’নারিকেলবাড়িয়ায়’ বাঁশের কেল্লা নির্মাণ করেন কে?
A
রবার্ট ক্লাইভ
B
তিতুমীর
C
তিতুমীর
D
সৈয়দ আহমদ
উত্তরের বিবরণ
তিতুমীর
-
১৮৩১ সালের অক্টোবর মাসে নারকেলবাড়িয়ায় এক দুর্ভেদ্য বাঁশের কেল্লা নির্মাণ করেন।
-
তাঁর মুজাহিদ বাহিনীতে বিপুলসংখ্যক (প্রায় পাঁচ হাজার) সৈন্য নিয়োগ ও সামরিক প্রশিক্ষণ প্রদান।
-
সামরিক প্রস্তুতি শেষে নিজেকে ‘বাদশাহ’ ঘোষণা করেন।
-
ইংরেজ শাসক লর্ড উইলিয়ম বেন্টিঙ্ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল স্টুয়ার্টের নেতৃত্বে ১০০ অশ্বারোহী, ৩০০ স্থানীয় পদাতিক, দুটি কামানসহ সৈন্য পাঠায়।
-
১৪ নভেম্বর ১৮৩১ ইংরেজ বাহিনী মুজাহিদদের উপর আক্রমণ চালায়।
-
মুজাহিদরা প্রাচীন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আধুনিক অস্ত্রসজ্জিত ইংরেজ বাহিনীকে প্রতিরোধ করতে ব্যর্থ হয়ে বাঁশের কেল্লায় আশ্রয় নেয়।
-
ইংরেজরা কামান দিয়ে কেল্লা বিধ্বস্ত করে।
-
তিতুমীর ১৯ নভেম্বর ১৮৩১ শহীদ হন।
অন্য প্রসঙ্গ:
-
রবার্ট ক্লাইভ ভারত উপমহাদেশে ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদের সূচনা করেন।
-
সৈয়দ আহমদ খানের নেতৃত্বে আলীগড় আন্দোলন শুরু হয়।
সূত্র: বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 1 month ago
ওয়াহাবি আন্দোলনের সাথে কার নাম জড়িত?
Created: 1 month ago
A
মীর নিসার আলী
B
হাজী শরীয়তুল্লাহ
C
দুদু মিয়া
D
সৈয়দ আমীর আলী
ওয়াহাবি আন্দোলন পূর্ব ও পশ্চিম বাংলায় প্রায় একই সময়ে শুরু হওয়া দুটি ধর্মীয় ও সামাজিক সংস্কার আন্দোলনের অংশ ছিল। পূর্ব বাংলায় এটি ফরায়েজি আন্দোলন নামে পরিচিত ছিল, আর পশ্চিম বাংলায় ওয়াহাবি বা ‘তারিক-ই-মুহম্মদীয়া’ নামে পরিচিত। ১৮২৭ খ্রিস্টাব্দে শুরু হওয়া এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন মীর নিসার আলী ওরফে তিতুমীর, এবং এটি শেষ হয় ১৮৩১ খ্রিস্টাব্দে তিতুমীরের শাহাদাত বরণের মাধ্যমে।
-
উনিশ শতকে ভারতবর্ষে মুসলিম সমাজের ধর্মীয় ও সামাজিক কুসংস্কার দূর করে ধর্মীয় অনুশাসন পালনের সঠিক পথ নির্দেশ করাই আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য।
-
বাংলার ওয়াহাবিরাও তিতুমীরের নেতৃত্বে একই উদ্দেশ্যে সংগঠিত হয়।
-
তিতুমীরের ধর্মীয় সংস্কার আন্দোলনে বহু মুসলমান, বিশেষ করে চব্বিশ পরগনা ও নদীয়া জেলার কৃষক ও তাঁতী, স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন।
-
১৮৩১ খ্রিস্টাব্দে নারিকেলবাড়িয়া গ্রামে তিতুমীর তাঁর প্রধান ঘাটি স্থাপন করেন এবং ইতিহাস খ্যাত বাঁশের কেল্লা নির্মাণ করেন।
-
গোলাম মাসুমের নেতৃত্বে গড়ে তোলা হয় একটি সুদক্ষ লাঠিয়াল বাহিনী।
-
ইংরেজ জমিদার ও নীলকরদের দ্বারা শোষিত কৃষকরা তিতুমীরের বাহিনীতে যোগ দিলে ধর্ম সংস্কার আন্দোলন বৃহৎ কৃষক আন্দোলনে রূপ নেয়।
-
শাসক-শোষক ও জমিদার শ্রেণি কৃষকদের সংঘবদ্ধতা এবং তিতুমীরের শক্তিতে শঙ্কিত হয়ে পড়ে।
-
মেজর স্কটের নেতৃত্বে ব্রিটিশ বাহিনী নারিকেলবাড়িয়ার বাঁশের কেল্লা আক্রমণ করে। তিতুমীর ও তাঁর বাহিনী বীরত্বপূর্ণভাবে লড়াই করার পর পরাজিত হয় এবং তিতুমীর যুদ্ধে নিহত হন।
-
এভাবে একটি সুসংগঠিত কৃষক আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago