নিচের কোন অঞ্চলে সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমি রয়েছে?
A
সুনামগঞ্জ
B
সিলেট
C
মৌলভীবাজার
D
উপরের সবগুলো
উত্তরের বিবরণ
সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমি:
- টারশিয়ারি যুগের পাহাড় এবং প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ ব্যতীত সমগ্র দেশ সাম্প্রতিককালের পলি দ্বারা গঠিত এক বিস্তীর্ণ সমভূমি।
- এই প্লাবন সমভূমির বয়স ১২,০০০ বছরের কম।
- পদ্মা, মেঘনা, যমুনা প্রভৃতি প্রধান নদীসহ অসংখ্য উপনদী এবং শাখানদী জালের ন্যায় সমগ্র দেশে ছড়িয়ে রয়েছে।
- বন্যার সঙ্গে বাহিত পলিমাটি সঞ্চিত হয়ে দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় এই প্লাবন সমভূমি সৃষ্টি হয়েছে।
- এ প্লাবন সমভূমির আয়তন প্রায় ১,২৪,২৬৬ বর্গকিলোমিটার।
- এ অঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য জলাভূমি ও নিম্নভূমি। স্থানীয়ভাবে এগুলোকে বিল, ঝিল ও হাওড় বলে।
- রাজশাহী অঞ্চলের চলনবিল, ঢাকার আড়িয়াল বিল, গোপালগঞ্জের বিল, সুনামগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার, ময়মনসিংহ এবং শেরপুর জেলার হাওড় ও বিল উল্লেখযোগ্য।
- মেঘনা নদীর মোহনায় হাতিয়া, সন্দ্বীপ, শাহবাজপুর এবং ভোলা জেলায় বেশ কিছু দ্বীপ অবস্থিত। এছাড়া দক্ষিণ উপকূলে আরও কিছু ছোট ছোট দ্বীপ রয়েছে।
0
Updated: 1 month ago
জোয়ারভাটায় বিধৌত লবণাক্ত সমতলভূমিকে বলা হয়-
Created: 1 month ago
A
পার্বত্য বন
B
শালবন
C
মধুপুর বন
D
ম্যানগ্রোভ বন
ম্যানগ্রোভ বন হলো জোয়ারভাটায় প্লাবিত বিস্তীর্ণ লবণাক্ত সমতলভূমি, যা জোয়ারের প্রভাবে নিয়মিত জলমগ্ন হয়।
-
বাংলাদেশের সুন্দরবন হলো এমন একটি ম্যানগ্রোভ বন, যা সমুদ্রের লোনা পানির জোয়ার-ভাটায় বিস্তৃত।
-
এই আন্তপ্লাবিত জলাভূমি বিভিন্ন স্তরের পারস্পরিক নির্ভরশীল উপাদান দ্বারা গঠিত, যেমন: পানি প্রবাহ, পলি, পুষ্টি উপাদান, জৈব পদার্থ এবং জীবজন্তু।
অন্য বনাঞ্চল:
-
পার্বত্য বন: সাধারণত বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের বনভূমি।
-
মধুপুর বন: মধুপুর শালবনের একটি অংশ, যা টাঙ্গাইল ও গাজীপুর জেলায় বিস্তৃত।
-
শালবন: এক ধরনের বনভূমি যেখানে শালগাছ প্রধান উদ্ভিদ প্রজাতি।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
সুনামি কোথায় সৃষ্টি হয়?
Created: 3 weeks ago
A
পুুকুর
B
হ্রদ
C
সাগর
D
লেক
সুনামি হলো এক ধরনের বিশাল সমুদ্র ঢেউ, যা সাধারণত সমুদ্রের তলদেশে সংঘটিত ভূমিকম্প বা অন্যান্য ভূতাত্ত্বিক ঘটনার কারণে সৃষ্টি হয়। শব্দটি এসেছে জাপানি ভাষা থেকে, যেখানে “সু” মানে পোতাশ্রয় (বন্দর) এবং “নামি” মানে ঢেউ—অর্থাৎ এর শাব্দিক অর্থ “পোতাশ্রয়ের ঢেউ”।
• সুনামি (Tsunami) শব্দটি জাপানি উৎস থেকে এসেছে।
• এটি এমন এক প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যেখানে সমুদ্র তলদেশে প্রবল ভূমিকম্পের ফলে বিশাল ঢেউ সমুদ্রপৃষ্ঠে সৃষ্টি হয়।
• সুনামির প্রধান কারণ হলো সমুদ্রতলের ভূমিকম্প।
• তাছাড়া আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, পারমাণবিক বিস্ফোরণ, ভূমিধ্বস, এমনকি উল্কাপিণ্ডের পতন থেকেও সুনামি সৃষ্টি হতে পারে।
• ইতিহাসে সুনামির প্রথম লিপিবদ্ধ উল্লেখ পাওয়া যায় খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ অব্দে।
• সুনামি সাধারণত উপকূলীয় অঞ্চলসমূহে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি ঘটায়, তাই এটি একটি উপকূলীয় দুর্যোগ হিসেবে বিবেচিত।
0
Updated: 3 weeks ago
কোন প্রকার সতর্কতা ছাড়াই কোন ধরনের দুর্যোগ সংঘটিত হয়?
Created: 3 weeks ago
A
খরা
B
ভূমিকম্প
C
সুনামি
D
বন্যা
ভূমিকম্প হলো ভূ-পৃষ্ঠে আকস্মিকভাবে সৃষ্ট কম্পন, যা মূলত পৃথিবীর স্তরের বিভিন্ন প্লেটের গতিশীলতার কারণে ঘটে। পৃথিবীর ভূ-ত্বক প্রধানত সাতটি বৃহৎ এবং কিছু ছোট প্লেট দ্বারা গঠিত, যা একে অপরের দিকে ধাক্কা খায়, বিপরীতে সরতে থাকে বা সমান্তরালভাবে সঞ্চালিত হয়। এই সঞ্চালনের ফলে জমে থাকা চাপ হঠাৎভাবে মুক্তি পেলে ভূমিকম্পের কম্পন সৃষ্টি হয়, যা সাধারণত কোনো পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই সংঘটিত হয়।
• পৃথিবীর ভূ-ত্বক সাতটি বৃহৎ এবং কিছু ছোট প্লেট দ্বারা গঠিত।
• প্লেটসমূহ একে অপরের দিকে ধাক্কা, বিপরীত দিকে সরে যাওয়া বা সমান্তরালভাবে সঞ্চালিত হয়।
• এই সঞ্চালনের ফলে জমে থাকা চাপ হঠাৎ মুক্ত হলে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়।
• ভূমিকম্প সাধারণত কোনো সতর্কতা ছাড়া ঘটে।
ভৌগোলিক অবস্থান ও ভূ-গাঠনিক কারণে বাংলাদেশও ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে। ১৯৯৩ সালে দেশকে তিনটি ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে ভাগ করা হয়:
-
মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল: দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল অন্তর্ভুক্ত।
-
মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল: দেশের মধ্যাঞ্চল অন্তর্ভুক্ত।
-
কম ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল: দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল অন্তর্ভুক্ত।
0
Updated: 3 weeks ago