বৈষয়িক ব্যাপারে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় আইনানুসারে লিখিত পত্রকে কী বলে?
A
চুক্তিপত্র
B
বায়নানামা
C
দলিলপত্র
D
বাণিজ্যকপত্র
উত্তরের বিবরণ
বৈষয়িক বিষয়ে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় আইন অনুসারে লিখিত পত্রকে বলে দলিলপত্র। যে কোন লিখিত বিবরণ আইনগত সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণযোগ্য তাকে দলিলপত্র বলে।
তবে রেজিস্ট্রেশন আইনের বিধান মোতাবেক জমি ক্রেতা এবং বিক্রেতা সম্পত্তি হস্তান্তর করার জন্য যে চুক্তিপত্র সম্পাদন ও রেজিস্ট্রি করেন তাকে সাধারণ ভাবে দলিলপত্র বলে।
0
Updated: 1 month ago
'যাহারা ভালো, তাহারা পুরস্কৃত হইবে' – এখানে 'যাহারা, তাহারা' কী?
Created: 1 month ago
A
অব্যয়
B
বিশেষণ
C
সর্বনাম
D
যোজক অব্যয়
সর্বনাম পদ
‘যাহারা ভালো, তাহারা পুরস্কৃত হইবে’ – এখানে যাহারা ও তাহারা হলো সাপেক্ষ সর্বনামের উদাহরণ।
সংজ্ঞা:
বাক্যে বিশেষ্য পদের পরিবর্তে যে পদ ব্যবহৃত হয়, তাকে সর্বনাম পদ বলে।
বাংলা ভাষায় সর্বনামকে নিম্নলিখিত ভাগে ভাগ করা হয়—
-
ব্যক্তিবাচক বা পুরুষবাচক সর্বনাম
-
আমি, আমরা, তুমি, তোমরা, সে, তারা, তাহারা, তিনি, তাঁরা, এ, এরা, ও, ওরা ইত্যাদি।
-
-
আত্মবাচক সর্বনাম
-
স্বয়ং, নিজে, খোদ, আপনি।
-
-
সামীপ্যবাচক সর্বনাম
-
এ, এই, এরা, ইহারা, ইনি ইত্যাদি।
-
-
দূরত্ববাচক সর্বনাম
-
ঐ, ঐসব।
-
-
সাকুল্যবাচক সর্বনাম
-
সব, সকল, সমুদয়, তাবৎ।
-
-
প্রশ্নবাচক সর্বনাম
-
কে, কি, কী, কোন, কাহার, কার, কিসে?
-
[প্রশ্ন করার জন্য প্রশ্নবাচক সর্বনাম ব্যবহৃত হয়। যেমন: কী দিয়ে ভাত খায়?]
-
-
অনির্দিষ্টতাজ্ঞাপক সর্বনাম
-
কোন, কেহ, কেউ, কিছু।
-
-
ব্যতিহারিক সর্বনাম
-
আপনা আপনি, নিজে নিজে, আপসে, পরস্পর ইত্যাদি।
-
-
সংযোগজ্ঞাপক সর্বনাম
-
যে, যিনি, যাঁরা, যারা, যাহারা ইত্যাদি।
-
-
অন্যাদিবাচক সর্বনাম
-
অন্য, অপর, পর ইত্যাদি।
-
-
সাপেক্ষ সর্বনাম
-
যেমন: যারা–তারা, যে–সে, যেমন–তেমন (যেমন কর্ম, তেমন ফল)।
-
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১ ও ২০২২ সংস্করণ)
0
Updated: 1 month ago
বাংলা অনুনাসিক স্বরধ্বনির সংখ্যা কতটি?
Created: 2 weeks ago
A
৫টি
B
৬টি
C
৭টি
D
৮টি
অনুনাসিক স্বরধ্বনি হলো সেই ধ্বনি, যেগুলোর উচ্চারণকালে মুখগহ্বরের পাশাপাশি নাসাগহ্বর দিয়েও বায়ু নির্গত হয়। সাধারণত মৌলিক স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় বায়ু শুধু মুখ দিয়ে বের হয় এবং কোমল তালু স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে। কিন্তু যখন কোমল তালু সামান্য নিচে নেমে যায়, তখন কিছু বায়ু নাক দিয়েও বেরিয়ে আসে, ফলে ধ্বনিগুলো অনুনাসিক স্বরধ্বনিতে পরিণত হয়।
বাংলা ভাষায় অনুনাসিক স্বরধ্বনির উপস্থিতি চিহ্নিত করার জন্য স্বরবর্ণের উপরে চন্দ্রবিন্দু (ঁ) ব্যবহার করা হয়।
মৌলিক স্বরধ্বনি (৭টি):
[ই], [এ], [অ্যা], [আ], [অ], [ও], [উ]
অনুনাসিক স্বরধ্বনি (৭টি):
[ইঁ], [এঁ], [অ্যাঁ], [আঁ], [অঁ], [ওঁ], [উঁ]
এইভাবে অনুনাসিকতা ধ্বনির উচ্চারণে একটি বিশেষ নাসিক গুণ যুক্ত করে, যা শব্দের ধ্বনিগত বৈচিত্র্য বৃদ্ধি করে।
0
Updated: 2 weeks ago
'হস্তী' - কোন ধরনের শব্দ?
Created: 1 month ago
A
মৌলিক
B
যৌগিক
C
রূঢ়ি
D
যোগরূঢ়
রূঢ় বা রূঢ়ি শব্দ
সংজ্ঞা:
যে শব্দ প্রত্যয় বা উপসর্গ যুক্ত হয়ে মূল শব্দের আক্ষরিক অর্থের অনুগামী না থেকে একেবারে অন্য কোনো বিশেষ বা প্রচলিত অর্থে ব্যবহৃত হয়, তাকে রূঢ়ি শব্দ বলে।
উদাহরণসমূহ
-
হস্তী: হস্ত + ইন → আক্ষরিক অর্থ হাত আছে যার; কিন্তু রূঢ় অর্থে বোঝায় একটি পশু (হাতি)।
-
গবেষণা: গো + এষণা → আক্ষরিক অর্থ গরু খোঁজা; রূঢ় অর্থে ব্যাপক অধ্যয়ন ও পর্যালোচনা।
-
বাঁশি: আক্ষরিক অর্থে বাঁশ দিয়ে তৈরি বস্তু; রূঢ় অর্থে সুর বাজানোর বাদ্যযন্ত্র।
-
তৈল: মূল অর্থে তিলজাত স্নেহ পদার্থ; রূঢ় অর্থে যে কোনো উদ্ভিজ্জ স্নেহ পদার্থ (যেমন: বাদাম তেল)।
-
প্রবীণ: আক্ষরিক অর্থে প্রকৃষ্টভাবে বীণা বাজাতে পারেন যিনি; রূঢ় অর্থে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বয়স্ক ব্যক্তি।
-
সন্দেশ: মূল অর্থে সংবাদ; রূঢ় অর্থে একটি মিষ্টান্ন বিশেষ।
✅ অর্থাৎ, রূঢ়ি শব্দের প্রকৃত অর্থ তার আদি গঠনমূলক অর্থ থেকে ভিন্ন ও বিশেষ প্রচলিত অর্থে ব্যবহৃত হয়।
উৎস:
-
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)
-
ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ
0
Updated: 1 month ago