নিচের কোনটি তদ্ভব শব্দের উদাহরণ?
A
মই
B
জোছনা
C
পাতা
D
কাগজ
উত্তরের বিবরণ
পাতা- তদ্ভব শব্দের উদাহরণ। তদ্ভব শব্দ: যেসব শব্দের মূল সংস্কৃত ভাষায় পাওয়া যায়, কিন্তু ভাষার স্বাভাবিক বিবর্তন ধারায় প্রাকৃতের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়ে আধুনিক বাংলা ভাষায় স্থান করে নিয়েছে, সেসব শব্দকে বলা হয় তদ্ভব শব্দ।
তদ্ভব একটি পারিভাষিক শব্দ। এর অর্থ, ‘তৎ’ (তার) থেকে ‘ভব’ (উৎপন্ন)। যেমন – সংস্কৃত হস্ত, প্রাকৃত – হথ, তদ্ভব – হাত। সংস্কৃত – চর্মকার, প্রাকৃত – চম্মআর, তদ্ভব – চামার ইত্যাদি। একইভাবে সংস্কৃত ‘চন্দ্র’ শব্দ থেকে ‘চাঁদ’ শব্দটি উৎপন্ন হয়েছে। এই তদ্ভব শব্দগুলোকে খাটি বাংলা শব্দও বলা হয়।
0
Updated: 1 month ago
৭) 'হাতি' কোন শ্রেণির শব্দ?
Created: 2 months ago
A
তৎসম শব্দ
B
তদ্ভব শব্দ
C
দেশি শব্দ
D
বিদেশি শব্দ
বাংলা শব্দের উৎস অনুযায়ী শ্রেণিবিভাগ
বাংলা শব্দভান্ডারকে উৎস বিবেচনায় চারটি প্রধান শ্রেণিতে ভাগ করা যায়:
-
তৎসম শব্দ (Tatsama)
-
উৎস: প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা (সংস্কৃত)
-
বৈশিষ্ট্য: লিখিত রূপে সংস্কৃত শব্দের অনুরূপ
-
উদাহরণ: পৃথিবী, আকাশ, গ্রহ, বৃক্ষ
-
পারিভাষিক ক্ষেত্রে: অধ্যাদেশ, গণপ্রজাতন্ত্রী, মহাপরিচালক, সচিবালয়
-
-
তদ্ভব শব্দ (Tadbhava)
-
উৎস: প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা থেকে বিবর্তিত, বাংলা ভাষায় স্বতন্ত্র রূপ নেওয়া
-
উদাহরণ: হাত, পা, কান, নাক, জিভ, দাঁত; হাতি, ঘোড়া, সাপ, পাখি, কুমির
-
-
দেশি শব্দ (Deshi)
-
উৎস: বাংলা অঞ্চলের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ভাষা
-
উদাহরণ: কুড়ি, পেট, চুলা, কুলা, ডাব, টোপর, ঢেঁকি
-
-
বিদেশি শব্দ (Bideshi)
-
উৎস: বিদেশী ভাষা ও সাংস্কৃতিক সংস্পর্শের ফল
-
উদাহরণ: আরবি, ফারসি, ইংরেজি, পর্তুগিজ, ফরাসি, ওলন্দাজ, তুর্কি, হিন্দি ভাষার শব্দ
-
ব্যবহার: বাংলা ভাষায় স্থানপ্রাপ্ত বিদেশি শব্দ
-
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম ও দশম শ্রেণি (২০২১-সংস্করণ)
0
Updated: 2 months ago
প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা থেকে বিবর্তিত যেসব শব্দ বাংলা ভাষায় একেবারেই স্বতন্ত্র, সেগুলো হলো -
Created: 1 month ago
A
তৎসম শব্দ
B
তদ্ভব শব্দ
C
দেশি শব্দ
D
বিদেশি শব্দ
বাংলা
তদ্ভব শব্দ
তৎসম শব্দ
দেশি শব্দ
বাংলা উপন্যাস
বাংলা ব্যকরণ
বাংলা ভাষা (ব্যাকরণ)
শক্তির উৎস ও ব্যবহার
উৎস বিবেচনায় বাংলা শব্দের শ্রেণিবিভাগ
বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডারকে উৎসের ভিত্তিতে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়— তৎসম, তদ্ভব, দেশি ও বিদেশি।
এর মধ্যে তৎসম ও তদ্ভব শব্দকে নিজস্ব উৎসের এবং দেশি ও বিদেশি শব্দকে আগত উৎসের শব্দ ধরা হয়।
১. তৎসম শব্দ
-
সংজ্ঞা: প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা থেকে বিবর্তিত এমন সব শব্দ, যেগুলোর রূপ প্রায় অবিকৃত থেকে গেছে এবং সংস্কৃত শব্দের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সাদৃশ্য বজায় রেখেছে।
-
উদাহরণ: পৃথিবী, আকাশ, গ্রহ, বৃক্ষ।
২. তদ্ভব শব্দ
-
সংজ্ঞা: প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা থেকে বিবর্তিত হয়ে বাংলা ভাষায় স্বতন্ত্র রূপ নিয়েছে যে সব শব্দ।
-
উদাহরণ: হাত, পা, কান, নাক, দাঁত, জিভ; হাতি, ঘোড়া, সাপ, পাখি, কুমির ইত্যাদি।
৩. দেশি শব্দ
-
সংজ্ঞা: বাংলার স্থানীয় আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ভাষা থেকে আগত শব্দ।
-
উদাহরণ: কুড়ি, পেট, চুলা, কুলা, ডাব, টোপর, ঢেঁকি।
৪. বিদেশি শব্দ
-
সংজ্ঞা: ঐতিহাসিক যোগাযোগের ফলে আরবি, ফারসি, ইংরেজি, পর্তুগিজ, ফরাসি, ওলন্দাজ, তুর্কি, হিন্দি প্রভৃতি ভাষা থেকে গৃহীত শব্দ।
-
উদাহরণ: আলু (পর্তুগিজ), কাগজ (আরবি), দপ্তর (ফারসি), স্কুল (ইংরেজি)।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১ সংস্করণ)
0
Updated: 1 month ago
কোনটি তদ্ভব শব্দ?
Created: 5 months ago
A
চাঁদ
B
সূর্য
C
নক্ষত্র
D
গগন
• তদ্ভব শব্দ:
যেসব শব্দের মূল সংস্কৃত ভাষায় পাওয়া যায়, কিন্তু ভাষার স্বাভাবিক বিবর্তন ধারায় প্রাকৃতের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়ে আধুনিক বাংলা ভাষায় স্থান করে নিয়েছে, সেসব শব্দকে বলা হয় তদ্ভব শব্দ।
যেমন:
- হাত, পা, মাথা, কান ইত্যাদি।
• চাঁদ শব্দের উৎপত্তি: {(তৎসম বা সংস্কৃত) চন্দ্র > (পালি)চন্দ; (প্রাকৃত) চংদ > চাঁদ}। সুতরাং চাঁদ তদ্ভব শব্দ।
অন্যদিকে,
সূর্য, নক্ষত্র, গগন- শব্দগুলো তৎসম শব্দ।
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ এবং অভিগম্য অভিধান।
0
Updated: 5 months ago