বাংলাদেশে তড়িৎ-এর কম্পাঙ্ক (frequency) প্রতি সেকেন্ডে ৫০ সাইকেল-এর তাৎপর্য কী? 

Edit edit

A

প্রতি সেকেন্ডে বিদ্যুৎ প্রবাহ ৫০ বার বন্ধ হয় 

B

প্রতি সেকেন্ডে বিদ্যুৎ প্রবাহ ৫০ একক দৈর্ঘ্য অতিক্রম করে 

C

প্রতি সেকেন্ডে বিদ্যুৎ প্রবাহ ৫০ বার দিক বদলায় 

D

প্রতি সেকেন্ডে বিদ্যুৎ প্রবাহ ৫০ বার উঠানামা করে

উত্তরের বিবরণ

img

• যে বিদ্যুৎ প্রবাহ সময়ের সাথে সাথে তার দিক পরিবর্তন করে, তাকে দিক পরিবর্তী বা এসি (A.C.) প্রবাহ বলা হয়। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এই এসি প্রবাহ প্রতি সেকেন্ডে ৫০ বার দিক পরিবর্তন করে, অর্থাৎ এর কম্পাঙ্ক প্রতি সেকেন্ডে ৫০ সাইকেল।

• তড়িৎ প্রবাহ কীভাবে ঘটে:

  • দুটি ভিন্ন বিভবসম্পন্ন ধাতব পদার্থ পরিবাহী তার দ্বারা সংযুক্ত করলে, তারের মধ্যে দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহ শুরু হয়।

  • এই সংযোগে, নিম্ন বিভবসম্পন্ন ধাতব বস্তু থেকে ঋণাত্মক আধানযুক্ত ইলেকট্রন উচ্চ বিভবসম্পন্ন বস্তুর দিকে প্রবাহিত হয়।

  • যতক্ষণ পর্যন্ত দুটি বস্তুর মধ্যে বিভব পার্থক্য বজায় থাকে, ততক্ষণ ইলেকট্রনের এই প্রবাহ চলতে থাকে।

  • যদি এই বিভব পার্থক্য কৃত্রিমভাবে টিকিয়ে রাখা যায়, তবে ইলেকট্রনের প্রবাহ অব্যাহত থাকে।

  • ইলেকট্রনের এই সঞ্চালনই মূলত তড়িৎ প্রবাহ সৃষ্টি করে।

  • কোনো পরিবাহীর এক প্রস্থচ্ছেদ দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে যে পরিমাণ আধান প্রবাহিত হয়, তাকেই তড়িৎ প্রবাহ বলা হয়।

  • প্রচলিত নিয়মে, তড়িৎ প্রবাহের দিক ইলেকট্রনের গতিপথের বিপরীত দিকে ধরা হয়।

  • তড়িৎ প্রবাহের একক হলো অ্যাম্পিয়ার (Ampere), প্রতীক: A।

  • প্রতি একক আধানকে তড়িৎক্ষেত্রের এক বিন্দু থেকে আরেক বিন্দুতে স্থানান্তর করতে যে পরিমাণ কাজ সম্পন্ন হয়, সেটিই ঐ বিন্দুগুলোর তড়িৎ বিভব পার্থক্য।

  • বিভব পার্থক্য না থাকলে, তড়িৎ প্রবাহিত হবে না, ফলে কোনো আধানের সঞ্চালনও হবে না এবং কাজও সম্পন্ন হবে না।

• তড়িৎ প্রবাহ সাধারণত দুই ধরনের হতে পারে:

(ক) অপর্যায়বৃত্ত বা একমুখী প্রবাহ (ডিসি বা D.C.):

  • এই ধরণের প্রবাহে সময়ের সাথে দিকের কোনো পরিবর্তন ঘটে না, অর্থাৎ প্রবাহ সবসময় একই দিকে চলে।

  • ব্যাটারি বা তড়িৎ কোষ থেকে ডিসি প্রবাহ পাওয়া যায়।

  • ডিসি জেনারেটরের মাধ্যমেও একমুখী প্রবাহ তৈরি করা যায়।

(খ) পর্যায়বৃত্ত বা দিক পরিবর্তী প্রবাহ (এসি বা A.C.):

  • নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর যে বিদ্যুৎ প্রবাহ তার দিক পরিবর্তন করে, সেটি পর্যায়বৃত্ত বা এসি প্রবাহ নামে পরিচিত।

  • পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই বর্তমানে এসি প্রবাহ ব্যবহার করা হয়।

  • কারণ, এটি তৈরি ও বিতরণ করা তুলনামূলকভাবে সহজ এবং ব্যয় সাশ্রয়ী।

  • এসি প্রবাহ উৎপাদনের উৎস হলো জেনারেটর বা ডায়নামো।

  • বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে এসব যন্ত্রের মাধ্যমে এসি প্রবাহ তৈরি হয়।

  • এসি প্রবাহের দিক পরিবর্তনের হার দেশভেদে ভিন্ন হতে পারে।
    উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশে প্রতি সেকেন্ডে এসি প্রবাহ ৫০ বার এবং যুক্তরাষ্ট্রে ৬০ বার দিক পরিবর্তন করে।

উৎস: অষ্টম শ্রেণি, বিজ্ঞান পাঠ্যবই।

Unfavorite

0

Updated: 2 months ago

Related MCQ

Get Our App

Download our app for a better experience.

© LXMCQ, Inc. - All Rights Reserved

Developed by WiztecBD