ভাবের সুসংগত প্রসারণের নাম কী?
A
ভাব-সম্প্রসারণ
B
ভাবার্থ
C
মর্মার্থ
D
সারভাব
উত্তরের বিবরণ
প্রতিটি ভাষায়ই এমন কিছু বাক্য রয়েছে যেগুলোতে লুকিয়ে আছে গভীর ভাব। কবি, সাহিত্যিক, মনীষীদের রচনা কিংবা হাজার বছর ধরে প্রচলিত প্রবাদ প্রবচনে নিহিত থাকে জীবনসত্য। এ ধরনের গভীর ভাব বিশ্লেষণ করে তা সহজভাবে বুঝিয়ে দেওয়াকে বলে ভাবসম্প্রসারণ।
0
Updated: 1 month ago
ধ্বনি উৎপন্ন হয় মূলত—
Created: 3 weeks ago
A
B
C
D
মানুষের মুখে ধ্বনি উৎপাদনের জন্য যেসব অঙ্গ একসঙ্গে কাজ করে, সেগুলোকে বলা হয় বাগ্যন্ত্র। এই অঙ্গগুলোর সাহায্যে ফুসফুস থেকে নির্গত বায়ু বিভিন্নভাবে রূপান্তরিত হয়ে ধ্বনিতে পরিণত হয়।
বাগ্যন্ত্র:
-
ধ্বনি উচ্চারণে ব্যবহৃত প্রত্যঙ্গসমূহকে একত্রে বাগ্যন্ত্র বলা হয়।
-
এগুলোর মাধ্যমে ফুসফুস থেকে নির্গত বায়ু ঠোঁট পর্যন্ত পৌঁছে বিভিন্ন ধ্বনি তৈরি করে।
-
ফুসফুস থেকে ঠোঁট পর্যন্ত ধ্বনি উৎপাদনে যুক্ত প্রতিটি অঙ্গই বাগ্যন্ত্রের অংশ।
ফুসফুস:
-
ধ্বনি সৃষ্টির মূল উৎস হলো ফুসফুস, কারণ এখান থেকেই বায়ুপ্রবাহ উৎপন্ন হয়।
-
এটি শ্বাস-প্রশ্বাসের কাজ করে, অর্থাৎ বায়ু গ্রহণ ও ত্যাগের মাধ্যমে ধ্বনির জন্য প্রয়োজনীয় চাপ তৈরি করে।
-
মূলত শ্বাস ত্যাগের সময় ধ্বনি উৎপন্ন হয়, যা পরবর্তীতে বাগ্যন্ত্রের সাহায্যে রূপ পায়।
0
Updated: 3 weeks ago
কোন বানানটি সঠিক?
Created: 1 month ago
A
ত্রিনয়ণ
B
কৃপন
C
দুর্ণাম
D
ক্রন্দন
ক্রন্দন — বানানটি সঠিক।
ণ-ত্ব বিধান:
-
সমাসসাধিত শব্দে সাধারণত ণ-ত্ব বিধান প্রযোজ্য হয় না; এখানে ন ব্যবহার হয়।
উদাহরণ: ত্রিনয়ন, সর্বনাম, দুর্নীতি, দুর্নাম, অগ্রনায়ক, পরনিন্দা -
ত-বর্গীয় বর্ণের সঙ্গে যুক্ত ন কখনো ণ হয় না; ন হয়।
উদাহরণ: অন্ত, গ্রন্থ, ক্রন্দন -
ঋ, র, ষ-এর পরে ‘ণ’ হয়।
উদাহরণ: ঋণ, তৃণ, বর্ণ, বর্ণনা, কারণ, মরণ, ব্যাকরণ, ভীষণ, ভাষণ, উষ্ণ -
ঋ, র, ষ-এর পরে স্বরধ্বনি (ষ, য়, ব, হ, ং এবং ক-বর্গীয় ও প-বর্গীয়) থাকলে পরবর্তী ‘ন’ মূর্ধন্য ‘ণ’ হয়।
উদাহরণ: কৃপণ, হরিণ, অর্পণ, লক্ষণ, রুক্মিণী, ব্রাহ্মণ
0
Updated: 1 month ago
'তাতে সমাজজীবন চলে না।' - এ বাক্যটির অস্তিবাচক রূপ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
তাতে সমাজজীবন চলে।
B
তাতে না সমাজজীবন চলে।
C
তাতে সমাজজীবন অচল হয়ে পড়ে।
D
তাতে সমাজজীবন সচল হয়ে পড়ে।
বাক্য রূপান্তর হলো একটি প্রক্রিয়া যেখানে মূল ভাব বা অর্থ অপরিবর্তিত রেখে একটি বাক্যকে অন্য ধরনের বাক্যে পরিবর্তন করা হয়। নেতিবাচক বাক্যকে অস্তিবাচক বাক্যে রূপান্তর করার জন্য কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন, যা মূল অর্থ বজায় রাখে।
-
মূল অর্থ অপরিবর্তিত রাখা: বাক্য পরিবর্তন করার পরও বাক্যের মৌলিক অর্থ অক্ষুণ্ণ থাকতে হবে।
উদাহরণ:
নেতিবাচক: সেটা কখনোই সফল হতে পারে না।
অস্তিবাচক: সেটা সর্বদাই অসফল হয়। -
নেংর্থক পদ সরানো ও হ্যা-বাচক ভাব তৈরি করা: 'না', 'নয়', 'নি', 'নেই', 'নহে' ইত্যাদি নেতিবাচক পদগুলো তুলে দিয়ে বাক্যকে হ্যা-বাচক অর্থে রূপান্তর করা হয়।
উদাহরণ:
নেতিবাচক: কোথাও শান্তি ছিল না
অস্তিবাচক: সর্বত্র অশান্তি ছিলো। -
বাক্যাংশ অনুযায়ী নেতিবাচক শব্দ প্রতিস্থাপন: প্রয়োজনমতো নেতিবাচক শব্দের জায়গায় অস্তিবাচক শব্দ বসিয়ে বাক্যকে সম্পূর্ণ অস্তিবাচক করা হয়।
উদাহরণ:
নেতিবাচক: শহিদের মৃত্যু নেই।
অস্তিবাচক: শহিদেরা অমর।নেতিবাচক: তাতে সমাজজীবন চলে না।
অস্তিবাচক: তাতে সমাজজীবন অচল হয়ে পড়ে।
0
Updated: 1 month ago