কোনটি ভাবসম্প্রসারণে হুবহু ব্যবহৃত হওয়া উচিত নয়?
A
মূলছত্র
B
অলঙ্কার
C
উপমা
D
তথ্য
উত্তরের বিবরণ
ভাবসম্প্রসারণ লেখার সময় কোনোরকম শিরোনাম দেওয়ার দরকার পড়ে না। লেখকের বা কবির নামও উলেখ করতে হয় না। কিংবা ব্যাখ্যার মতো ‘কবি বলেছেন’ ধরনের বাক্যাংশ ব্যবহার করতে হয় না। ভাব - সম্প্রসারণে মূল ছত্র হুবুহু ব্যবহৃত হওয়া উচিত নয় । ভাবসম্প্রসারণের জন্য দেওয়া কথাটিতে সাধারণত প্রকাশ্য বক্তব্যের আড়ালে গভীর ভাবসত্য লুকিয়ে থাকে।
যেমন: ‘সবুরে মেওয়া ফলে’ কথাটির আক্ষরিক অর্থ ‘গাছের ফল পেতে হলে অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু এর গভীর ভাবসত্য হলো জীবনে সাফল্য অর্জন করতে হলে চাই ধৈর্য, প্রচেষ্টা ও পরিশ্রম। ভাবসম্প্রসারণ করার সময় প্রথমে প্রকাশ্য বা আক্ষরিক অর্থের দিকটি বলে পরে অন্তর্নিহিত ভাবটি বর্ণনা করতে হয়।
0
Updated: 1 month ago
কোনটি নামধাতুর উদাহরণ?
Created: 1 month ago
A
চল্
B
ঘুমা
C
পড়্
D
কর্
বাংলা ভাষায় ধাতুর বিভিন্ন রূপের মধ্যে নাম ধাতু এবং মৌলিক ধাতু গুরুত্বপূর্ণ। এদের ব্যাখ্যা নিম্নরূপ—
-
নাম ধাতু
বিশেষ্য, বিশেষণ কিংবা অনুকার অব্যয়ের পরে ‘আ’ প্রত্যয় যোগ করলে যে নতুন ধাতু গঠিত হয় তাকে নাম ধাতু বলে।
উদাহরণ:-
ঘুম্ → ঘুমা → সে ঘুমাচ্ছে
-
ধমক্ → ধমকা
-
-
মৌলিক ধাতু
যে ধাতুগুলিকে বিশ্লেষণ করা সম্ভব নয়, সেগুলোকেই মৌলিক ধাতু বলা হয়। এগুলোকে সিদ্ধ বা স্বয়ংসিদ্ধ ধাতুও বলা হয়।
উদাহরণ: চল্, পড়, কর্, শো, হ, খা ইত্যাদি।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
গুণ ও বৃদ্ধি বলা হয় –
Created: 1 month ago
A
কৃৎ-প্রকৃতির আদিস্বরের পরিবর্তনকে
B
কৃৎ-প্রকৃতির অন্তস্বরের পরিবর্তনকে
C
নাম-প্রকৃতির পরিবর্তনকে
D
প্রাতিপদিকের পরিবর্তনকে
প্রকৃতির শেষে প্রত্যয় যোগ হলে উক্ত প্রকৃতির আদিস্বরের যে কিছু পরিবর্তন ঘটে তাকে গুণ বলে। ই / - ি কার বা ঈ / - কার থাকলে এ / - কার হবে। যেমন - লিখ + আ = লেখা, নী + তা = নেতা। প্রকৃতির শেষে প্রত্যয় যোগ হলে উক্ত প্রকৃতির আদিস্বরের যে কিছু পরিবর্তন ঘটে তাকে বৃদ্ধি বলা হয়। ই / শিকার, ঈ - কার বা এ / কোর থাকলে ঐ / - ৈ-কার হবে। যেমন - বিমান + ষ্ণিক = বৈমানিক, নীতি + ষ্ণিক = নৈতিক।
0
Updated: 1 month ago
যেসব শব্দের ব্যুৎপত্তিগত ও ব্যবহারিক অর্থ অভিন্ন, তাদের কী বলা হয়?
Created: 1 month ago
A
যৌগরূঢ় শব্দ
B
রূঢ়ি শব্দ
C
যৌগিক শব্দ
D
মৌলিক শব্দ
বাংলা ভাষায় শব্দগুলোকে বিভিন্ন ধাপে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। তার মধ্যে যৌগিক শব্দ, রূঢ়ি শব্দ এবং যৌগরূঢ় শব্দ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
-
যৌগিক শব্দ:
-
সংজ্ঞা: যেসব শব্দের ব্যুৎপত্তিগত ও ব্যবহারিক অর্থ অভিন্ন।
-
উদাহরণ: গায়ক, দৌহিত্র, চিকামারা, বাবুয়ানা, মধুর, কর্তব্য ইত্যাদি।
-
-
রূঢ়ি শব্দ:
-
সংজ্ঞা: যেসব শব্দ প্রত্যয় ও উপসর্গযোগে মূল শব্দের অনুগামি না হয়ে ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করে।
-
উদাহরণ: বাঁশি, তৈল, সন্দেশ, প্রবীণ, হরিণ, পাঞ্জাবী, হস্তী ইত্যাদি।
-
-
যৌগরূঢ় শব্দ:
-
সংজ্ঞা: সমাসনিষ্পন্ন যেসব শব্দ সমস্যমান পদসমূহের অনুগামি না হয়ে কোন বিশেষ অর্থ গ্রহণ করে।
-
উদাহরণ: পঙ্কজ, রাজপুত, জলধি, মহাযাত্রা ইত্যাদি।
-
উৎস:
0
Updated: 1 month ago