গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থার অন্যতম মূল আইন। নির্বাচন বিশ্লেষক ও বিশেষজ্ঞদের মতে, সংবিধানের আওতায় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট যতগুলো আইন আছে, তার মধ্যে নির্বাচন পরিচালনার প্রধান আইন হলো আরপিও। স্বাধীনতার পর সংবিধান প্রণীত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো ১৯৭২ সালে এই আইন প্রণীত হয়।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ–১৯৭২ এ সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন সংশোধনী আনা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত পরিবর্তন আনা হয়েছিল Chapter-VI–এর মাধ্যমে। এখানে রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য নির্বাচন কমিশনের সাথে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়। একইসঙ্গে দলীয় কাঠামোতে নারী নেতৃত্বের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নতুন বিধান যোগ করা হয়।
-
রাজনৈতিক দলগুলোর তৃণমূল থেকে কেন্দ্রীয় কমিটি পর্যন্ত অন্তত ৩৩% নারী অন্তর্ভুক্তি ২০২০ সালের মধ্যে বাধ্যতামূলক করা হয়।
-
২০০৮ সালে যখন রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন নেয়, তখন তারা এ লক্ষ্য পূরণের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দলগুলো এ শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হয়।
-
বর্তমান নির্বাচন কমিশন পরবর্তীতে আরপিও সংশোধনের উদ্যোগ নিয়ে এ সময়সীমা ২০২০ সালের পরিবর্তে ২০৩০ সাল পর্যন্ত বর্ধিত করার প্রস্তাব দিয়েছে।
এই আইন নির্বাচনী ব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও রাজনৈতিক দলগুলোর গণতান্ত্রিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।