জীবনানন্দ দাশের জন্মস্থান কোন জেলায়?
A
বরিশাল জেলা
B
ফরিদপুর জেলা
C
ঢাকা জেলা
D
রাজশাহী জেলা
উত্তরের বিবরণ
জীবনানন্দ দাশ
জীবনানন্দ দাশ ছিলেন বাংলা সাহিত্যের এক বিশিষ্ট কবি ও শিক্ষাবিদ। তিনি ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিল বিক্রমপুরের গাওপাড়া গ্রামে। পিতা সত্যানন্দ দাশ ছিলেন একজন স্কুলশিক্ষক ও সমাজসেবক, আর মাতা কুসুমকুমারী দাশ নিজেও একজন কবি ছিলেন।
১৯৫৪ সালের ১৪ অক্টোবর কলকাতায় এক ট্রাম দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে তিনি ২২ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন।
জীবনানন্দ দাশের উপাধি ও অভিধা:
-
ধুসরতার কবি
-
তিমির হননের কবি
-
রূপসী বাংলার কবি
-
নির্জনতার কবি
প্রধান রচনা:
কাব্যগ্রন্থসমূহ:
-
ঝরা পালক (প্রথম কাব্যগ্রন্থ)
-
ধূসর পাণ্ডুলিপি
-
বনলতা সেন
-
মহাপৃথিবী
-
সাতটি তারার তিমির
-
রূপসী বাংলা
-
বেলা অবেলা কালবেলা
উপন্যাস:
-
মাল্যবান
-
সুতীর্থ
প্রবন্ধ:
-
কবিতার কথা
উৎস:
বাংলা ভাষা সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর; বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 5 months ago
জীবনান্দ দাশকে 'নির্জনতম কৰি' আখ্যা দিয়েছেন কে?
Created: 2 weeks ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
বুদ্ধদেব বসু
C
দীপ্তি ত্রিপাঠী
D
আব্দুল মান্নান সৈয়দ
জীবনানন্দ দাশকে ‘নির্জনতম কবি’ আখ্যায়িত করেছেন কবি ও সমালোচক বুদ্ধদেব বসু। এই আখ্যায়নের মাধ্যমে তিনি জীবনানন্দের কবিত্বচেতনার বিশেষ বৈশিষ্ট্য— নিঃসঙ্গতা, আত্মমগ্নতা ও গভীর অন্তর্জগৎ—কে তুলে ধরেছেন।
-
জীবনানন্দের কবিতায় সমাজ বা রাজনীতি নয়, বরং মানুষের অন্তর্লোক, স্মৃতি, প্রকৃতি ও অস্তিত্ববোধ প্রধান বিষয় হয়ে ওঠে।
-
তাঁর কবিতায় নীরবতা, নিঃসঙ্গতা ও অতীতচেতনা এক অনন্য সৌন্দর্যে প্রকাশ পায়।
-
বুদ্ধদেব বসু মনে করেন, জীবনানন্দ নিজের চারপাশের জগৎ থেকে আলাদা থেকে নিজস্ব নিস্তব্ধ জগৎ সৃষ্টি করেছেন, যেখানে তিনি চেতনা ও অনুভূতির গভীরে ডুব দিয়েছেন।
-
এই নির্জনতা তাঁকে বাংলা কবিতায় এক অদ্বিতীয় আধুনিক কবির মর্যাদা দিয়েছে।
0
Updated: 2 weeks ago
'নির্জনতার কবি' - উপাধিটি কার?
Created: 3 weeks ago
A
বুদ্ধদেব বসু
B
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
C
প্রেমেন্দ্র মিত্র
D
জীবনানন্দ দাশ
জীবনানন্দ দাশ ছিলেন একজন প্রখ্যাত কবি ও শিক্ষাবিদ। তিনি ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর আদি নিবাস ছিল বিক্রমপুরের গাওপাড়া গ্রামে। মাতা কুসুমকুমারী দাশ ছিলেন একজন কবি। জীবনানন্দ দাশ ১৯৫৪ সালের ১৪ অক্টোবর কলকাতায় একটি ট্রাম দুর্ঘটনার ফলে আহত হন এবং ২২ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন।
জীবনানন্দ দাশের উপাধি সমূহ:
• ধুসরতার কবি
• তিমির হননের কবি
• রূপসী বাংলার কবি
• নির্জনতার কবি
0
Updated: 3 weeks ago
কোনটি জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ নয়?
Created: 1 week ago
A
ধূসর পান্ডুলিপি
B
ঝরা পালক
C
মহা পৃথিবী
D
বেলা শেষের গান
জীবনানন্দ দাশ বাংলা আধুনিক কবিতার অন্যতম প্রধান কবি, যিনি প্রকৃতি, একাকীত্ব, সময় ও অস্তিত্বের গভীর বোধকে তাঁর কবিতায় প্রকাশ করেছেন। তাঁর কাব্যগ্রন্থগুলোতে মানবজীবনের অন্তর্গত নিঃসঙ্গতা, মাটির গন্ধ, এবং প্রকৃতির নান্দনিক রূপ ফুটে ওঠে। প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে ‘বেলা শেষের গান’ জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ নয়, বরং এটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি গ্রন্থ।
জীবনানন্দ দাশের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলো হলো—
-
ধূসর পান্ডুলিপি (১৯৩৬): এটি তাঁর প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ। এখানে সময়, মৃত্যু, প্রকৃতি ও একাকীত্বের বিষয়গুলো প্রতিফলিত হয়েছে। বাংলা কবিতায় আধুনিকতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে এই গ্রন্থ।
-
ঝরা পালক (১৯২৭): এটি তাঁর প্রথম দিকের রচনা। এই গ্রন্থে রোমান্টিকতার ছোঁয়া থাকলেও তাতে পরবর্তী জীবনানন্দীয় চিন্তার বীজ পাওয়া যায়।
-
মহা পৃথিবী (১৯৪৪): দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও মানবসভ্যতার সংকটের প্রেক্ষাপটে লেখা এই গ্রন্থে কবি এক গভীর দার্শনিক বোধের প্রকাশ ঘটিয়েছেন। মানবজীবনের ক্ষয় ও পুনর্জন্মের ভাবনাও এতে বিদ্যমান।
অন্যদিকে, ‘বেলা শেষের গান’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি সংগীত-সংকলন, যেখানে জীবনের শেষ প্রহরের ভাব, ঈশ্বরপ্রেম, ও মানবিক শান্তির আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়েছে। এই কারণে এটি জীবনানন্দ দাশের কোনো কাব্যগ্রন্থ নয়।
সারসংক্ষেপে বলা যায়—
-
‘ধূসর পান্ডুলিপি’, ‘ঝরা পালক’ ও ‘মহা পৃথিবী’— জীবনানন্দ দাশের মৌলিক ও বহুল পরিচিত কাব্যগ্রন্থ।
-
‘বেলা শেষের গান’— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টি, জীবনানন্দ দাশের নয়।
অতএব, প্রদত্ত প্রশ্নের সঠিক উত্তর ঘ) বেলা শেষের গান।
0
Updated: 1 week ago