কোন ভাষারীতির পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট?
A
কথ্য ভাষা
B
সাধু ভাষা
C
আঞ্চলিক ভাষা
D
চলিত ভাষা
উত্তরের বিবরণ
সাধু ভাষারীতির পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট। সাধু ভাষা হলো বাংলা লেখ্য গদ্যের অপেক্ষাকৃত প্রাচীন রূপ। এর নবীন ও বর্তমানে বহুল প্রচলিত রূপটি হলো চলিত।
সাধু ভাষা অনেকটা ধ্রুপদী বৈশিষ্ট্যের এবং চলিত ভাষা অপেক্ষা স্বল্প প্রাঞ্জল। "সাধু" শব্দের এক অর্থ শিষ্ট, মার্জিত বা ভদ্ররীতি সঙ্গত।রাজা রামমোহন রায় তাঁর "বেদান্ত গ্রন্থ" রচনাটিতে শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন।
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন শব্দটি সমার্থক শব্দের বাহুল্যজনিত অপপ্রয়োগ?
Created: 1 month ago
A
একমাত্র
B
সম্মুখবর্তী
C
কেবলমাত্র
D
সমৃদ্ধশালী
‘কেবলমাত্র’ শব্দটি অপপ্রয়োগ।
-
এটি ঘটে সমার্থক শব্দের বাহুল্যজনিত কারণে।
-
এখানে ‘কেবল’ এবং ‘মাত্র’ দুটি একই অর্থের শব্দ একত্রে ব্যবহৃত হয়েছে।
-
একই কারণে কেবলমাত্র অশুদ্ধ।
অন্যদিকে, অপশনের অন্যান্য শব্দগুলোর শুদ্ধ প্রয়োগ হয়েছে।
0
Updated: 1 month ago
স্বরবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে কী বলে?
Created: 2 months ago
A
ফলা
B
কার
C
ধ্বনি
D
অক্ষর
স্বরবর্ণের এবং কতগুলো ব্যঞ্জনবর্ণের দুটি রুপ রয়েছে। স্বরবর্ণ যখন নিরপেক্ষ বা স্বাধীনভাবে ব্যবহৃত হয়,অর্থাৎ কোন বর্ণের সঙ্গে যুক্ত হয় না, তখন এর পূর্ণরূপ লেখা হয়। একে বলা হয় প্রাথমিক বা পূর্নরূপ। আর স্বরবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে কার বলে। এর অপর নাম সংক্ষিপ্ত স্বর। কার ১০ টি।
0
Updated: 2 months ago
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডে শহিদ হয়েছিলেন কোন সাহিত্যিক?
Created: 1 month ago
A
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
B
জহির রায়হান
C
মুনীর চৌধুরী
D
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী
সঠিক উত্তর হলো: মুনীর চৌধুরী
অন্যান্য অপশনের বিশ্লেষণ:
-
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়: তিনি ১৯৫৬ সালে মারা যান, তাই ১৯৭১ সালের বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততা নেই।
-
জহির রায়হান: তিনি ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি নিখোঁজ হন (সম্ভবত নিহত), কিন্তু ১৪ ডিসেম্বরের হত্যাকাণ্ডে নয়।
-
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী: তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় জীবিত ছিলেন এবং পরবর্তীতে ২০১৯ সালে মারা যান।
মুনীর চৌধুরীর জীবনী ও সাহিত্যকর্ম
মুনীর চৌধুরী ছিলেন একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, অনুবাদক এবং সাহিত্যসমালোচক। তিনি ১৯২৫ সালের ২৭ নভেম্বর মানিকগঞ্জ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিল নোয়াখালী জেলায়। বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি ও রাজনীতির বিভিন্ন পর্যায়ে তিনি গভীর ভূমিকা রেখেছেন।
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা
-
জন্ম: ২৭ নভেম্বর ১৯২৫, মানিকগঞ্জ।
-
পৈতৃক নিবাস: নোয়াখালী জেলা।
-
ভাষা আন্দোলন: ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের কারণে তিনি কারাবন্দী হন। জেলখানায় থেকেই ১৯৫৩ সালে তিনি তাঁর বিখ্যাত নাটক “কবর” রচনা করেন।
-
বাংলা টাইপরাইটার উদ্ভাবন: ১৯৬৫ সালে কেন্দ্রীয় বাংলা উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে তিনি “মুনীর অপ্টিমা” নামের একটি বাংলা টাইপরাইটার কী-বোর্ড তৈরি করেন।
-
মৃত্যু: ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগী রাজাকার ও আলবদর বাহিনীর হাতে অপহৃত ও হত্যাকাণ্ডে শহিদ হন।
মুনীর চৌধুরীর মৌলিক নাটক
-
কবর (১৯৫৩) — ভাষা আন্দোলনের পটভূমিতে রচিত।
-
রক্তাক্ত প্রান্তর — পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ অবলম্বনে।
-
মানুষ — ১৯৪৬ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার প্রেক্ষাপটে।
-
নষ্ট ছেলে — রাজনৈতিক চেতনাসমৃদ্ধ নাটক।
-
পলাশী ব্যারাক ও অন্যান্য — রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে।
-
দণ্ডকারণ্য — তিনটি নাটকের সমন্বয়ে রচিত।
-
রাজার জন্মদিন — সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে রচিত এক অভিনব নাটক।
অনুবাদ নাটক
-
কেউ কিছু বলতে পারে না (১৯৬৯) — জর্জ বার্নার্ড শ’র You Never Can Tell অবলম্বনে।
-
রূপার কৌটা (১৯৬৯) — জন গলজ্ওয়র্দির The Silver Box অবলম্বনে।
-
মুখরা রমণী বশীকরণ (১৯৭০) — উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের Taming of the Shrew অবলম্বনে।
0
Updated: 1 month ago