A
ভারতীয় আর্য
B
সংস্কৃত
C
ইন্দো-ইউরোপীয়
D
বঙ্গ কামরুপী
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষার উৎপত্তি: ইন্দো ইউরোপীয় → শতম → ইন্দো আর্য → ভারতীয় → প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা → প্রাচীন কথ্য ভারতীয় আর্যভাষা → গৌড়ী প্রাকৃত → গৌড় অপভ্রংশ → বঙ্গ কামরূপী → বাংলা ও অসমীয়।

0
Updated: 1 day ago
‘বাংলা ভাষার জন্ম হয়েছে মাগধী প্রাকৃত থেকে’।– এ মতের প্রবক্তা কে?
Created: 1 week ago
A
ডঃ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
B
স্যার জর্জ আব্রাহাম গ্রিয়ারসন
C
ডঃ মুহাম্মাদ শহীদুল্লাহ
D
ডঃ সুকুমার সেন
" বাংলা ভাষার জন্ম হয়েছে মাগধী প্রাকৃত থেকে" - এ মতের প্রবক্তা ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়। সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় একজন বাঙালি ভাষাতাত্ত্বিক পণ্ডিত, সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ।
তিনি " Origin and Development of Bengali language" নিয়ে গবেষণা করেন এবং পরবর্তীতে মাগধী প্রাকৃত থেকে বাংলা ভাষার জন্ম এই মতবাদ প্রকাশ করেন।

0
Updated: 1 week ago
'চন্দ্রাবতী' কী?
Created: 1 week ago
A
নাটক
B
কাব্য
C
পদাবলী
D
পালাগান
চন্দ্রাবতী কাব্য:
-
রচয়িতা: কোরেশী মাগন ঠাকুর।
-
কাল ও প্রেক্ষাপট: মধ্যযুগে আরাকান রাজসভায় বাংলা সাহিত্যচর্চা শুরু হয়।
-
কোরেশী মাগন ঠাকুর ছিলেন আরাকান রাজসভার প্রধান উজির। তার পৃষ্ঠপোষকতায় রাজসভায় বাংলা সাহিত্যের বিকাশ ঘটে।
-
তিনি বিখ্যাত কবি আলাওলকে দুটি কাব্য, ‘পদ্মাবতী’ ও ‘সয়ফুলমুলক বদিউজ্জামান’, রচনায় উৎসাহিত করেন।
-
উল্লেখযোগ্য আরাকান রাজসভার কবি: আলাওল, দৌলত কাজী, কোরেশী মাগন ঠাকুর।
অন্যান্য চন্দ্রাবতী সম্পর্কিত তথ্য:
-
ময়মনসিংহের একজন নারী গীতিকার চন্দ্রাবতী প্রথম রামায়ণ বাংলায় অনুবাদ করেন।
-
ময়মনসিংহ-গীতিকায় নয়নচাঁদ ঘোষ নামে এক কবির ‘চন্দ্রাবতী’ সম্পর্কিত পালা আছে। এটি বিভিন্ন নামে পরিচিত, যেমন:
-
‘জয়-চন্দ্রাবতী’
-
‘চন্দ্রাবতী চরিত’
-
‘চন্দ্রাবতী উপাখ্যান’
-
-
১৯৩২ সালে দীনেশচন্দ্র সেন চন্দ্রাবতীর রামায়ণ প্রকাশ করেন। এটি পূর্ববঙ্গ-গীতিকার চতুর্থ খণ্ডের দ্বিতীয় ভাগে স্থান পেয়েছে।
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 week ago
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস বিষয়ক গ্রন্থসমূহের মধ্যে কোনটি ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর লেখা?
Created: 1 week ago
A
বঙ্গভাষা ও সাহিত্য
B
বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস
C
বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত
D
বাংলা সাহিত্যের কথা
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ এবং বাংলা সাহিত্য
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বাংলা ভাষা ও সাহিত্য গবেষণায় এক উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব। তিনি ১৮৮৫ সালের ১০ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার পেয়ারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শহীদুল্লাহ ছিলেন শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক এবং ভাষাতত্ত্ববিদ।
শহীদুল্লাহ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তুলনামূলক ভাষাতত্ত্বে এম.এ (১৯১২) ডিগ্রি অর্জন করেন এবং দু’বছর পর বি.এল (১৯১৪) ডিগ্রিও নেন। ১৯২৬ সালে তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য ইউরোপে যান। তিনি বহুভাষাবিদ ছিলেন এবং ১৮টি ভাষা জানতেন, যার কারণে বিভিন্ন ভাষার জ্ঞানভাণ্ডারে সহজে প্রবেশ করতে পারতেন। বাংলার ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে তাঁর অবদান তাঁকে “জ্ঞানতাপস” এবং “চলিষ্ণু অভিধান” হিসেবে পরিচিত করেছে।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় তিনি উল্লেখ করেছিলেন, “আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য, তার চেয়ে বেশি সত্য আমরা বাঙালি।”
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ:
-
ভাষা ও সাহিত্য
-
বাঙ্গালা ব্যাকরণ
-
বাংলা সাহিত্যের কথা
-
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস
এছাড়া তিনি বাংলা একাডেমির ‘আঞ্চলিক ভাষার অভিধান’ সম্পাদনা করেন।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বাংলা সাহিত্য ইতিহাসগ্রন্থ:
-
সুকুমার সেন: বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস
-
মুহম্মদ এনামুল হক ও সৈয়দ আলী আহসান: বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত (১৯৬৮)
-
আহমদ শরীফ: বাঙালি ও বাঙলা সাহিত্য
উৎস: বাংলাপিডিয়া; বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 1 week ago