A
চর্যাপদ
B
বৈষ্ণব পদাবলী
C
নাথ সাহিত্য
D
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
উত্তরের বিবরণ
মধ্যযুগে বাংলা সাহিত্যের প্রথম নিদর্শন শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য। এটি রাধাকৃষ্ণের প্রনয়কথা বিষয়ক একটি আখ্যান কাব্য। এটি রচনা করেন বড়ু চন্ডীদাস।
১৯০৯ সালে বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ পশ্চিম বঙ্গের বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরের নিকটটবর্তী কাকিল্যা গ্রামের দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় নামক এক ব্রাহ্মণের বাড়ির গোয়ালঘর এর মাচার উপর থেকে এর পুঁথি আবিষ্কার করেন। অন্যদিকে, মধ্যযুগের শ্রেষ্ঠ নিদর্শন বৈষ্ণব পদাবলি।

0
Updated: 1 day ago
'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' -এর রচয়িতা কে?
Created: 1 month ago
A
জ্ঞানদাস
B
দীন চণ্ডীদাস
C
বড়ু চণ্ডীদাস
D
দীনহীন চণ্ডীদাস
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের প্রথম কাব্য হিসেবে স্বীকৃত। এই কাব্যটি লিখেছেন বড়ু চণ্ডীদাস। এটি বাংলা ভাষায় কোনো লেখকের লেখা প্রথম একক কাব্যগ্রন্থ, অর্থাৎ পুরো বইটি শুধু এক লেখকের লেখা।
এই কাব্যের পুথিটি প্রথম খুঁজে পাওয়া যায় ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে (১৩১৬ বঙ্গাব্দে)। পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার কাকিল্যা গ্রামে দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির একটি গোয়ালঘরে পুথিটি আবিষ্কার করেন বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ। দেবেন্দ্রনাথ ছিলেন মল্লরাজগুরু শ্রীনিবাস আচার্যের দৌহিত্র বংশের মানুষ।
এরপর ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে (১৩২৩ বঙ্গাব্দে) বসন্তরঞ্জন রায়ের সম্পাদনায় এই কাব্যটি ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ নামে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে বই আকারে প্রকাশিত হয়।
এই কাব্যে মোট ১৩টি খণ্ড রয়েছে। খণ্ডগুলো হলো:
-
জন্ম খণ্ড
-
তাম্বুল খণ্ড
-
দান খণ্ড
-
নৌকা খণ্ড
-
ভার খণ্ড
-
ছত্র খণ্ড
-
বৃন্দাবন খণ্ড
-
কালিয়দমন খণ্ড
-
যমুনা খণ্ড
-
হার খণ্ড
-
বাণ খণ্ড
-
বংশী খণ্ড
-
বিরহ খণ্ড
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 1 month ago
'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্যের প্রথম খণ্ডের নাম কী?
Created: 1 month ago
A
জন্মখন্ড
B
তাম্বুলখণ্ড
C
দানখণ্ড
D
রাধাবিরহ
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন বাংলা ভাষায় লেখা মধ্যযুগের প্রথম কাব্যগ্রন্থ। এটি মূলত রাধা ও কৃষ্ণের প্রেমকাহিনি নিয়ে তৈরি একটি গীতিনাট্য (গান ও নাটকের মিশ্র রচনা)।
এই কাব্যে মোট ১৩টি খণ্ড আছে এবং ৪১৮টি পদ (ছোট কবিতা বা গান) দিয়ে সাজানো হয়েছে।
-
কাব্যের প্রথম খণ্ড হলো – জন্ম খণ্ড, যেখানে কৃষ্ণের জন্মকথা বলা হয়েছে।
-
শেষ খণ্ড হলো – বিরহ খণ্ড, যেখানে রাধা-কৃষ্ণের বিচ্ছেদের বেদনা তুলে ধরা হয়েছে।
এ কাহিনির মূল উৎস ভাগবত পুরাণ হলেও, এর মধ্যে গীতগোবিন্দ (জয়দেব রচিত) এবং অন্যান্য পুরাণের প্রভাব দেখা যায়।
শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের ১৩টি খণ্ড
১. জন্ম খণ্ড
২. তাম্বুল খণ্ড
৩. দান খণ্ড
৪. নৌকা খণ্ড
৫. ভার খণ্ড
৬. ছত্র খণ্ড
৭. বৃন্দাবন খণ্ড
৮. কালিয়দমন খণ্ড
৯. যমুনা খণ্ড
১০. হার খণ্ড
১১. বাণ খণ্ড
১২. বংশী খণ্ড
১৩. বিরহ খণ্ড
প্রধান তিনটি চরিত্র
১. কৃষ্ণ – যিনি পরমাত্মা বা সৃষ্টিকর্তা।
২. রাধা – যিনি জীবাত্মা বা প্রেমিক আত্মা।
৩. বড়াই – যিনি রাধা ও কৃষ্ণের মধ্যে দূতী বা সংযোগকারী।
উৎস: বাংলাপিডিয়া এবং 'বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস' – মাহবুবুল আলম।

0
Updated: 1 month ago
মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে কোন ধর্মপ্রচারক-এর প্রভাব অপরিসীম?
Created: 2 weeks ago
A
শ্রীচৈতন্যদেব
B
শ্রীকৃষ্ণ
C
আদিনাথ
D
মনোহর দাশ
শ্রী চৈতন্যদেব এবং চৈতন্যযুগ
-
শ্রী চৈতন্যদেব মধ্যযুগের বাংলার একজন প্রভাবশালী ধর্মপ্রচারক। যদিও তিনি নিজে কোনো সাহিত্যিক কাব্য রচনা করেননি, তবু তাঁর নামেই একটি সাহিত্য যুগের সূচনা হয়, যা চৈতন্যযুগ নামে পরিচিত।
-
তাঁর প্রভাবে বৈষ্ণব সাহিত্য জন্মে, যা মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ ফসল বলে বিবেচিত। এই সাহিত্য বাঙালির স্বজাত্যবোধ এবং নিজস্ব সংস্কৃতি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
-
বাংলায় চৈতন্যদেবের প্রথম জীবনী গ্রন্থ হলো বৃন্দাবন দাসের রচিত ‘চৈতন্য-ভাগবত’।
-
বাংলা সাহিত্যের মধ্যে চৈতন্যযুগের সময়কাল ১৫০০ থেকে ১৭০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত।
-
শ্রীচৈতন্যদেবের পিতৃদত্ত নাম বিশম্ভর মিশ্র, ডাকনাম নিমাই।
-
তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৪৮৬ খ্রিস্টাব্দে এবং মৃত্যুবরণ করেন ১৫৩৩ খ্রিস্টাব্দে।
বৈষ্ণব সাহিত্য
বৈষ্ণব সাহিত্য প্রধানত তিন প্রকারে বিভক্ত:
-
জীবনীকাব্য
-
বৈষ্ণব শাস্ত্র
-
পদাবলী
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 2 weeks ago