মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর জন্মস্থান কোথায়?
A
সিরাজগঞ্জ
B
নেত্রকোণা
C
ঢাকা
D
চট্টগ্রাম
উত্তরের বিবরণ
মাওলানা হামিদ খান ভাসানী
-
জন্ম: ধানগড়া, সিরাজগঞ্জ জেলা
-
মৃত্যু: ১৭ নভেম্বর ১৯৭৬, ঢাকা
-
উপাধি: মজলুম জননেতা
রাজনৈতিক জীবন:
-
১৯১৭: কংগ্রেসে যোগদান।
-
১৯৩০: ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে প্রথম গ্রেফতার।
-
১৯৪০: মুসলিম লীগে যোগদান।
-
১৯৪৪: আসাম প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সভাপতি নির্বাচিত।
-
১৯৪৯: আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা ও প্রথম সভাপতি।
-
১৯৫৫: “মুসলিম” শব্দ বাদ দিয়ে দলটির নাম রাখেন আওয়ামী লীগ।
-
১৯৫৭: টাঙ্গাইলের কাগমারায় সম্মেলনে ভাসানী-সোহরাওয়ার্দী দ্বন্দ্বের কারণে আওয়ামী লীগ ত্যাগ।
-
১৯৫৭: ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) গঠন।
রাজনৈতিক ও মতাদর্শ:
-
সমাজতান্ত্রিক চিন্তাধারায় বিশ্বাসী; চীনপন্থী রাজনীতির প্রবক্তা।
-
সাংবাদিকতা: গণবাণী পত্রিকার সম্পাদক।
-
উল্লেখযোগ্য ভাষণ: “আসসালামু আলাইকুম, চীনাবান্ধব” – রাজনৈতিক অবস্থান ও কূটনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত।
সূত্র: বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 1 month ago
নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহ 'নওয়াব' উপাধি লাভ করেন-
Created: 1 month ago
A
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে
B
মুসলীম লীগ থেকে
C
ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে
D
ঢাকা কলেজ থেকে
নওয়াব স্যার খাজা সলিমুল্লাহ (৭ জুন ১৮৭১ – ১৬ জানুয়ারি ১৯১৫)
-
জন্ম: ঢাকা নবাববাড়ি
-
পিতা: নবাব খাজা আহসানউল্লাহ
-
মৃত্যু: কলকাতা
-
উপাধি: “নওয়াব” (১৯০১, ব্রিটিশ সরকার), ১৯০৬: Knight Commander of the Indian Empire (KCIE)
শিক্ষা ও প্রশাসনিক জীবন:
-
কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসা ও প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়াশোনা।
-
১৮৯৫: ঢাকা জেলা বোর্ডের চেয়ারম্যান।
-
১৯০১: নবাব পদে অধিষ্ঠিত।
-
১৯০৩: বেঙ্গল লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত।
রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক অবদান:
-
১৯০৬: ঢাকায় মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠায় মুখ্য ভূমিকা।
-
৩০ ডিসেম্বর ১৯০৬: মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা সভার সভাপতিত্ব।
শিক্ষা ও সমাজ উন্নয়ন:
-
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবনায় অগ্রণী ভূমিকা।
-
মুসলিমদের জন্য আলাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গঠনে উদ্যোগী।
-
ঢাকা কলেজ, জুবিলি স্কুল, নবাবপুর স্কুল, ইসলামিয়া হাইস্কুল তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিষ্ঠিত।
-
মুসলিম ছাত্রদের জন্য বৃত্তি ও আবাসন সুবিধা চালু।
সূত্র: বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের কোন স্থপতি সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন?
