নিচের কোন অঞ্চলে সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমি রয়েছে?
A
সুনামগঞ্জ
B
সিলেট
C
মৌলভীবাজার
D
উপরের সবগুলো
উত্তরের বিবরণ
সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমি:
- টারশিয়ারি যুগের পাহাড় এবং প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ ব্যতীত সমগ্র দেশ সাম্প্রতিককালের পলি দ্বারা গঠিত এক বিস্তীর্ণ সমভূমি।
- এই প্লাবন সমভূমির বয়স ১২,০০০ বছরের কম।
- পদ্মা, মেঘনা, যমুনা প্রভৃতি প্রধান নদীসহ অসংখ্য উপনদী এবং শাখানদী জালের ন্যায় সমগ্র দেশে ছড়িয়ে রয়েছে।
- বন্যার সঙ্গে বাহিত পলিমাটি সঞ্চিত হয়ে দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় এই প্লাবন সমভূমি সৃষ্টি হয়েছে।
- এ প্লাবন সমভূমির আয়তন প্রায় ১,২৪,২৬৬ বর্গকিলোমিটার।
- এ অঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য জলাভূমি ও নিম্নভূমি। স্থানীয়ভাবে এগুলোকে বিল, ঝিল ও হাওড় বলে।
- রাজশাহী অঞ্চলের চলনবিল, ঢাকার আড়িয়াল বিল, গোপালগঞ্জের বিল, সুনামগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার, ময়মনসিংহ এবং শেরপুর জেলার হাওড় ও বিল উল্লেখযোগ্য।
- মেঘনা নদীর মোহনায় হাতিয়া, সন্দ্বীপ, শাহবাজপুর এবং ভোলা জেলায় বেশ কিছু দ্বীপ অবস্থিত। এছাড়া দক্ষিণ উপকূলে আরও কিছু ছোট ছোট দ্বীপ রয়েছে।
0
Updated: 1 month ago
জৈব নিরাপত্তা সংক্রান্ত কার্টাগেনা প্রটোকল কত সালে কার্যকর হয়?
Created: 3 weeks ago
A
১১ সেপ্টেম্বর ২০০৩
B
২৯ জানুয়ারি, ২০০০
C
২৯ জানুয়ারি, ২০০২
D
১১ জুন ২০০৪
কার্টাগেনা প্রটোকল হলো একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি, যা জৈব নিরাপত্তা সংরক্ষণ এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে গৃহীত। এটি জৈব প্রযুক্তি ও জীববৈচিত্র্য সংক্রান্ত সম্ভাব্য ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে।
• পূর্ণরূপ: Cartagena Protocol on Biosafety to the Convention on Biological Diversity।
• এটি একটি জৈব নিরাপত্তা বিষয়ক প্রটোকল, যা জৈব প্রযুক্তি ও জৈববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য দিশা নির্ধারণ করে।
• এর মূল উদ্দেশ্য হলো জৈব জ্বালানি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করা।
• প্রটোকলের খসড়া অনুমোদন হয় কলম্বিয়ার কার্টাগেনা শহরে।
• স্বাক্ষরিত হয়: ২৯ জানুয়ারি, ২০০০।
• কার্যকর হয়: ১১ সেপ্টেম্বর, ২০০৩।
• চুক্তিতে ১০৩টি দেশ স্বাক্ষরকারী হিসেবে আছে এবং ১৭৩টি দেশ অনুমোদনকারী হিসেবে রয়েছে।
• বাংলাদেশ এই প্রটোকল ২০০০ সালে স্বাক্ষর করে এবং ২০০৪ সালে অনুমোদন করে।
0
Updated: 3 weeks ago
নিচের কোনটি গ্রিনহাউজ গ্যাস নয়?
Created: 3 weeks ago
A
কার্বন ডাই অক্সাইড (CO₂)
B
মিথেন (CH₄)
C
অক্সিজেন (O₂)
D
নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O)
গ্রিনহাউজ গ্যাস হলো সেই ধরনের গ্যাস, যা বায়ুমণ্ডলে তাপ ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং গ্রিনহাউজ ইফেক্ট সৃষ্টি করে। এগুলো পৃথিবীর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
• গ্রিনহাউজ ইফেক্টের জন্য দায়ী গ্যাসগুলোকে গ্রিনহাউজ গ্যাস বলা হয়।
• উল্লেখযোগ্য গ্রিনহাউজ গ্যাসের মধ্যে রয়েছে:
-
জলীয় বাষ্প
-
কার্বন ডাই অক্সাইড (CO₂)
-
নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O)
-
মিথেন (CH₄)
-
ওজোন (O₃)
-
ক্লোরোফ্লোরো কার্বন (CFC)
• পরোক্ষ গ্রিনহাউজ গ্যাস হিসেবে উল্লেখযোগ্য: কার্বন ডাই সালফাইড এবং কার্বনিল সাইফাইড।
• উল্লেখ্য, অক্সিজেন (O₂) গ্রিনহাউজ গ্যাস নয়।
0
Updated: 3 weeks ago
ব্রাসেলস চুক্তি কত সালে স্বাক্ষরিত হয়?
Created: 1 month ago
A
১৯৪৬ সালে
B
১৯৪৮ সালে
C
১৯৪৭ সালে
D
১৯৪৩ সালে
ব্রাসেলস চুক্তি (১৯৪৮) হলো পশ্চিম ইউরোপীয় দেশগুলো—ব্রিটেন, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস এবং লুক্সেমবার্গ—দ্বারা স্বাক্ষরিত একটি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা চুক্তি। চুক্তির মাধ্যমে তারা একটি সম্মিলিত প্রতিরক্ষা জোট গঠন করে, যা পরবর্তীতে পশ্চিম ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ন্যাটো (NATO) এর ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
-
চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ১৭ মার্চ, ১৯৪৮, বেলজিয়ামের ব্রাসেলস-এ।
-
চুক্তি কার্যকর হয় ২৫ আগস্ট, ১৯৪৮।
-
এ চুক্তির আওতায় দেশগুলোর মধ্যে সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা হয়।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago