A
আমন্ত্রণপত্র
B
মানপত্ৰ
C
নিমন্ত্রণপত্র
D
স্মারক পত্র
উত্তরের বিবরণ
মানপত্র হচ্ছে এক ধরনের অভিনন্দন বা সংবর্ধনা পত্র। মানপত্র হচ্ছে সম্মান বা শ্রদ্ধাজ্ঞাপন সূচক অভিনন্দন পত্র। বিভিন্ন ধরনের পত্রের মধ্যে মানপত্র বা অভিনন্দনপত্র একটি। প্রশংসাপত্র ও একধরনেরর মানপত্র।

0
Updated: 1 day ago
'সন্ধ্যাভাষা' কোন সাহিত্যকর্মের সঙ্গে যুক্ত?
Created: 1 week ago
A
চর্যাপদ
B
পদাবলি
C
মঙ্গলকাব্য
D
রোমান্সকাব্য
চর্যাপদ
-
চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন, যা “চর্যাগীতি” বা “চর্যাগীতিকোষ” নামেও পরিচিত।
-
এটি বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যসংকলন বা গানের সংকলন।
-
চর্যাপদের মূল বিষয়বস্তু বৌদ্ধধর্ম অনুযায়ী সাধনা ও ভজনের তত্ত্ব।
-
চর্যাপদে বৌদ্ধ সহজিয়াগণ রচনা করেছেন।
-
১৯০৭ সালে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রয়েল লাইব্রেরি থেকে এটি আবিষ্কার করেন।
-
চর্যাপদের ভাষাকে বলা হয় ‘সন্ধ্যা’ বা ‘সান্ধ্য ভাষা’, যা কখনও স্পষ্ট এবং কখনও অস্পষ্ট; তাই একে ‘আলো-আঁধারি ভাষা’ বলাও হয়।
-
প্রাচীন ছন্দে রচিত চর্যাপদের পদগুলোর আধুনিক বিশ্লেষণে মাত্রাবৃত্ত ছন্দ ধরা হয়েছে।
চর্যাপদ বিষয়ে গবেষণা
-
১৯২০ সালে বিজয়চন্দ্র মজুমদার চর্যাপদের ভাষা নিয়ে প্রথম আলোচনা করেন।
-
১৯২৬ সালে ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় বৈজ্ঞানিকভাবে চর্যাপদের ধ্বনিতত্ত্ব, ব্যাকরণ ও ছন্দ বিশ্লেষণ করে প্রমাণ করেন যে, চর্যাপদ বাংলা ভাষায় রচিত।
-
এছাড়াও ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচী, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, ড. সুকুমার সেন, ড. শশীভূষণ দাশগুপ্ত চর্যাপদের ভাষা ও বিষয়বস্তু নিয়ে গবেষণা করেছেন।
-
১৯৪৬ সালে ড. শশীভূষণ দাশগুপ্ত চর্যাপদের সহজিয়ান প্রসঙ্গে অন্তর্নিহিত তত্ত্ব ব্যাখ্যা করেন।
-
বিহারের পণ্ডিত রাহুল সাংকৃত্যায়ন বৌদ্ধ সিদ্ধাচর্য, বৈদ্ধ সহজান এবং চর্যাগীতিকা নিয়ে ইংরেজি ও হিন্দিতে বিস্তৃত গবেষণা করেছেন।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম।

0
Updated: 1 week ago
কোনটি ব্যতিহার বহুব্রীহির উদাহরণ?
Created: 4 days ago
A
অজানা
B
দোতলা
C
আশীবিষ
D
কানাকানি
বহুব্রীহি সমাস এবং ব্যতিহার বহুব্রীহি
১. বহুব্রীহি সমাস:
যে সমাসে কোনো পদ (পূর্বপদ বা পরপদ) সরাসরি অর্থ প্রকাশ করে না, বরং মিলিত হয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন অর্থ বোঝায়, তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে।
উদাহরণ:
-
বউভাত → বউ + ভাত; এখানে সরাসরি বউ বা ভাত নয়, বরং একটি বিশেষ অনুষ্ঠান বোঝানো হয়েছে যেখানে বউ ভাত পরিবেশন করে।
২. ব্যতিহার বহুব্রীহি:
যে সমাসে দুটি পদ একে অপরের ক্রিয়ায় বিশেষ অবস্থা বা ক্রিয়া প্রকাশ করে, তাকে ব্যতিহার বহুব্রীহি বলা হয়।
উদাহরণ:
-
হাতাহাতি → হাতে + হাতে; একে অপরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সংঘটিত যুদ্ধে ব্যবহৃত হয়।
-
কানাকানি → কানে + কানে; গোপনে কথোপকথন বোঝায়।
-
গলাগলি → গলায় + গলায়; ঘনিষ্ঠ বা সম্মিলিত মিলনের অবস্থা বোঝায়।
-
লাঠালাঠি → লাঠিতে + লাঠিতে; লাঠির সংঘর্ষ বা মারামারির অর্থ প্রকাশ করে।
-
হাসাহাসি → হাসতে + হাসতে; পরস্পরের সঙ্গে হাসির ক্রিয়া বোঝায়।
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ

0
Updated: 4 days ago
'চন্দ্রাবতী' কী?
Created: 1 week ago
A
নাটক
B
কাব্য
C
পদাবলী
D
পালাগান
চন্দ্রাবতী কাব্য:
-
রচয়িতা: কোরেশী মাগন ঠাকুর।
-
কাল ও প্রেক্ষাপট: মধ্যযুগে আরাকান রাজসভায় বাংলা সাহিত্যচর্চা শুরু হয়।
-
কোরেশী মাগন ঠাকুর ছিলেন আরাকান রাজসভার প্রধান উজির। তার পৃষ্ঠপোষকতায় রাজসভায় বাংলা সাহিত্যের বিকাশ ঘটে।
-
তিনি বিখ্যাত কবি আলাওলকে দুটি কাব্য, ‘পদ্মাবতী’ ও ‘সয়ফুলমুলক বদিউজ্জামান’, রচনায় উৎসাহিত করেন।
-
উল্লেখযোগ্য আরাকান রাজসভার কবি: আলাওল, দৌলত কাজী, কোরেশী মাগন ঠাকুর।
অন্যান্য চন্দ্রাবতী সম্পর্কিত তথ্য:
-
ময়মনসিংহের একজন নারী গীতিকার চন্দ্রাবতী প্রথম রামায়ণ বাংলায় অনুবাদ করেন।
-
ময়মনসিংহ-গীতিকায় নয়নচাঁদ ঘোষ নামে এক কবির ‘চন্দ্রাবতী’ সম্পর্কিত পালা আছে। এটি বিভিন্ন নামে পরিচিত, যেমন:
-
‘জয়-চন্দ্রাবতী’
-
‘চন্দ্রাবতী চরিত’
-
‘চন্দ্রাবতী উপাখ্যান’
-
-
১৯৩২ সালে দীনেশচন্দ্র সেন চন্দ্রাবতীর রামায়ণ প্রকাশ করেন। এটি পূর্ববঙ্গ-গীতিকার চতুর্থ খণ্ডের দ্বিতীয় ভাগে স্থান পেয়েছে।
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 week ago