A
বাংলা
B
পর্তুগীজ
C
হিন্দি
D
সংস্কৃত
উত্তরের বিবরণ
ব্যাকরণ = বি + আ + কৃ + অন। ব্যাকরণ শব্দটির বুৎপত্তিগতগত অর্থ বিশেষভাবে বিশ্লেষণ। এটি একটি সংস্কৃত শব্দ।

0
Updated: 1 day ago
'তাগিদ' শব্দটি কোন পদ?
Created: 1 week ago
A
বিশেষ্য
B
বিশেষণ
C
ক্রিয়া
D
অব্যয়
শব্দ ‘তাগিদ’ কোন পদ তা নির্ধারণ করার জন্য আমরা এর অর্থ ও ব্যবহার বিশ্লেষণ করি।
‘তাগিদ’ শব্দের অর্থ: কোনো কাজে উৎসাহ বা প্রেরণা দেওয়া, উদ্দীপনা বা উদ্দীপক বার্তা। উদাহরণ: “শিক্ষকের তাগিদে ছাত্ররা আরও মনোযোগী হয়ে পড়ে।”
এখানে লক্ষ্য করুন:
-
এটি কোনো ব্যক্তি, স্থান বা বস্তু নির্দেশ করে না → বিশেষ্য হতে পারে।
-
এটি কোনো গুণ বা অবস্থা বোঝায় না → বিশেষণ নয়।
-
এটি কোনো কর্ম বা কাজের ক্রিয়াকে নির্দেশ করে না → ক্রিয়া নয়।
-
এটি কোনো সাধারণ অব্যয় (যেমন: শুধু সংযোগ বা অব্যয় পদ) নয়।
সুতরাং, ‘তাগিদ’ হলো বিশেষ্য।
সংক্ষেপে ব্যাখ্যা:
‘তাগিদ’ শব্দটি এমন একটি পদ যা কোনো বস্তু বা ধারণা (উদ্দীপনা/প্রেরণা) বোঝায়। অতএব, এটি বিশেষ্য।

0
Updated: 1 week ago
বাংলা ভাষায় মৌলিক ব্যঞ্জনধ্বনির সংখ্যা কয়টি?
Created: 1 day ago
A
২৫ টি
B
৩০ টি
C
৩২ টি
D
৩৭ টি
• ভাষার ক্ষুদ্রতম একককে ধ্বনি বলে।
- বাংলা ভাষায় ৩৭টি মৌলিক ধ্বনি রয়েছে।
- এই ধ্বনিগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়: স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনি।
• মৌলিক স্বরধ্বনি ৭টি: [ই], [এ], [ অ্যা], [আ], [অ], [ও], উ]।
• মৌলিক ব্যঞ্জনধ্বনি ৩০টি: [প], [ফ], [ব], [ভ], [থ], [দ], [ধ], [ট], [ঠ], [ড], [ঢ], [চ], [ছ], [জ], [ঝ], [ক], [খ], [গ], [ঘ], [ম], [ন], [ঙ] [স], [শ], [হ], [ল], [র], [ড়], [ঢ়]। এখানে তৃতীয় বন্ধনী দিয়ে ধ্বনি বা উচ্চারণ নির্দেশ করা হয়েছে।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১-সংস্করণ)।

0
Updated: 1 day ago
বাংলা ভাষায় প্রথম ব্যাকরণ রচনা করেন কে?
Created: 1 month ago
A
অক্ষয় দত্ত
B
মার্শম্যান
C
ব্রাশি হ্যালহেড
D
রাজা রামমোহন
গৌড়ীয় ব্যাকরণ ও রাজা রামমোহন রায়
গৌড়ীয় ব্যাকরণ
রামমোহন রায়ের লেখা ‘গৌড়ীয় ব্যাকরণ’ হলো বাংলা ভাষায় লেখা প্রথম বাংলা ব্যাকরণ গ্রন্থ। এটি তিনি ১৮৩৩ সালে প্রকাশ করেন, যা তাঁর জীবনের শেষ রচিত গ্রন্থও। এর আগে তিনি ইংরেজিতে “Bengali Grammar in the English Language” নামে আরেকটি ব্যাকরণ গ্রন্থ লেখেন।
এই বইটিতে বাংলা ভাষার ধ্বনি (শব্দের ধ্বনিগত গঠন), বর্ণ, উচ্চারণ, শব্দ গঠন, অক্ষর ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এটি মোট ১২টি অধ্যায়ে ভাগ করা। প্রথম অধ্যায়ে মৌলিক ধ্বনি ও উচ্চারণের ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
পরবর্তী অধ্যায়গুলোতে বাংলা ভাষার লিঙ্গ, প্রত্যয়, বাক্য গঠন, পদান্বয় এবং ছন্দ নিয়ে আলোচনা রয়েছে।
রামমোহন রায় বাংলা ভাষার স্বতন্ত্র উচ্চারণ-পদ্ধতি নিয়ে নিজস্ব কিছু মূল্যবান মত দিয়েছেন, যা আজও গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত।
এই বইতে বাংলা ভাষার ধ্বনি ও রূপ (গঠনগত দিক) এর বিশ্লেষণভিত্তিক ব্যাকরণিক আলোচনা পাওয়া যায়।
রাজা রামমোহন রায়
রাজা রামমোহন রায়কে বাংলা নবজাগরণের পথপ্রদর্শক বা আদি পুরুষ বলা হয়। তিনি ১৭৭২ সালের ২২ মে হুগলির রাধানগর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
১৮৩০ সালে মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় আকবর তাঁকে “রাজা” উপাধি দেন এবং তাঁকে ব্রিটিশ শাসক ও পার্লামেন্টে প্রতিনিধি হিসেবে পাঠান।
তিনি ১৮২৮ সালের ২০ আগস্ট কলকাতায় প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের সহযোগিতায় ‘ব্রাহ্মসমাজ’ প্রতিষ্ঠা করেন। সমাজ সংস্কারের পাশাপাশি তিনি সাংবাদিকতাও করেছেন। “শিব প্রসাদ রায়” নামে তিনি একটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশ করতেন।
রামমোহন রায় প্রায় ৩০টি গ্রন্থ রচনা করেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনাগুলোর মধ্যে রয়েছে:
-
বেদান্তগ্রন্থ
-
বেদান্তসার
-
ভট্টাচার্যের সহিত বিচার
-
গোস্বামীর সহিত বিচার
-
সহমরণ বিষয়ক প্রবর্তক ও নিবর্তকের সম্বাদ
-
গৌড়ীয় ব্যাকরণ
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 1 month ago