ফরায়েজি আন্দোলনকে রাজনৈতিক আন্দোলনে রূপদান করেন কে
A
হাজী শরীয়তুল্লাহ
B
দুদু মিয়া
C
তিতুমীর
D
মজনু শাহ
উত্তরের বিবরণ
ফরায়েজি আন্দোলন:
- ফরায়েজি আন্দোলন ছিল একটি ধর্মীয়-সামাজিক সংস্কার আন্দোলন।
- উনিশ শতকের প্রথমার্ধে হাজী শরীয়তুল্লাহ ফরায়েজী আন্দোলনের সূত্রপাত করেন।
- তিনি বৃহত্তর ফরিদপুরের মাদারীপুর জেলায় ১৭৮২ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।
- ফরায়েজি শব্দটি আরবি ‘ফরজ’ (অবশ্য কর্তব্য) শব্দ থেকে এসেছে। যাঁরা ফরজ পালন করে তারাই ফরায়েজি।
- হাজী শরীয়তুল্লাহ যে ফরজের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছেন, তা ছিল পবিত্র কুরআনে বর্ণিত পাঁচটি অবশ্যপালনীয় (ফরজ) মৌলনীতি।
- তিনি ভারতবর্ষকে ‘দারুল হারব' অর্থাৎ বিধর্মীর রাজ্য বলে ঘোষণা করেন।
- জমিদার শ্রেণি নানা অজুহাতে ফরায়েজি প্রজাদের উপর অত্যাচার শুরু করলে হাজী শরীয়তুল্লাহ প্রজাদের রক্ষার জন্য লাঠিয়াল বাহিনী গঠনের সিদ্ধান্ত নেন।
- ১৮৩৯ খ্রিস্টাব্দে তার উপর পুলিশি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
- ১৮৪০ খ্রিস্টাব্দে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
- হাজী শরীয়তুল্লাহর মৃত্যুর পরে ফরায়েজি আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন তাঁর যোগ্যপুত্র মুহম্মদ মুহসিন উদ্দীন আহমদ ওরফে দুদু মিয়া।
- তিনি ১৮১৯ খ্রিস্টাব্দে জন্ম গ্রহণ করেন।
- দুদু মিয়া ফরায়েজি আন্দোলনকে রাজনৈতিক আন্দোলনে রূপদান করেন।
- ১৮৬২ খ্রিস্টাব্দে দুদু মিয়া মৃত্যুবরণ করেন।
- তাঁর মৃত্যুর পর যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে ফরায়েজি আন্দোলন দুর্বল হয়ে পড়ে।
তথ্যসূত্র - বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশ সংবিধানে কয়টি অধ্যায় রয়েছে?
Created: 1 month ago
A
১টি
B
৪টি
C
৭টি
D
১১টি
সংবিধানের ১১টি অধ্যায় ও আলোচ্য বিষয়সমূহ:
-
প্রথম অধ্যায়: প্রজাতন্ত্র
-
দ্বিতীয় অধ্যায়: রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি
-
তৃতীয় অধ্যায়: মৌলিক অধিকার
-
চতুর্থ অধ্যায়: নির্বাহী বিভাগ
-
পঞ্চম অধ্যায়: আইনসভা
-
ষষ্ঠ অধ্যায়: বিচার বিভাগ
-
সপ্তম অধ্যায়: নির্বাচন
-
অষ্টম অধ্যায়: মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক
-
নবম অধ্যায়: বাংলাদেশের কর্মবিভাগ
-
দশম অধ্যায়: সংবিধানের সংশোধন
-
একাদশ অধ্যায়: বিবিধ
0
Updated: 1 month ago
বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের দেহাবশেষ কবে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে পুনঃ সমাহিত করা হয়?
Created: 1 month ago
A
২০০৫ সালে
B
২০০৬ সালে
C
২০০৭ সালে
D
২০০৮ সালে
বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান
-
সর্বকনিষ্ঠ শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ
-
জন্ম: ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৩, ঝিনাইদহ জেলার খালিশপুর গ্রাম
-
পেশা: সেনাবাহিনী
-
মুক্তিযুদ্ধ: ৪নং সেক্টরের অধীনে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ
-
পদবী: সিপাহী (১ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট)
শাহাদাত:
-
২৮ অক্টোবর ১৯৭১, ধলই আক্রমণে সহযোদ্ধাদের জীবন রক্ষার্থে শত্রুর বাঙ্কার ধ্বংসের সময় শত্রুর মেশিনগান বাস্টের আঘাতে শহীদ হন।
-
মৃতদেহ উদ্ধার করে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কমলপুর জেলাধীন আমবাসা গ্রামে দাফন করা হয়।
-
স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার তাকে বীরত্বের স্বীকৃতি হিসেবে 'বীরশ্রেষ্ঠ' খেতাবে ভূষিত করে।
-
শাহাদাতের ৩৬ বছর পর, ১১ ডিসেম্বর ২০০৭, বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে তার দেহাবশেষ দেশে ফিরিয়ে এনে ঢাকাস্থ শহীদ বুদ্ধিজীবি কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় সম্মানে পুনঃসমাহিত করা হয়।
0
Updated: 1 month ago
কান্তজিউ মন্দির কোন জেলায় অবস্থিত?
Created: 1 month ago
A
বগুড়া
B
দিনাজপুর
C
নাটোর
D
পাবনা
কান্তজিউ মন্দির বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের শ্যামগড় এলাকায়, ঢেপা নদীর তীরে অবস্থিত। এটি ইন্দো-পারস্য স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত একটি অসাধারণ টেরাকোটা অলঙ্কৃত মন্দির, যা বৈচিত্র্যময় কারুকাজ এবং নিপুণ নির্মাণশৈলীর জন্য খ্যাত।
-
মন্দিরের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৭০৪ খ্রিস্টাব্দে, দিনাজপুরের রাজা মহারাজা প্রাণনাথের তত্ত্বাবধানে।
-
প্রাণনাথের মৃত্যুর (১৭২২ খ্রিঃ) পর, তাঁর দত্তক পুত্র রাজা রামনাথ রায় ১৭৫২ খ্রিস্টাব্দে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেন।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago