সারাংশ লিখনে একাধিক অনুচ্ছেদ থাকা-
A
অপ্র্যয়োজনীয়
B
অপিরহার্য
C
বাঞ্ছনীয়
D
অসম্ভব
উত্তরের বিবরণ
সারাংশ কিংবা সারমর্ম ঠিকঠাক লেখার জন্য যা যা করতে হবে— - সারমর্ম বা সারাংশ লেখার সময় অনুচ্ছেদের কথা বা বাক্য লিখে দিলে চলবে না। আগে মূল ভাব বুঝতে হবে, এরপরই সাজিয়ে সংক্ষেপে লিখতে হবে।
কবিতা, গদ্য বা রচনা খেয়াল করে পড়লেই ূমূল ভাব আঁচ করা যাবে। অর্থাৎ ভালোভাবে পড়লেই মূল বিষয়বস্তু বোঝা যাবে। - কোনো কোনো সময় রচনায় একাধিক মূল ভাব বা বক্তব্যও থাকতে পারে। যদি এমনটি হয়, তাহলে আসল মূল ভাব বোঝার সহজ উপায় হলো—রচনার বাক্যগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ লাইনগুলো শনাক্ত করা। এরপর বাক্যগুলোর সঙ্গে কোন ভাবটি বেশি কাছাকাছি তা যাচাই করা।
কোন বাক্যগুলো দরকারি, কোনগুলো অদরকারি—সেগুলো আলাদা করতে হবে। তাহলে কাজটা সহজ হবে। মূল রচনার যে অংশটা প্রশ্নে থাকবে, সেখানে উল্লিখিত উদ্ধৃতি, বর্ণনা, সংলাপ, উদাহরণ, উপমা বাদ দিতে হয়। - সারমর্ম কিংবা সারাংশ বড় করে লেখার সুযোগ নেই।
আর লেখার গণ্ডি অবশ্যই রচনার মূল ভাবের মধ্যেই যেন সীমিত থাকে। এখানে নিজের ইচ্ছামতো কোনো মন্তব্য বা মতামত লেখা যাবে না। - সারাংশ লিখনে একাধিক অনুচ্ছেদ থাকা অপ্রয়োজনীয়।
0
Updated: 1 month ago
"চৌকা > চৌকো" - কোন ধরনের ধ্বনি পরিবর্তন?
Created: 1 month ago
A
প্রগত স্বরসঙ্গতি
B
পরাগত স্বরসঙ্গতি
C
মধ্যগত স্বরসঙ্গতি
D
অন্যোন্য স্বরসঙ্গতি
স্বরসঙ্গতি:
একটি স্বরধ্বনির প্রভাবে শব্দে অপর স্বরের পরিবর্তন ঘটলে তাকে স্বরসঙ্গতি বলে। যথা-
• প্রগত স্বরসঙ্গতি:
আদিস্বর অনুযায়ী অন্ত্যস্বর পরিবর্তিত হলে প্রগত স্বরসঙ্গতি হয়।
যেমন:
- মুলা > মুলো;
- শিকা > শিকে;
- চৌকা > চৌকো;
- তুলা > তুলো।
• পরাগত স্বরসঙ্গতি:
অন্ত্যস্বরের কারণে আদ্যস্বর পরিবর্তিত হলে পরাগত স্বরসঙ্গতি হয়।
যেমন:
- আখো > আখুয়া > এখো;
- দেশি > দিশি।
• মধ্যগত স্বরসঙ্গতি:
আদ্যস্বর ও অন্ত্যস্বর অনুযায়ী মধ্যস্বর পরিবর্তিত হলে মধ্যগত স্বরসঙ্গতি হয়।
যেমন:
- বিলাতি > বিলিতি।
• অন্যোন্য স্বরসঙ্গতি:
আদ্য ও অন্ত্য দুই স্বরই পরস্পর প্রভাবিত হলে অন্যোন্য স্বরসঙ্গতি হয়।
যেমন:
- মোজা > মুজো।
0
Updated: 1 month ago
তারিখবাচক শব্দের ১ থেকে ৪ পর্যন্ত সংখ্যাশব্দ কোন নিয়মে সাধিত হয়?
Created: 1 month ago
A
বাংলা
B
হিন্দি
C
সংস্কৃত
D
কোনোটিই নয়
বাংলা ভাষায় তারিখ নির্দেশ করার জন্য সংখ্যাশব্দের পূরণবাচক ব্যবহার করা হয়। এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট দিনে বা তারিখে বোঝানো হয়।
-
উদাহরণস্বরূপ:
১লা → পহেলা বা পয়লা
২রা → দোসরা
৩রা → তেরসা
৪ঠা → চৌঠা
৫ই → পাঁচই
৬ই → ছয়ই -
লক্ষ্যণীয়, প্রথম চারটি তারিখবাচক শব্দ (১–৪) হিন্দি নিয়ম অনুসারে গঠিত, বাকিগুলো বাংলার নিজস্ব নিয়মে গঠিত।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
অর্ধস্বরধ্বনি নয় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
ই্
B
উ্
C
এ্
D
অ্
অর্ধস্বরধ্বনি নয় ‘অ্’। অর্থাৎ বাংলা ভাষার অর্ধস্বরধ্বনির তালিকায় ‘অ্’ অন্তর্ভুক্ত নয়। অর্ধস্বরধ্বনি সেই ধ্বনিগুলোকে বলা হয়, যেগুলো পুরোপুরি উচ্চারিত হয় না।
বাংলা ভাষায় অর্ধস্বরধ্বনি মোট চারটি
-
ই্
-
উ্
-
এ্
-
ও্
স্বরধ্বনির বৈশিষ্ট্য হলো এগুলো উচ্চারণ করার সময় দীর্ঘ বা টেনে উচ্চারণ করা যায়। কিন্তু অর্ধস্বরধ্বনি দীর্ঘ করা যায় না।
উদাহরণস্বরূপ
-
'চাই' শব্দে দুটি স্বরধ্বনি আছে: [আ] এবং [ই্]। এখানে [আ] পূর্ণ স্বরধ্বনি, আর [ই্] অর্ধস্বরধ্বনি।
-
'লাউ' শব্দে দুটি স্বরধ্বনি আছে: [আ] এবং [উ্]। এখানে [আ] পূর্ণ স্বরধ্বনি, আর [উ্] অর্ধস্বরধ্বনি।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago