তার মঙ্গল হোক।
-
-
বিবৃতিমূলক বাক্য: সাধারণভাবে কোনো বিবরণ প্রকাশ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এই ধরনের বাক্য ইতিবাচক বা নেতিবাচক হতে পারে।
-
উদাহরণ: আমরা রোজ বেড়াতে যেতাম।
-
উদাহরণ: তারা তোমাদের ভোলেনি।
-
-
প্রশ্নবোধক বাক্য: বক্তা কারও কাছ থেকে কিছু জানতে চাইলে যে ধরনের বাক্য ব্যবহার করে, তা প্রশ্নবাচক।
-
উদাহরণ: তোমার নাম কী?
-
উদাহরণ: সুন্দরবনকে কোন ধরনের বনাঞ্চল বলা হয়?
-
-
আবেগসূচক বাক্য: মনের আবেগ, বিস্ময় বা আকস্মিক ভাব প্রকাশ করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
বিস্ময় প্রকাশে: কী বীভৎস, এই নারকীয় হত্যাকাণ্ড।
-
আবেগ প্রকাশে: বাহ্! অনেক সুন্দর লাগছে প্রাকৃতিক দৃশ্য।
-
0
Updated: 1 month ago
'উলুবনে মুক্ত ছড়ানাে' প্রচলিত এমন শব্দগুচ্ছকে বলে-
Created: 1 month ago
A
প্রবাদ-প্রবচন
B
এককথায় প্রকাশ
C
ভাবসম্প্রসারণ
D
বাক্য সংকোচন
প্রবাদ-প্রবচন হলো এমন সংক্ষিপ্ত উক্তি যা দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকে উদ্ভূত গভীর জীবনসত্যকে সাধারণ মানুষের কাছে সহজভাবে পৌঁছে দেয়। এই ধরনের উক্তি সাধারণত সামাজিক বা নৈতিক শিক্ষার প্রতিফলন হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
প্রধান উদাহরণগুলো হলো:
-
অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ – বেশি অনুগত্য দেখানো সন্দেহজনক।
-
উলুবনে মুক্তা ছড়ানো – অযোগ্য পাত্রে মূল্যবান বস্তু দান করা।
-
ধর্মের কল বাতাসে নাড়ে – গোপন অন্যায়ের আকস্মিক প্রকাশ।
-
লঘু পাপে গুরু দণ্ড – অপরাধের তুলনায় অধিক সাজা।
-
গরিবের ঘোড়া রোগ – অক্ষমের অতিরিক্ত প্রত্যাশা।
0
Updated: 1 month ago
কোন প্রকারের দ্বিত্বে বিভক্তি যুক্ত হতে দেখা যায়?
Created: 2 weeks ago
A
অনুকার দ্বিত্ব
B
ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব
C
পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব
D
ক ও খ উভয়ই
পুনরাবৃত্ত দ্বিত্বে বিভক্তি যুক্ত হতে পারে, অর্থাৎ এই দ্বিত্বে শব্দের পুনরাবৃত্তির সঙ্গে বিভক্তি সংযোজন দেখা যায়। অন্যদিকে, ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব ও অনুকার দ্বিত্বে কোনো বিভক্তি যুক্ত হয় না।
পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব হলো এমন দ্বিত্ব যেখানে একই শব্দ পুনরায় ব্যবহৃত হয়। এটি বিভক্তিহীন বা বিভক্তিযুক্ত—দুই রূপেই হতে পারে।
উদাহরণ: জ্বর জ্বর, পর পর, কবি কবি, হাতে হাতে, কথায় কথায়, জোরে জোরে ইত্যাদি।
বিভক্তিহীন পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব:
ভালো ভালো (কথা)
কত কত (লোক)
হঠাৎ হঠাৎ (ব্যথা)
ঘুম ঘুম (চোখ)
উড়ু উড়ু (মন)
গরম গরম (জিলাপি)
হায় হায় (করা)
বিভক্তিযুক্ত পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব:
কথায় কথায় (বাড়া)
মজার মজার (কথা)
ঝাঁকে ঝাঁকে (চলা)
চোখে চোখে (রাখা)
মনে মনে (হাসা)
সুরে সুরে (বলা)
পথে পথে (হাঁটা)
অন্যদিকে, ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব ও অনুকার দ্বিত্বে কোনো বিভক্তি যুক্ত হয় না, কারণ এগুলো মূলত ধ্বনিগত অনুকরণ বা মিলনভিত্তিক শব্দগঠন।
0
Updated: 2 weeks ago