নিচের কোনটি সুশীল সমাজের অন্তর্ভুক্ত নয়?
A
রাজনৈতিক দল
B
পেশাজীবী গোষ্ঠী
C
নাগরিক সংগঠন
D
গণমাধ্যম
উত্তরের বিবরণ
সুশীল সমাজ ও রাজনৈতিক দল
১. সুশীল সমাজে অন্তর্ভুক্ত নয় এমন প্রতিষ্ঠান:
-
রাজনৈতিক দলগুলো সাধারণত সুশীল সমাজের অন্তর্ভুক্ত নয়, কারণ তারা সরাসরি রাষ্ট্রের সঙ্গে জড়িত।
-
সুশীল সমাজ রাষ্ট্রের বাইরে বা স্বাধীনভাবে কাজ করে।
২. সুশীল সমাজের অংশ:
-
সমাজ ও মানবতাবাদী কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত বিভিন্ন সংগঠন।
-
অন্তর্ভুক্ত: এনজিও, গণমাধ্যম, সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠন, পেশাজীবী গোষ্ঠী, জনগণের বিভিন্ন সংগঠন।
-
এরা রাষ্ট্রীয় কাঠামোর বাইরে থেকে সমাজ ও রাষ্ট্র সংক্রান্ত মতামত প্রকাশ করে ও কাজ করে।
সূত্র: পৌরনীতি ও সুশাসন, এইচএসসি, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 1 month ago
প্রতিটি রাজনৈতিক দলের মূল লক্ষ্য কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
জনমত গঠন
B
শান্তি রক্ষা করা
C
রাষ্ট্র ক্ষমতা লাভ
D
জনগণের সেবা করা
রাষ্ট্র ক্ষমতা লাভ ও সরকার গঠন
-
প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রধান লক্ষ্য হল রাষ্ট্র ক্ষমতা অর্জন এবং সরকার গঠন।
-
ক্ষমতায় আসার মাধ্যমে তারা নিজেদের কর্মসূচি ও মতাদর্শ বাস্তবায়ন করে।
-
আধুনিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় একাধিক রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।
-
শাসক দলের লক্ষ্য হল ক্ষমতায় স্থায়ী থাকা।
-
বিরোধী দলের লক্ষ্য হল নিজেদের আদর্শ ও নীতিমালার ভিত্তিতে শাসক দলকে ক্ষমতাচ্যুত করা এবং সরকারের কার্যক্রম যাচাই করা।
0
Updated: 3 weeks ago
রাজনৈতিক দল গড়ে উঠে -
Created: 2 months ago
A
স্বজাতিবোধের ভিত্তিতে
B
অর্থনৈতিক স্বার্থের ভিত্তিতে
C
নীতি ও কর্মসূচির ভিত্তিতে
D
উপরের সবগুলো
রাজনৈতিক দল
-
নীতি ও কর্মসূচির ভিত্তিতে রাজনৈতিক দল গড়ে উঠে।
-
সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক মতাদর্শকে কেন্দ্র করেই রাজনৈতিক দলের সৃষ্টি হয়।
-
সাধারণত বহুমুখী ও ব্যাপক সামাজিক অথবা জাতীয় স্বার্থের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলের উদ্ভব ঘটে।
-
বহু ও বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দায়িত্ব রাজনৈতিক দলের কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত থাকে।
-
রাজনৈতিক দলের মূল লক্ষ্য ও বিবেচ্য বিষয় হলো বৃহত্তর জাতীয় ও সামাজিক স্বার্থ সাধন।
-
রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম জাতীয় জীবনের প্রায় সব ক্ষেত্রেই বিস্তৃত।
সূত্র: পৌরনীতি ও সুশাসন, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 2 months ago
নিম্নের কোনটি একটি বামপন্থী রাজনৈতিক দল?
Created: 1 month ago
A
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
B
ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি
C
জাতীয় পার্টি
D
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি
ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বামপন্থী রাজনৈতিক দল, যা ১৯৫৭ সালের জুলাই মাসে মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে গঠিত হয়। দলের জন্ম প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে তীব্র আদর্শিক মতবিরোধ ছিল। ১৯৫৭ সালের ৬-১০ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের কাগমারিতে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে আওয়ামী লীগ সভাপতি মাওলানা ভাসানী ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মধ্যে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এ বিষয়ে দলের ডানপন্থী অংশ সোহরাওয়ার্দীর অবস্থানকে সমর্থন করে, আর বামপন্থী অংশ মাওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে স্বাধীন ও জোটনিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতি এবং পূর্ব পাকিস্তানের সর্বাধিক স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে অবস্থান নেয়। এর ফলে আওয়ামী লীগ ভেতরে ভেতরে বিভক্ত হয়ে পড়ে এবং একই বছরের ১৮ মার্চ ভাসানী পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
পরে আওয়ামী লীগের বামপন্থী অংশের উদ্যোগে ঢাকার রূপমহল সিনেমা হলে ২৪-২৫ জুলাই গণতান্ত্রিক কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত হয়।
-
ন্যাপের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, আর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন পশ্চিম পাকিস্তানের মাহমুদুল হক ওসমানী।
-
গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের মধ্যে হাজী মুহাম্মদ দানেশ, অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ, মশিউর রহমান যাদু মিয়া, আবদুল মতিন, ওয়ালি খান প্রমুখ ছিলেন।
উল্লেখযোগ্য যে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জাতীয় পার্টি ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) মূলত ডানপন্থী রাজনৈতিক দল, বিপরীতে ন্যাপ বামপন্থী আদর্শে বিশ্বাসী দল হিসেবে আলাদা রাজনৈতিক অবস্থান ধরে রেখেছে।
0
Updated: 1 month ago