নিচের কোন অঞ্চলটি হরিকেল জনপদের অন্তর্ভুক্ত ছিল?
A
কুমিল্লা
B
নোয়াখালী
C
ঢাকা
D
সিলেট
উত্তরের বিবরণ
হরিকেল:
- হরিকেল জনপদের কথা প্রথম জানা যায় প্রথম শতকের চট্টগ্রামে প্রাপ্ত লিপিতে।
- চন্দ্রবংশীয় লিপিতেও হরিকেল রাজ্যের কথা আছে।
- হরিকেল জনপদ আধুনিক সিলেট থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম পর্যন্ত বিস্তৃত ছিলো।
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে সংরক্ষিত দুটি প্রাচীন গ্রন্থের পাণ্ডুলিপিতে হরিকোল (হরিকেল) ও বর্তমান সিলেট বিভাগ অভিন্ন উলিণ্ঢখিত হয়েছে।
- বাংলাদেশের প্রাচীন জনপদগুলোর সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে এ কথা বলা যায় যে, জনপদগুলোর নির্দিষ্ট সীমারেখা নির্ণয় করা বা যুগে যুগে তাদের সীমার বিস্তার ও সংকোচনের সঠিক তথ্য সংগ্রহ করা দুরূহ কাজ।
- হরিকেল প্রাচীন পূর্ববঙ্গের একটি জনপদ।
0
Updated: 1 month ago
নিরক্ষীয় জলবায়ু বিদ্যমান রয়েছে কোন দেশে?
Created: 1 month ago
A
কলম্বিয়া
B
ব্রুনাই
C
ফিলিপাইন
D
উপড়ের সবগুলো
নিরক্ষীয় জলবায়ু:
- পৃথিবীর জলবায়ুর পাথর্য্যের জন্য সূর্যের অবস্থান একটি বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করে।
- কারণ তাপমাত্রা প্রাপ্তির ধরনের উপর আবহাওয়া ও জলবায়ুর প্রকৃতির পার্থক্য তৈরি হয়।
- নিরক্ষরেখায় অবস্থানকারী দেশসমূহ এবং এই নিরক্ষরেখার কাছাকাছি অবস্থানরত দেশসমূহে নিরক্ষীয় জলবায়ু বিরাজমান বলে একে বলা হয় নিরক্ষীয় জলবায়ু।
অবস্থান ও দেশসমূহ:
- নিরক্ষরেখার উভয় পাশে ৫০ অক্ষাংশের মধ্যে নিরক্ষীয় অঞ্চল অবস্থিত।
- সূর্যের উত্তরায়ন ও দক্ষিণায়নের ফলে এ অঞ্চলে দুইবার মাত্রাতিরিক্ত তাপমাত্রা দেখা যায়।
- কোনো কোনো স্থানে নিরক্ষরেখার উত্তর ও দক্ষিণে ১০০ অক্ষাংশের সীমা পর্যন্ত নিরক্ষরেখা বিস্তৃত।
- বিষুবরেখার পার্শ্ববর্তী ৯৬৫ কি. মি. এলাকাজুড়ে এই জলবায়ুর প্রভাব বিস্তৃত।
- আফ্রিকার কঙ্গো নদী অববাহিকা ও গিনি উপকূলীয় এলাকা, মধ্য আমেরিকার পূর্ব উপকূলের পানামা, হন্ডুরাস, কোস্টারিকা, নিকারাগুয়া এবং দক্ষিণ আমেরিকার পূর্ব উপকূল এই জলবায়ু অঞ্চলের অর্ন্তগত।
- এছাড়াও নিরক্ষরেখার কাছাকাছি অবস্থিত দেশগুলো যেমন- মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, ব্রুনাই, ফিলিপাইন, আমাজান নদীর অববাহিকা, পেরু, ইকুয়েডর ও কলম্বিয়ার দক্ষিণাঞ্চল জুড়েও এই জলবায়ু প্রভাব বিস্তার করে।
0
Updated: 1 month ago
পাঁচসালা বন্দোবস্ত প্রবর্তন করেন কে?
