জাতীয় বাজেট ২০২৫-২৬ অনুযায়ী, অনুমিত মুদ্রাস্ফীতির হার কত?
A
৫.০%
B
৫.২%
C
৬.৫%
D
৬.৯%
উত্তরের বিবরণ
জাতীয় বাজেট ২০২৫-২৬:
- বাজেটের ক্রম: ৫৪তম (অন্তবর্তীকালীনসহ ৫৫তম)।
- বাজেটের শিরোনাম: 'বৈষম্যহীন ও টেকসই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ার প্রত্যয়'।
- বাজেট উত্থাপনকারী: ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ (অর্থ উপদেষ্টা)।
- বাজেট উত্থাপন: ২ জুন, ২০২৫।
- অনুমোদন হয় : ২২ জুন, ২০২৫।
- কার্যকর হয়: ১ জুলাই, ২০২৫।
- জিডিপির আকার: ৬২ লাখ ৪৪ হাজার ৫৭৮ কোটি টাকা।
- জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার: ৫.৫%।
- বাজেটের আকার: ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা।
- অনুদান ব্যতিত বাজেট ঘাটতি: ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা।
- অনুদান সহ বাজেট ঘাটতি: ২,২১,০০০ কোটি টাকা।
- সর্বোচ্চ বরাদ্দ প্রাপ্ত খাত (পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেট): জনপ্রশাসন।
- উন্নয়ন বাজেটে সর্বোচ্চ বরাদ্দপ্রাপ্ত খাত: পরিবহন ও যোগাযোগ।
- অনুন্নয়ন (পরিচালন) বাজেটে সর্বোচ্চ বরাদ্দ প্রাপ্ত খাত: সুদ।
- মাথাপিছু আয়: ২,৮২০ মার্কিন ডলার।
- বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (ADP): ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা (জিডিপির ৩.৭%)।
- উন্নয়ন বাজেটে বরাদ্দের পরিমাণ: ২,৪৫,৬০৯ কোটি টাকা।
- অনুমিত মুদ্রাস্ফীতির হার: ৬.৫%।
0
Updated: 1 month ago
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এনজিও (NGO) এর নাম কি?
Created: 1 month ago
A
ব্র্যাক
B
প্রশিকা
C
গ্রামীণ ব্যাংক
D
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল
ব্র্যাক হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় এনজিও (NGO), যা সামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
-
প্রতিষ্ঠা: ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের স্যার ফজলে হাসান আবেদ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত।
-
আন্তর্জাতিক কার্যক্রম: বর্তমানে ১০টিরও বেশি দেশে কার্যক্রম চালাচ্ছে।
-
মূল কার্যক্রম:
-
স্বাস্থ্য
-
শিক্ষা
-
মাইক্রোফাইন্যান্স
-
দারিদ্র্য দূরীকরণ
-
অন্যান্য বহুমুখী সামাজিক উন্নয়ন কার্যক্রম
-
-
বিশ্বব্যাপী পরিচিতি: সদস্য সংখ্যা, কার্যক্রমের পরিধি এবং বাজেটের দিক থেকে এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা।
0
Updated: 1 month ago
In which district Bangladesh Wheat and Maize Research Institute is located?
Created: 1 month ago
A
Gazipur
B
Pabna
C
Dinajpur
D
Dhaka
BWMRI হলো Bangladesh Wheat and Maize Research Institute বা বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট, যা ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি বাংলাদেশে গম ও ভুট্টা নিয়ে গবেষণা করার একমাত্র প্রতিষ্ঠান এবং এর প্রধান কার্যালয় দিনাজপুরের নশিপুরে অবস্থিত।
-
BWMRI বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (BARI) থেকে আলাদা হয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
-
এর আগে BARI গম ও ভুট্টা নিয়ে গবেষণা করত।
তথ্যসূত্র:
0
Updated: 1 month ago
ইন্ডিগো কমিশন বা নীল কমিশন গঠিত হয় -
Created: 4 weeks ago
A
১৮৬০ সালে
B
১৮৬৩ সালে
C
১৮৬৭ সালে
D
১৮৬৯ সালে
নীল বিদ্রোহ মূলত বাংলার কৃষকদের ইংরেজ নীলকরদের শোষণ ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সংগঠিত প্রতিরোধের ঘটনা। ইংরেজরা উপমহাদেশে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে প্রবেশ করেছিল এবং স্থানীয় শাসকদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে এদেশের শাসক হয়ে ওঠে। তারা উর্বর জমিতে খাদ্য ফসলের পরিবর্তে বাণিজ্য ফসল উৎপাদনে আগ্রহী হয়, যার মধ্যে নীল অন্যতম। ১৭৭০ থেকে ১৭৮০ সালের মধ্যে বাংলায় নীল চাষ শুরু হয়। কৃষকরা যদি নীল চাষে রাজি না হতেন, তাদের উপর চরম অত্যাচার চালানো হতো। নীলের ব্যবসা তখন একচেটিয়া ইংরেজ বণিকদের হাতে ছিল এবং ফরিদপুর, ঢাকা, পাবনা, যশোর, রাজশাহী, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদে ব্যাপক নীল চাষ হতো। ১৮৫৯ সালে কৃষকরা নীলকরদের অত্যাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তোলে, যা ইতিহাসে নীল বিদ্রোহ নামে পরিচিত। এই নেতৃত্ব এতটাই সুসংগঠিত ছিল যে শেষ পর্যন্ত ইংরেজরা নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয়। ১৮৬০ সালে সরকার নীল কমিশন (Indigo Commission) গঠন করে, যা নীলচাষের নিয়ম ও কৃষকের অধিকার নির্ধারণ করে। কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে নীলচাষ করা বা না করা কৃষকের ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল করা হয় এবং ‘ইন্ডিগো কন্ট্রাক্টস অ্যাক্ট’ বাতিল করা হয়। এতে নীল বিদ্রোহের অবসান ঘটে।
-
ইংরেজরা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে বাংলায় প্রবেশ এবং স্থানীয় শাসকদের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে শাসক হয়ে ওঠে।
-
খাদ্য ফসলের পরিবর্তে বাণিজ্য ফসলের দিকে মনোযোগ, যার মধ্যে নীল প্রধান।
-
১৭৭০–১৭৮০ সালের মধ্যে নীল চাষ শুরু।
-
চাষে রাজি না হলে কৃষকদের উপর চরম অত্যাচার।
-
নীল ব্যবসা একচেটিয়া ইংরেজ বণিকদের হাতে; ফরিদপুর, ঢাকা, পাবনা, যশোর, রাজশাহী, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদে ব্যাপক চাষ।
-
১৮৫৯ সালে কৃষকরা শোষণ ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
-
নেতৃত্ব সুসংগঠিত হওয়ায় ইংরেজরা শেষ পর্যন্ত নতি স্বীকার করে।
-
১৮৬০ সালে নীল কমিশন (Indigo Commission) গঠন এবং নীলচাষের নিয়ম নির্ধারণ।
-
কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী নীলচাষের ইচ্ছা কৃষকের উপর নির্ভরশীল করা হয় এবং ইন্ডিগো কন্ট্রাক্টস অ্যাক্ট বাতিল।
-
নীল বিদ্রোহের অবসান ঘটে।
-
বাংলায় নীল চাষ বিলুপ্ত হলেও বিহারে ১৯১৭ সাল পর্যন্ত চলতে থাকে।
0
Updated: 4 weeks ago