Created: 3 months ago
A
হামিদুর রহমান
B
ফজলুর রহমান খান
C
নভেরা আহমদ
D
জুলফিকার আলী খান
ফজলুর রহমান খান আন্তর্জাতিক মঞ্চে সর্বোচ্চ সম্মান ও পুরস্কারের মাধ্যমে সমাদৃত একজন বিশ্বখ্যাত স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার।
-
তিনি ১৯২৯ সালের ৩ এপ্রিল ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন।
-
স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে তার অবদান যুগান্তকারী।
-
১৯৭২ সালে আমেরিকার আরবানার ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যালুমনি অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।
-
১৯৭৩ সালে নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সম্মানসূচক ডক্টরেট অব সায়েন্স প্রদান করে।
-
১৯৮০ সালে লেহাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট অব ইঞ্জিনিয়ারিং সম্মানে ভূষিত হন।
১৯৭৩ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ইতিহাসে একজন ইঞ্জিনিয়ারের জন্য প্রদেয় সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত হন।
ইঞ্জিনিয়ারিং নিউজ রেকর্ডসের বরাত দিয়ে বলা যায়, ফজলুর রহমান খান পাঁচবার (১৯৬৫, ১৯৬৮, ১৯৭০, ১৯৭১ ও ১৯৭৯ সালে) ‘ম্যান হু সার্ভড দি বেষ্ট ইন্টারেস্ট অব দি কন্সট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রি’ তালিকায় নাম রেখেছেন।
১৯৭২ সালে তিনি ‘কন্সট্রাকশনস ম্যান অব দি ইয়ার’ উপাধিও লাভ করেন।
১৯৮৩ সালে আমেরিকার আমেরিকান ইন্সটিটিউট অব আর্কিটেক্টস তাঁকে অসাধারণ অবদানের জন্য এআইএ ইন্সটিটিউট সম্মাননা প্রদান করে। একই বছর মুসলিম স্থাপত্যের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিতে ‘আগা খান’ পুরস্কারে ভূষিত হন, যা তাঁর ডিজাইন করা জেদ্দার হাজী টার্মিনালের জন্য প্রদান করা হয়।
১৯৮৭ সালে ইলিনয়ের স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন তাঁকে মরণোত্তর ‘জন পারমার’ সম্মানে ভূষিত করে এবং সিয়ার্স টাওয়ারের লবিতে স্পেনীয় ভাস্কর কার্লোস ম্যারিনাসের নির্মিত তাঁর ভাস্কর্য স্থাপন করে।
বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৯ সালে তাকে মরণোত্তর ‘স্বাধীনতা পদক’ প্রদান করে এবং স্মরণস্বরূপ তাঁর সম্মানার্থে একটি বিশেষ ডাকটিকিটও প্রকাশ করে।
সূত্র: বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 3 months ago
পরী বিবি কে ছিলেন?
Created: 3 months ago
A
আওরঙ্গজেবের কন্যা
B
শায়েস্তা খানের কন্যা
C
মুর্শিদকুলি খানের স্ত্রী
D
আজিমুসশানের মাতা
বিবি পরী
বিবি পরী ছিলেন বাংলার বিখ্যাত মোগল সুবাহদার শায়েস্তা খানের কন্যা। তিনি মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের পুত্র শাহজাদা মুহম্মদ আজমের স্ত্রী ছিলেন।
বাংলাদেশ সরকারের কাটরার ওয়াকফ পরিদপ্তরের সংরক্ষিত শায়েস্তা খানের ব্যক্তিগত অছিয়তনামার ভিত্তিতে পরী বিবিকে তাঁর কন্যা হিসেবে নিশ্চিত করা যায়।
১৬৬৮ সালের ৩ মে, এক লক্ষ আশি হাজার টাকার দেনমোহর নির্ধারণের মাধ্যমে বিবি পরীর বিয়ে শাহজাদা আজমের সঙ্গে সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর তিনি ঢাকায় আজমের সঙ্গে বসবাস শুরু করেন।
শাহজাদা আজম ১৬৭৮ সালে লালবাগ দুর্গ নির্মাণ কাজ শুরু করলে তা শায়েস্তা খান তাঁর দ্বিতীয় দফা সুবাহদার থাকাকালীন (১৬৭৯-১৬৮৮) অব্যাহত রাখেন।
তবে ১৬৮৪ সালে বিবি পরীর মৃত্যুতে শায়েস্তা খান দুর্গের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন, কারণ তিনি তা অশুভ সংকেত হিসেবে দেখেন।
দুর্গের ভিতরে মসজিদের পূর্ব পাশে বিবি পরীর সমাধি নির্মিত হয় এবং শায়েস্তা খান তাঁর কন্যার সমাধির উপর একটি মনোমুগ্ধকর সৌধ গড়ে তোলেন।
উৎস: বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 3 months ago