Created: 4 weeks ago
A
লর্ড কর্নওয়ালিস
B
ওয়ারেন হেস্টিংস
C
লর্ড বেন্টিংক
D
লর্ড ওয়েলেসলি
পাঁচসালা বন্দোবস্ত ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংস দ্বারা প্রবর্তিত হয়। এর মূল লক্ষ্য ছিল রাজস্ব আদায় নিশ্চিত করা। যেহেতু জমি বন্দোবস্তের নির্দিষ্ট সময়সীমা ছিল, জমিদাররা কৃষকদের প্রতি চরম নির্যাতনমূলক ব্যবস্থা নিতেন শুধুমাত্র অর্থ আদায়ের জন্য, অথচ কৃষক বা জমির উন্নয়নের প্রতি তাদের কোনো আগ্রহ ছিল না। এই পরিস্থিতিতে হেস্টিংস পাঁচসালা বন্দোবস্ত চালু করেন। পরবর্তীতে ১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দে কর্ণওয়ালিস দশসালা বন্দোবস্ত প্রবর্তন করেন।
-
১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে ওয়ারেন হেস্টিংস পাঁচসালা বন্দোবস্ত প্রবর্তন।
-
মূল লক্ষ্য: রাজস্ব আদায় নিশ্চিত করা।
-
জমিদাররা নির্দিষ্ট সময়সীমার কারণে কৃষকদের উপর অত্যাচারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ।
-
কৃষক বা জমির উন্নয়নের প্রতি জমিদারদের কোনো আগ্রহ ছিল না।
-
হেস্টিংস জমিদারদের সঙ্গে পাঁচসালা বন্দোবস্ত চালু করেন।
-
১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দে কর্ণওয়ালিস দশসালা বন্দোবস্ত প্রবর্তন।
0
Updated: 4 weeks ago
’মায়া সভ্যতা’ কোন মহাদেশে গড়ে উঠে?
Created: 1 month ago
A
এশিয়া
B
আমেরিকা
C
ইউরোপ
D
আফ্রিকা
মায়া সভ্যতা হলো মেসোআমেরিকার অন্যতম বিখ্যাত ও প্রাচীন ধ্রুপদী সভ্যতা, যার বিস্তার বর্তমান গুয়াতেমালা, বেলিজ, মেক্সিকো, এল সালভাদর ও হন্ডুরাসে দেখা যায়।
-
প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধান থেকে জানা যায়, আনুমানিক ২৬০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মায়ারা উত্তর আমেরিকা থেকে গুয়াতেমালার উচ্চভূমিতে স্থানান্তরিত হয়।
-
উন্নত কৃষি কৌশল প্রয়োগ করে তারা ২৫০ খ্রিস্টাব্দের দিকে সমৃদ্ধ কৃষি সম্প্রদায় গড়ে তোলে।
-
মায়ারা জটিল লোগোসিলাবিক লিখনপদ্ধতি তৈরি করে, যা প্রাক-কলম্বিয়া আমেরিকার অন্যতম উন্নত লিপি।
-
গণিতে শূন্যের ধারণা প্রবর্তন করে এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করে, স্বর্গীয় চক্র পর্যবেক্ষণের জন্য উন্নত ক্যালেন্ডার প্রণয়ন করে।
-
আনুষ্ঠানিক নগর কেন্দ্রগুলোতে ছিল চিত্তাকর্ষক মন্দির, উঁচু পিরামিড, বিশাল প্রাসাদ ও মানমন্দির, যা ধাতব সরঞ্জাম ছাড়া নির্মিত।
-
মায়ারা নগর-রাষ্ট্রে সংগঠিত ছিল, যেমন টিকাল, প্যালেনক, কোপান ও চিচেন ইৎজা।
-
মায়া সভ্যতার ক্লাসিক যুগ (২৫০–৯০০ খ্রিস্টাব্দ) শিল্প, স্থাপত্য ও বিজ্ঞানে অসামান্য সাফল্যের সময়কাল ছিল।
-
পরবর্তী সময়ে অনেক প্রধান নগর পতিত হলেও, পোস্টক্লাসিক যুগে মায়া সম্প্রদায় টিকে ছিল এবং আজও লক্ষ লক্ষ মায়া বংশধর মধ্য আমেরিকার বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাস করছে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago